ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু দিবস আছে, যেসব দিবস অবিস্মরণীয়, কোনোভাবেই যা বিস্মৃতব্য নয়। হিজরী বর্ষের ২৮ শে সফর তেমনি একটি দিন। এইদিন বিশ্বকে আলোকিত করার জন্যে আল্লাহ প্রেরিত সূর্য মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর পরকালীন অনন্ত জীবনে প্রবেশ করার দিন। যদিও কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে, ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে নবীজী পৃথিবীকে নিঃসঙ্গ করে দিয়ে তাঁরই প্রিয় স্রষ্টার সান্নিধ্যে চিরদিনের জন্যে চলে যান। মানব স্মৃতির দুর্বলতার কারণে তারিখ নিয়ে মতানৈক্য থাকতেই পারে কিন্তু সূর্যের কাছে অন্ধকার বলে যেমন কিছু নেই তেমনি নেই নবীজীর ওফাতের ব্যাপারে কোনো সংশয়। আমরা তাই মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে নবীজীর ওফাত নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁরই জীবনদর্শন থেকে নিজেদের আলোকিত করার চেষ্টা করবো।
সেইসঙ্গে আরেকটি প্রসঙ্গ এখানে উল্লেখযোগ্য তাহলো, ২৮ সফর তারিখেই শাহাদাত বরণ করেছিলেন নবীজীর প্রিয় নাতি হযরত ইমাম হাসান (আ.)। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এবং কীভাবে তিনি শহীদ হন, তাঁর জীবনাদর্শ থেকে আমাদের জন্যে কী শিক্ষণীয় রয়েছে-সেসব বিষয়েও খানিকটা আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আপনারা যথারীতি আমাদের সাথেই রয়েছেন-এ প্রত্যাশা রেখে এবং সবার প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে শুরু করছি গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা।
নবীজীর পৃথিবী থেকে চলে যাবার বিষয়টি অনেকের জন্যেই অসহনীয় কষ্টের ব্যাপার ছিল। কেননা নবীজী ছিলেন আল্লাহর মনোনীত সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব,সর্বোত্তম চরিত্র ও নৈতিকতার শ্রেষ্ঠতম উদাহরণ। তিনি খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং ন্যায়নীতিময় একটি সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে সর্বস্তরের মানুষের জন্যে যথার্থ কল্যাণ বয়ে আনেন। পৃথিবীর সকল মানুষ তাঁর প্রতিষ্ঠিত সেই কল্যাণ-আদর্শ থেকে উপকৃত হয়।
হযরত আলী (আ.) এ সম্পর্কে বলেছেন,আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মাধ্যমে জনগণের জন্যে তাঁর সমূহ নিয়ামত বা কল্যাণ অবতীর্ণ করেছেন। দেখুন! জনগণ নবীজীর আনুগত্য করে আল্লাহর দ্বীনের সাথে কীভাবে নিজেদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। তাঁরই দাওয়াতের ফলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত মানুষকে মর্যাদাবান করেছে। মানুষ প্রশান্তি আর কল্যাণের ঝর্ণাধারায় সিক্ত হয়েছে। সত্য দ্বীনের বরকতে মানুষ পুষ্ট হয়েছে। আল্লাহর নিয়ামতের মাঝে সিক্ত হয়ে মানুষ আনন্দিত জীবনযাপন করেছে। ইসলামী হুকুমাতের ছায়ায় মানুষের সামাজিক জীবনে এসেছে দৃঢ় সম্মান ও মর্যাদা। মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে ইসলাম একটি স্থায়ী হুকুমাতে পরিণত হয়েছে।'
রাসূলে খোদা ( সা ) এর সম্মান ও মর্যাদা অনস্বীকার্য। কেবল তাঁর জীবদ্দশাতেই যে তিনি সম্মানিত ছিলেন তা নয়,বরং মৃত্যুর পরেও তিনি সমানভাবে মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। অতএব যাঁরা তাঁর অনুসারী তাঁরা অবশ্যই সফলকাম। যেমনটি পবিত্র কোরআনের সূরা আরাফে বলা হয়েছে,
