ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের ৬ মাস পূর্বের অবস্থা
ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের ৬ মাস পূর্বের অবস্থা
ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের ৬ মাস পূর্বেঃ
যেসব আলামত অবশ্যই দেখা দিবে। রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে ৫টি এমন ঘটনা রয়েছে যা অবশ্যই আবির্ভাবের পূর্বে ঘটবে। এই ঘটনাগুলোর পরে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অবশ্যই ইমাম অবির্ভূত হবেন।
ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের ৫টি আলামতঃ
১-সুফিয়ানীদের বিদ্রোহ।
২-ইয়ামানীদের বিদ্রোহ।
৩-আসমানী আহবান।
৪-নাফসে যাকিয়ার হত্যা।
৫-মক্কা ও মদীনার মাঝে বাইদা নামক স্থানে সুফিয়ানীরা ধ্বংস হবে। (উক্ত আলামতটি ইমামের আবির্ভাবের পরে সংঘটিত হবে।)
১- সুফিয়ানীদের বিদ্রোহ
জোড় বছরের ১০ই রজব ইমামের আবির্ভাবের পূর্বে সুফিয়ানীরা শামের ইয়াবেস নামক স্থান থেকে তাদের বিদ্রোহ শুরু করবে। একই সময়ে ইয়ামানের একজন বিদ্রোহ করবে। উক্ত দুইটি বিদ্রোদের সাথে সাথে খোরাসান থেকে একটি কাল পতাকা সৈয়দ হাসানীর নের্তৃত্বে বাহির হবে।
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ সমূহ ইমামের আবির্ভাবের সময় বেশী দেখা যাবে এবং মধ্যেপ্রাচ্যে এই যুদ্ধ সমূহ বেশী দেখা যাবে। আমরা দেখতে পাই যে, মধ্যেপ্রাচ্যে এই যুদ্ধ সমূহ বেশী সংঘটিত হয়েছে এবং উক্ত এলাকাটি হচ্ছে আস্তিক এবং নাস্তিকবাদীদের রণনীতির এলাকা।
মধ্যেপ্রাচ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় যুদ্ধ থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে তার সমাপ্তি কেমন হবে। আমেরিকা, ব্রিটেন, সাবেক রাশিয়ার মতো দেশ সমূহ সেখানে একত্রিত হয়। তেহরানের এক বৈঠকে স্পষ্ট হয় যে, তারা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য কি ধরণের পরিকল্পনা করতে পারে।
মধ্যেপ্রাচ্যে হচ্ছে পৃথিবীর প্রাণ কেন্দ্র। আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাব, রাসুল (সা.) এর রেসালাত প্রাপ্তির স্থান হচ্ছে এই এলাকায়, দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী তৈল এই এলাকায় রয়েছে, ইউরোপ এবং এশিয়ার মিলন স্থল হচ্ছে এই এলাকা, হুসাইন বিন আলী (আ.) এর বাইতুল মোকাদ্দাসের দিক যাত্রা করেন এই এলাকা থেকে, এজিদ ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য এই এলাকা নির্বাচন করে, হজরত মূসা (আ.) এই এলাকার দিকে যাত্রা করে কিন্তু তিনি পৌছাতে পারেননি, হজরত আলী (আ.) এই এলাকা থেকেই শামের দিকে যাত্রা শুরু করেন এছাড়াও পৃথিবীর অনেক নবীই এই এলাকায় নবুওয়াত প্রাপ্ত হন এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই এলাকায় সংঘটিত হয়। ইমাম মাহদী (আ.) ও এই এলাকায় আবির্ভূত হবেন, শয়তানের কুদৃষ্টিও এই এলাকার প্রতি রয়েছে।
