আবনা ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অন্যের প্ররোচনায় আইএসআইএলে (দায়েশ) জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানের মেডিকেল ছাত্রী নওরিন লেঘারি। এরপরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসিসে যোগ দিতে পাড়ি জমান সিরিয়ায়। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফেরেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী নওরিন লেঘারি আইসিসে যোগ দেওয়ার পর সিরিয়ায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে পাকিস্তানে ফিরে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দায়েশে যোগ দিতে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নওরিন লেঘারি দায়েশ জড়িয়ে পড়েন। নওরিন লেঘারি নামে ওই নারীর স্বামী আলী তারিকও দায়েশের সমর্থক ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে পাঞ্জাব হাউজিং সোসাইটির কাছে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তারিক।
নওরিন লেঘারি লিয়াকত ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেসের ছাত্রী। এর উপাচার্য নওশাদ শেখ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরই নওরিন লেঘারি দায়েশে জড়িয়ে পড়েন। ওই ছেলেই নওরিনকে চরমপন্থায় উদ্বুদ্ধ করে। এরপরই দায়েশে যোগ দেয় নওরিন।’ তিনি বলেন, নওরিন একজন ‘রক্ষণশীল নারী’।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নওরিন লেঘারিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি ছেড়ে নওরিন সিরিয়ায় পাড়ি জমান। অভিযোগ আছে, নওরিন সেখানে দায়েশের হয়ে অস্ত্র চালনাসহ নানান প্রশিক্ষণ নেন। তিন সপ্তাহ আগে নওরিন পাকিস্তানে ফেরেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর ও তাঁর স্বামীর দায়েশের সাথে সংশ্লিষ্টতা পায়। এরপর তারা তদন্ত শুরু করে।
নওরিন স্বামীর সঙ্গে লাহোরের বেদিয়ান রোডে বাস করছিলেন। দায়েশে যোগ দিয়ে বাড়ি ছাড়ার পর তাঁদের দেখা হয় এবং তাঁরা বিয়ে করেন।
দায়েশ এখন ইরাক ও সিরিয়ায় কোণঠাসা অবস্থায় আছে। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম অক্ষুণ্ন রাখতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।#