"অতএব যারা তাঁকে বিশ্বাস করে,তাঁকে মান্য করে,তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর সাথে অবতীর্ণ আলোর অনুসরণ করে তারাই সফলকাম।"
তাই আমাদের সবার উচিত হবে রাসূলে খোদার মনে কষ্ট লাগে এমন কোনো কাজ না করা। বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাসূলে খোদা (সা.) যে কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন,তা হলো মুসলমানদের মধ্যকার অনৈক্য ও মতপার্থক্য। কেননা; রাসূলে কারিম (সা.) সবসময় চেয়েছেন মানুষের মাঝে পারস্পরিক নৈকট্য সৃষ্টি করতে এবং আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এমন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি,যার মাঝে কোনোরকম ফাঁকফোকর না থাকে। কুরআনের ভাষায় যাকে বলা হয়েছে শিসা ঢালা প্রাচীরের মতো অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক।
মানুষকে তিনি মূর্খতা আর গোত্রপ্রীতির অজ্ঞতা থেকে মুক্তি দিয়ে তাদেরকে ঐতিহ্যপ্রিয় এবং সংস্কৃতিমনা জাতিতে রূপান্তরিত করেছেন। মানুষের সকল কাজ যেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যেই সম্পাদিত হয়,সে ব্যাপারে সমগ্র জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর সকল কাজই হয়েছিল পার্থিব জগতের কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে। যেই মানব মুক্তির জন্যে রাসূলের সকল কর্মতৎপরতা ছিল,সেই মহান ব্যক্তিত্বের ওফাতের পর আমাদের সবার উচিত তাঁর ওপর সালাম এবং দরূদ প্রেরণ করে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে তোলা। কেননা সূরা আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ
"নিঃসন্দেহে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীজীর ওপরে দরুদ প্রেরণ করেন। অতএব হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ পাঠাও এবং সশ্রদ্ধচিত্তে সালাম জানাও।"
শুরুতেই আমরা বলেছিলাম যে, নবীজীর ওফাতের দিন ২৮ সফরে তাঁর প্রিয় নাতি হযরত হাসান (আ.)ও শাহাদাত বরণ করেন। হযরত হাসান ইবনে আলী (আ.) যে কতো সৌভাগ্যবান,নবীজীর ওফাত দিবসে তাঁর শাহাদাতই তার প্রমাণ। ইমাম হাসান (আ.) ৫০ হিজরীর ২৮ সফরে তথা ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন হযরত আলী (আ.) এবং নবীকন্যা হযরত ফাতেমা (সা.) এর সন্তান।ফজিলত ও মর্যাদার উৎস যেই পরিবার,সেই নবী পরিবারে তিনি ৩ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেজন্যে তিনি নবীজীর অনন্য ব্যক্তিত্বের সুষমায় সমৃদ্ধ হবার সুযোগ পান। কিন্তু এই সুযোগ ৭ বছরের বেশি পাননি। এই ৭ বছরের মধুর সান্নিধ্যের স্মৃতিচারণ যখনই তিনি করেছেন,তখনই অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে করেছেন এবং তিনি নানার সান্নিধ্যের স্মৃতি বিন্দুমাত্রও ভোলেননি।