পাশ্চাত্যবাসী সহ অন্যান্যদের দৃষ্টিও এই এলাকার প্রতি রয়েছে। আমাদের জানা উচিত যে, মধ্যেপ্রাচ্যে হচ্ছে পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক স্থান।
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল (সা.) আবু সুফিয়ানের সাথে যুদ্ধ করেন, ইমাম আলী (আ.) মাবিয়ার সাথে যুদ্ধ করেন, ইমাম হাসান (আ.) মাবিয়ার সাথে যুদ্ধ করেন, ইমাম হুসাইন (আ.) এজিদের সাথে যুদ্ধ করেন, ইমাম মাহদী (আ.) সুফিয়ানীদের সাথে (যারা হচ্ছে আবু সুফিয়ানের বংশধর) যুদ্ধ করবেন। বণি উমাইয়ারা আহলে বাইত (আ.) এর সাথে অনেক যুদ্ধ এই এলাকায় করেছে। সুফিয়ানীদের বিদ্রোহ হচ্ছে এজিদ বাহিনীদের মতো যারা ইসলামকে ধ্বংস করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। রেওয়ায়েত পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাব যে, ইমাম মাহদী (আ.) যখন কিয়াম করবেন তখন তিনি প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ করবেন এবং তার যুদ্ধ হবে ইসলামকে রক্ষার যুদ্ধ। ইসলামী বিপ্লবের নেতা তিনি শত্রুদের উদ্দেশ্যে বলেছেনঃ যদি তোমরা যুদ্ধ শুরু করো, তাহলে এর শেষ আমরা করবো।
সুফিয়ানী বিদ্রোহের পরিচয়
সুফিয়ানীদের বিদ্রোহের সাথে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিবে যেমনঃ ভূমিকম্পের কারণে হাজার হাজার লোক মারা যাবে। সিরিয়াতে যখন হাজার হাজার লোকের মৃত্যুর খবর শোনা যায় তখন অনেকে মনে করেন যে ভূমিকম্পের কথা রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে তা একটি উপমা স্বরূপ হয়তো সেই ভূমিকম্প হচ্ছে রাজনৈতীক ভূমিকম্প। কেননা কোন কোন রেওেয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, তোমরা ভূমিকম্পতে পতিত হবে অর্থাৎ উত্থান পতন হবে এবং এর দ্বারা ভালকে মন্দ থেকে চিহ্নিত করা যাবে। কেউ দাবী করে বলতে পারবে না যে, উক্ত ঘটনাই ঘটবে হয়তো আহলে বাইত (আ.) কোন রহস্য এর মধ্যে রেখেছেন। এই দুই বছরে সিরিয়াতে মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে দুই হাজারেরও বেশী।
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে সিরিয়াতে দূর্ভিক্ষ দেখা দিবে, খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিবে, মানুষ অসুস্থ হবে যেমনঃ নোবালুয যাহরাতে যে ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছে তা থেকে বুঝা যায় যে সেখানেও কোন একটি ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, যেখানে আলী (আ.) বলেছেনঃ শামে দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে একটি ঐশী নির্দশন। জিজ্ঞাসা করা হলো সেই নিদর্শন কি? শামে এক আন্দোলন শুরু হবে। অনেকের মতে এই আন্দোলন হচ্ছে একটি কোড স্বরূপ যা ইমাম বর্ণনা করেছেন। হয়তো এইটা একটি রাজনৈতিক আন্দোলন যা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রশ্নঃ কেন তা রাজনৈতিক আন্দোলন হবে?
