বাঙ্গালী
Tuesday 26th of November 2024
0
نفر 0

ফাতিমা মাসুমা (সা.)’র মাজার জিয়ারতকারী বেহেশতবাসী হবেন: হাদিস

ফাতিমা মাসুমা (সা.)’র মাজার জিয়ারতকারী বেহেশতবাসী হবেন: হাদিস

আবনা ডেস্ক: আজ (গতকাল) ইরানসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে পালিত হচ্ছে হযরত ফাতিমা মাসুমা (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র শাহাদত বার্ষিকী।
আজ থেকে ১২৩৭ চন্দ্র-বছর আগে ২০১ হিজরির এই দিনে (১০ ই রবিউস সানি) শাহাদত বরণ করেন বিশ্বনবী (সা.)'র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম মুসা কাজিম (আ.)'র কন্যা ও ইমাম রেজা (আ.)'র বোন হযরত ফাতিমা মাসুমা (সালামুল্লাহি আলাইহা)।
এ সময় তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর।
এর ১৭ দিন আগে সভেহ শহরের কাছে তার কাফেলার ওপর হামলা চালানো হলে তিনি আহত হন। বিশ্বনবী (সা.)'র আহলে বাইত ও নবী-বংশের শত্রু আব্বাসিয় শাসকদের অনুচররা ওই হামলা চালায়।
হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা. আ.) ভাই ইমাম রেজা (আ.)'র সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জন্মভূমি মদীনা থেকে খোরাসান প্রদেশের মার্ভ শহরের উদ্দেশ্যে সফররত ছিলেন। ধূর্ত মামুন ইমাম রেজা (আ.)-কে মদীনা থেকে মার্ভ শহরে আসতে বাধ্য করেছিলেন।
মহীয়সী নারী হযরত মাসুমা (সা. আ.) ছিলেন জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও খোদাভীতিসহ নানা মহত গুণের প্রতিচ্ছবি। তাঁকে বলা হত 'আহলে বাইতের দয়ালু বা দানশীলা রমণী'। মাসুমা বা নিষ্পাপ ছিল তাঁর উপাধি।
প্রায় হাজার বছর আগে লিখিত 'শাওয়াহেদুন্নবুওয়াত' নামক বইয়ে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, যারা ইরানের খোরাসানে অবস্থিত (যার প্রধান শহরের বর্তমান নাম মাশহাদ) ইমাম রেজা (আ.)'র মাজার জিয়ারত করবে (এই মহান ইমামের উচ্চ সম্মান সম্পর্কে পরিচিতি ও সমীহ নিয়ে) তারা বেহেশতবাসী হবে। বিশিষ্ট কবি ও আধ্যাত্মিক সাধক মাওলানা আবদুর রহমান জামির লিখিত এই বইটি বহু বছর আগে বাংলা ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে (মাওলানা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে) (পৃ.১৪৩-১৪৪)।
ওই বইয়ের ২৭২ পৃষ্ঠায় ইরানের পবিত্র কোম শহরে অবস্থিত হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.)’র পবিত্র মাজার জিয়ারত সম্পর্কেও একই কথা বলা হয়েছে।
প্রতি বছর ইরানসহ বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে মহানবীর (সা.)বংশ ও আহলে বাইতের প্রেমিক লাখ লাখ মুসলমান জিয়ারত করেন এই মহীয়সী নারীর পবিত্র মাজার।
এ ছাড়াও এই মহীয়সী নারীর পবিত্র মাজারের বরকতেই কোম শহরটি লাভ করেছে ধর্মীয় শহরের মর্যাদা এবং শহরটি ইসলামী ধর্মতত্ত্ব শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ১২০০ বছর পরও ঐতিহাসিক খ্যাতি ধরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, ইরান সফরে এসে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা লরেন বুথ হযরত মাসুমা (সা.আ.)'র পবিত্র মাজার সফরকালে অভিভূত হন এবং এখানেই তিনি পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
সে সময়কার অনুভূতি সম্পর্কে লরেন বুথ নিজেই বলেন, ‘এটা ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যা। মাজারে বসে বসে চিন্তা করছিলাম এবং প্রচণ্ডভাবে আধ্যাত্মিক আলোয় আলোড়িত হচ্ছিলাম। বাস্তবেই সেই মুহূর্তটি ছিল আমার জীবনের আনন্দ আর রোমাঞ্চ মিশ্রিত অসাধারণ একটি সময়। এর আগে কখনো আমার জীবনে এমন মুহূর্ত আসেনি।’ #

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জীবনী-১১তম পর্ব
যদি কেউ দাড়ি না রাখে তাহলে সে কি ...
বাংলাদেশের নিম গাছ আরাফাতের ...
মহানবীর ওফাত দিবস এবং ইমাম হাসান ...
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত-পূর্ব ...
কে হযরত আলী (আ.) কে শহীদ করেছে? তার ...
আল কোরআনের অলৌকিকতা (৬ষ্ঠ পর্ব)
কবর জিয়ারত
কোরবানির ইতিহাস
পবিত্র ঈদে গাদীর

 
user comment