নবীজীর ওফাতের পর এবং মায়ের শাহাদাতের পর ইমাম হাসান (আ.) এর জীবনে নতুন একটি পর্বের সূচনা হয়। এ সময় তিনি বাবার সাহচর্যে কাটান।বাবার সাথে থেকে তিনি মূল্যবান সব জীবনাভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি ইমাম হাসান (আ.) এর চারিত্র্যিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন খুবই চমৎকারভাবে। তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন। নৈতিকতা,ব্যক্তিত্ব,আমানতদারী, ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ইত্যাদি তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্যকে আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছে। ইতিহাসে এসেছে, ইমাম হাসান (আ.) বেশ কয়েকবার তাঁর সকল ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনোই কোনো সাহায্য-প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরান নি। তিনি বলতেন-আমি নিজেও আল্লাহর দরবারে সাহায্যপ্রার্থী। আল্লাহও যেন আমাকে না ফেরান। এই আশা পোষণ করি বলেই কোনো সাহায্য প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরত দিতে লজ্জা পাই।
হযরত আলী (আ.) এর শাহাদাতের পর ইমাম হাসান (আ.) ইমামতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। জনগণের বুঝতে খুব একটা সময় লাগেনি যে,ইমাম হাসান (আ.)ও বাবার মতোই সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। এ বিষয়টি স্বার্থবাদী একটি মহলের কাছে ভালো ঠেকেনি। তারা ইমাম হাসানের অস্তিত্বকে তাদের স্বার্থসিদ্ধর পথে প্রধান এক অন্তরায় বলে ভাবলো। তারা তাই ইমাম হাসান (আ.) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপায়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো।
সিফফিনের যুদ্ধের সময় মুয়াবিয়া ইমাম হাসানের (আ.) নিকট আবদুল্লাহ বিন ওমরকে এ কথা বলে পাঠায় যে "যদি আপনার পিতার অনুসরণ থেকে বিরত থাকেন তাহলে আমরা খেলাফত আপনার হাতে ছেড়ে দেবো। কেননা, কুরাইশের লোকজন আপনার পিতার প্রতি ভীষণ অসন্তুষ্ট, কারণ আপনার পিতা তাদের বাপ-দাদাদের হত্যা করেছে, তবে তারা আপনাকে গ্রহণ করতে কোন আপত্তি করবে না।"
ইমাম হাসান (আঃ) উত্তরে বলেছিলেন,কুরাইশরা ইসলামের পতাকা ভূলুণ্ঠিত করতে দৃঢ়চিত্ত ছিল। আমার বাবা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ইসলামের জন্যে তাদের মধ্যেকার অবাধ্য ও রগচটা ব্যক্তিদেরকে হত্যা করে তাদের চক্রান্তকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল। তাই তারা আমার পিতার সাথে শত্রুতার ঝাণ্ডা উত্তোলন করেছিল।'
ইমাম হাসান এই যুদ্ধে এক মূহুর্তের জন্যেও বাবার ওপর থেকে তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করেননি বরং শেষ পর্যন্ত তাঁর সাথে সমন্বয় ও সমচিত্তের পরিচয় দিয়েছেন।
মুয়াবিয়া যে ইমামের হাতে বাইয়্যাত গ্রহণ করেনি তাই নয় বরং ইমামকে উতখাতের জন্যে সে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। সে কিছু লোককে গোপনে নির্দেশ দিয়েছিল ইমামকে হত্যা করার জন্যে। আর এ কারণেই ইমাম জামার নিচে বর্ম পরিধান করতেন এবং বর্ম ব্যতীত নামাযে অংশ গ্রহণ করতেন না।
একদিন মুয়াবিয়ার গোপন প্রতিনিধি ইমামের দিকে তীর নিক্ষেপ করে। কিন্তু ঐ তীরে ইমামের কোন ক্ষতি হয়নি। মুয়াবিয়া কিন্তু তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। সে তার লম্পট সন্তান ইয়াযিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করে এবং তার পক্ষে জনগণের বাইয়াত গ্রহণ করে। নিজের দেওয়া ওয়াদা ভঙ্গ করেই ক্ষান্ত হয় নি মুয়াবিয়া বরং তিনি ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুয়াবিয়া ইমামকে সন্ধি করার আহ্বান জানায়। ইমাম পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সন্ধি করাকেই মিল্লাতের জন্যে অনুকূল বলে মনে করে। এই সন্ধিচুক্তিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন ধারা রাখা হয়েছিল।