উত্তরঃ কেননা পূর্বের রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে শামে দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হবে এবং এটি হচ্ছে তার একটি আলামত স্বরূপ এবং এই দুই দলের যুদ্ধে হাজারেরও বেশী মানুষ মারা যাবে। এই ঘটনাটির মাধ্যমে খোদার রহমত, মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি এবং কাফেরদের জন্য আযাবের কারণ হয়ে দাড়াবে। (যদি অবস্থা এমনটি হয় তাহলে দেখ যে, তাদের বাহনের রং কালো বা সাদা হবে এবং তার কান ও লেজ কাটা থাকবে তাদের কাছে হরুদ রংয়ের পতাকা থাকবে তারা শামে প্রবেশ করবে। (উক্ত কথাগুলো রূপক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে)
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে,পশ্চিমা যারা শামে প্রবেশ করেছে তারা যেন বিরোধিতা না করে তানাহলে তাদেরকে হত্যা করা হবে। যারাই তাদের পথের বাধা হয়ে দাড়াবে তাদেরকে হত্যা করা হবে, আর যদি পশ্চিমাদের আগমণের কারণে শামে কোন ঘটনা সংঘটিত হয় তাহলে হয়তো সারা দুনিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।
আমরা যদি একটু দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব যে, সারা দুনিয়ায় কি ঘটতে যাচ্ছে। বলতে চাচ্ছিনা, যা রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে সেই অনুযায়ি ঘটনাগুলো ঘটছে। শিয়া আক্বিদা মতে যা কিছু ঘটতে যাচ্ছে তা হচ্ছে ইমামের আবির্ভাবের নিদর্শন সমূহের সূচনা স্বরূপ। রেওয়ায়েতে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, লাল মৃত্যুর (যুদ্ধের রূপক অর্থ লাল মৃত্যু হয়তো বোমা বিষ্ফোড়ন, মানুষ হত্যাও হতে পারে) কথা উল্লেখ করা হয়েছে হয়তো তার চেয়ে আরো বেশী কিছু। যেমনভাবে সূরা বাকারার ১৫৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। ।
আমরা যদি সিরিয়ার প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব যে, সেখানের সংঘটিত ঘটনা সমূহ হচ্ছে ইমামের আবির্ভাবের আলামত সমূহের সাদৃশ্যপূর্ণ। মাথা কাটার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা যা এখন সিরিয়াতে বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর পরের যে ঘটনা তা হচ্ছে দামেস্কের একটি গ্রাম যার নাম হচ্ছে মারমারসা তা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সবকিছুই হচ্ছে সুফিয়ানীদের আগমণের পূর্বের ঘটনা।
বর্তমানে ইসলামী শব্দগুলোর অর্থ বিকৃত করা হচ্ছে। এর ফলে মারমারসা এর গ্রাম ধ্বংস হওয়ার ঘটনাকে ইসলামের শত্রুরা একটি সাধারণ ঘটনা বলে প্রচারের চেষ্টা করবে এবং যদি এরূপ ঘটনা ঘটে তাহলে আমাদের বুঝতে হবে ইমামের আবির্ভাবের সময় নিকটবর্তি হয়ে গেছে।
দামুক্লেসের তরবারি কি?
উত্তরঃ ইউনানের ইস্তারেতে বর্ণিত হয়েছে এটা এমন এক তরবারি যখন তুমি কারো সাথে যুদ্ধ করছো। তখন তরবারিকে তুমি তোমার সবচেয়ে বড় শত্রুর গলায় ধরবে এবং এমতাবস্থায় যদি সে একটু ভুল করে তাহলে তরবারিটি দ্বারা তার গলা কেটে দিবে।
সিরিয়া হুশিয়ারী বাণী দিয়েছে যে, যদি তোমরা একটু ভুল কর তাহলে আমরা ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঘাত হানবো এমতাবস্থায় ইসরাইলের পারমানবিক হুমকির সম্মুখিন হয়ে দাড়াবে।
আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এরা সবাই মিলে সিরিয়ার প্রতি যৌথভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। যেহেতু আমেরিকা সিরিয়ার থেকে দূরে অবস্থিত সেহেতু সে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে।
