তিন শতাব্দীরও বেশি বছর যাবৎ ইসলামি বিশ্ব আগ্রাসিদের হামলার স্বীকার হয়েছে, তারা মুসলমানদের অমূল্য সম্পদ ডাকাতি করেছে, অন্যায়ভাবে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুদের রক্ত ঝড়াচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম শাসকবর্গ নিজ জাতির চাহিদা অর্থাৎ আগ্রাসিদেরকে উৎক্ষাৎ করার পরিবর্তে তাদের অশুভ ঈঙ্গিতে তাদেরই গোলামি করছে এবং তাদেরকে মুসলিম জাতি সমূহের অমূল্য সম্পদ ডাকাতি করতে ও নিষ্পাপ মানুষকে হত্যা করতে সহযোগিতা করে আসছে।
আগ্রাসি শক্তি সমূহ বৃদ্ধ শিয়াল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের থাবায় পড়ার পর অবশেষে প্রায় দুই শতাব্দি যাবৎ আমেরিকার ভয়ানক ও নির্দয় থাবার আক্রোশে পতিত হয়েছে। আমেরিকার অন্যায় তৎপরতার মধ্যে একটি হল: মধ্যপ্রাচ্যের আগ্রাসি, চোর ও মানুষ হত্যাকারী ইসরাঈলের অবৈধ শাসনের হেফাজত করা। যাদের খুনের সংখ্যার হিসাব নেই। আমেরিকার আরেক অনুচর হল আলে সৌদের শাসন ব্যবস্থা, যে ইংল্যান্ডের দূর্বলতার কারণে আমেরিকার থাবায় পতিত হয়েছে এবং তার চাকরামি ও নিরঙ্কুশ আনুগত্য করছে।
সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্টের ভিত্তিতে বলা যায় যে, তারা খায়বারের ইহুদিদের বংশধর। এরূপ তথ্য সংক্রান্ত যেসব বই লিখিত হয়েছিল, তা প্রকাশিত হবার আগেই অধিক মূল্যের বিনিময়ে তারা ধ্বংশ করেছে যাতে এ তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে। সঠিক ও বিশ্বস্ত ডকুমেন্টের ভিত্তিতে আরো বলা যায় যে, আব্দুল আজিজের পূর্ব পুরুষগণ প্রথম থেকেই সব দিক দিয়ে ইসরাঈলের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল।
আলে সৌদের ধর্ম হল ওহাবি ইজম যা ইবনে তাইমিয়ার মতবাদের উপর নির্ভর্শীল, যাকে আহলে সুন্নতের অনেক আলেমের ফতোয়ায় কাফের বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইংল্যান্ড, যায়নবাদি ইসরাঈল, আমেরিকা, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের আদর্শে যারা গড়ে উঠেছে, তারা অত্যন্ত রাগি, নির্দয়, অনেক অযৌক্তিক দাবিদার, চরিত্রহীন, আরব সাম্রাজ্যের খনিজ সম্পদ লুন্ঠনকারী, শিয়া-সুন্নিসহ সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের শত্রু। যদি তারা সুযোগ পায় তবে নিশ্চয়ই আমেরিকা ও ইসরাঈল অনুসৃত শয়তানি চক্রের আদেশে আল্লাহর ঘর ও নবীর মাযারকে ধ্বংশ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেবে এবং সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশ থেকে ইসলামি নিদর্শন সমূহ ধ্বংশ করবে। এরা স্বাধীনতা প্রেমিক মানুষ ও যেসব জাতি চায় তাদের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয় নিজেদের হাতে থাকুক এবং যাদের উপর ইসলামি পূনর্জাগরণের প্রভাব পড়েছে, তাদের সকলের সাথে ভীষণ শত্রুতা পোষণ করে থাকে। আজকে উল্লেখিত সকল বিষয় ইয়ামানের নীরিহ জনতার উপর আরোপিত হয়েছে। ইরানের ধর্মীয় নেতার ভাষায়: ইয়ামানের স্বাধীনচেতা মুসলমানদের উপর তাদের ভয়ানক হামলা পরিলক্ষিত হয়। আলে সৌদের কাছে ইয়ামানের জাগ্রত, সচেতন জাতির দোষ ঈমান, সৎকর্ম, স্বাধীনতা কামনা ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ তা’য়ালার ভাষায় (সূরা বুরুজ/৮):
$tBur (#qßJs)tR öNåk÷]ÏB HwÎ) br& (#qãZÏB÷sã «!$$Î/ ÍÍyèø9$# ÏÏJptø:$#
তাদের এই দোষ ঠিক উখদুদের সাথিদের মতই, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল। যে কারণে তাদের দুধের বাচ্চাসহ স্কুলের ছাত্র, যুবক, প্রাপ্ত বয়স্ক ও বৃদ্ধ লোক, বৃদ্ধা ও যুবতি মেয়ে লোকের উপর দিন রাতভরে এই নির্দয় ইহুদি, ওহাবি কাফের, আল্লাহ, তাঁর নবী ও কোরআনের দুশমনরা বোমা মেরে আগুনের শিখা প্রজ্বলিত করছে। এর পাশা-পাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অর্থের বিনিময়ে নীরব রাখছে, ফলে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কোন কথাই বলছে না এবং কোন ধরণের চাপ প্রয়োগের ঘোষণা প্রদান করা থেকে বিরত থাকছে।
ওহে পবিত্র মুসলমান বংশধর ইয়ামান জাতি! ওহে স্বাধীনতাকামি সম্মানি গোষ্ঠী! হে আল কায়েদা ও তথাকথিত আই. এস. আইসহ আগ্রাসীদের থাবা থেকে মুক্তিকামি লোকসকল! আপনারা বিশ্বাস করুণ সদা-সর্বদা মহান আল্লাহ আপনাদের মত ঈমানদার লোকদের উপর সাহায্য করবে এবং তিনি আপনাদের সহযোগী। তারাই পরাজিত হবে এবং আপনাদের বিজয় অনিবার্য, বিশ্বের জালিম ও মজলুমের ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে।
আমরা ইরানি জাতি হোসাইনিয়া ও মসজিদ সমুহে দোয়া পড়ার সময় আল্লাহর দরবারে আপনাদের কথা শ্মরণ করছি এবং আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে আপনাদের জয়ের জন্য জোর কামনা করছি।
কোম, ২১ শে জমাদিউস সানি, ১৪৩৬ হি. মোতাবেকে ২২শে ফারওয়ারদিন, ১৩৯৪ ফা.
কোরআন ও আহলে বাইতের খাদেম
হোসাইন আনসারিয়ান
source : erfan