ধারাগুলো হচ্ছে-
১) আহলে বাইতের অনুসারীদের রক্ত সম্মানিত ও হেফাজত থাকবে এবং তাদের অধিকার পদদলিত করা যাবে না।
২) হযরত আলীকে গালি-গালাজ দেওয়া যাবেনা।
৩) মুয়াবিয়া রাস্ট্রের আয় থেকে এক মিলিয়ন দেরহাম সিফফিন ও
জামালের যুদ্ধের ইয়াতিমদের মধ্যে বণ্টন করবে।
৪) ইমাম হাসান মুয়াবিয়াকে আমিরুল মুমিনিন বলে সম্বোধন করবে না।
৫) মুয়াবিয়াকে অবশ্যই আল্লাহ কিতাব এবং রাসুলের (সাঃ) সুন্নাত
মোতাবেক আমল করতে হবে।
৬) মুয়াবিয়া,তার মৃত্যুর পরের জন্যে খেলাফতের ভার অন্য কারো উপর সোপর্দ করে যাবে না ইত্যাদি।
৭) মুয়াবিয়া উপরোক্ত শর্তগুলো এবং অন্যান্য আরো সব শর্তাবলী মেনে নিয়েছিল যার সবটাই ইসলাম ও বিশেষ করে আহলে বাইতের অনুসারীদের হেফাজতের জন্যে প্রয়োজন ছিল। ফলে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
কিন্তু মুয়াবিয়া এই সন্ধিচুক্তিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রচারণা চালিয়েছিল-ইমাম হাসান (আ.) নাকি তাকেই বেশি উপযুক্ত মনে করে খেলাফতের দায়িত্ব তার হাতে ছেড়ে দিয়েছে। এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ইমাম হাসান প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন -মুয়াবিয়া মিথ্যাচার করছে, কুরআন এবং নবীর সুন্নাত মতে আমরা অর্থাৎ নবীর আহলে বাইত সকলের চেয়ে যোগ্যতর। তাছাড়া আমরা সন্ধিচুক্তির যে কয়েকটি ধারা পাঠকদের উদ্দেশে ব্যক্ত করেছিলাম। সেখানে স্পষ্টই বলা হয়েছিল যে, মুয়াবিয়াকে আমিরুল মুমিনিন বলা যাবে না।'
ইমামের এ ধরনের স্পষ্ট বক্তব্যে মুয়াবিয়া ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সরাসরি সন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে। তারপর থেকেই যে-কোনোভাবে ইমামকে হত্যা করার পাঁয়তারা করতে থাকে। অবশেষে ২৮শে সফর তারিখে মুয়াবিয়ার ষড়যন্ত্রে ইমামকে বিষ প্রয়োগে শহীদ করা হয়।
ইমাম হাসান শাহাদাতের অমৃত পেয়ালা পান করে মুসলমান সমাজের জন্যে যে শিক্ষা রেখে গেছেন তাহলো মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও সত্যকে কোনোভাবে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শাহাদাতবরণ করা অনেক বেশি সম্মান ও মর্যাদার। কবির ভাষায়--
হে ইমাম ! বিষের পেয়ালায় চুমু দিয়ে আমাদের করেছো ঋণী
আমরা তোমার পদাঙ্ক দেখে দেখে এগিয়ে চলেছি
তোমার সাক্ষাতে, কোথায় তুমি,
মরুঝড় এসে বুঝি মুছে দিলো তোমার পদচিহ্ন
এবার কী করে পাবো সত্যের নাগাল !
রাতের আঁধারে দূর আকাশে জ্বলজ্বলে একটি তারা
পথ দেখালো শেষে , যার আলোয় জ্বলমান
বেহেশতের যুবনেতার নাম - ইমাম হাসান !
তিনি বলেছেন-
তুমি যা জানো তা অন্যদেরকে শেখাও এবং অন্যদের জ্ঞানকেও তুমি আহরণ করো। তাহলে তোমার জ্ঞানের ভিত্তি যেমন মজবুত হবে তেমনি অনেক অজানা জ্ঞানও তুমি শিখতে পারবে।
তিনি অন্যত্র বলেছেন-
তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে-অহমিকা,লোভ ও পরশ্রীকাতরতা। #
source : http://bangla.irib.ir