আমেরিকা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অজুহাতে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। জার্মানী যখন উন্নতির পথে ছিল তখন আমেরিকা সেখানে আসে এবং পারমাণবিক বোমার বিষ্ফোড়ন ঘটায়। আমেরিকা যেখানে চেয়েছে সেখানে সে কোন না কোন এক অজুহাতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে যে, সিরিয়ার সাথে আমেরিকার যুদ্ধ ইরাক এবং আফগানিস্থানের সাথে পার্থক্য রয়েছে যেমনঃ তারা যুদ্ধের ময়দানে আসে এবং বিভিন্ন স্থানে তারা অবস্থান করে যেমন ইরাক ও আফগানিস্থান।
আমেরিকা সরাসরি ইরানে হামলা করতে পারবে না কেননা তাতে অনেক পুঁজির প্রয়োজন রয়েছে এইজন্য সে বলেছে যে আমি এমন এক শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন করবো যারা আমার কথা শুনবে এবং নিজেরাই খরচ করবে তাদের সবকিছু আমাদের উপকারে আসবে।
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, পশ্চিমারা শামে প্রবেশ করবে কিন্তু কর্তৃত্ব থাকবে সুফিয়ানীদের হাতে অর্থাৎ পশ্চিমারা আসবে কিন্তু তারা একজন ব্যাক্তির নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।
রেওয়য়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, সুফিয়ানীদের গলায় ক্রুশ ঝুলানো থাকবে। তারা কেমন মুসলমান যাদের গলায় ক্রুশ ঝুলানো থাকবে? আমরা ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাব যে আমাদের এইধরণের মুসলমান অনেক রয়েছে।
শত্রুরা ইসলামের অনেক কিছুই বিকৃত করেছে এবং করবে যেমনঃ বলা হয়েছে যে, শামের একটি গ্রাম ধ্বসে যাবে কিন্তু তাদের চেষ্টা হচ্ছে উক্ত ঘটনাকে পাহাড় ধসের নাম দিয়ে ধামাচাপা দেয়া। এছাড়াও তারা কয়েকজন মাহদীকে তৈরী করে এবং তাদেরকে মক্কার রুকুন ও মাকামের স্থান থেকে আটক করেছে। তারা উক্ত ব্যাক্তিকে টাকা দেয় যেন সে নিজেকে মাহদী বলে দাবী করে! উক্ত ব্যাক্তিও টাকার লোভে নিজেকে মাহদী বলে দাবী করে। যখন সবাই সেখানে একত্রিত হয়ে যায় তখন তাকে আটক করা হয়।
সুফিয়ানীরা শামের পরে ইরাকেও হত্যাযজ্ঞ চালাবে এবং তার ফল হবে অত্যান্ত ভয়ানক। যখন তারা শামে জয়ি হবে তখন তারা ইরাকের দিকে অগ্রসর হবে এবং সেখানেও হত্যাযজ্ঞ চালাবে এবং তার মধ্যে দেজলা এলাকাগুলোতে তিনদিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চালাবে এবং তা রক্তাক্ত হয়ে যাবে।
ওহাবীরা হুজর বিন উদায় এর কবরকে খনন করে এবং তার লাশকে উত্তোলন করে আর যদি সুফিয়ানীরা আসে তাহলে অন্যান্য কবরের কি অবস্থা হতে পারে?
আর যদি তারা ইরাকে আসে তাহলে মুসলিম জাহানের খলিফা হজরত আলী (আ.) এর কবরের অবস্থা কি হতে পারে?
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, ইরানে সৈয়দ খোরাসানী কালো পতাকা নিয়ে কিয়াম করবেন।
ইরাকে কেরকিসিহা নামক যুদ্ধ সংঘটিত হবে। রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, এটা এমন এক স্থান যেখানে সোনার পাহাড় আবিষ্কৃত হবে যার ফলে সমস্ত জালিমেরা সেই পাহাড় দখলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে এবং এর ফলে প্রতি ১০ জনে ৭ জন অত্যাচারী মারা যাবে এবং ইরাকে এমন যুদ্ধ সংঘটিত হবে যে সে যুদ্ধে অনেক অত্যাচারীরাই মারা যাবে এর ফলে তারা শিয়াদের কে হত্যা করার জন্য প্রচার করবে, যে শিয়াদের মাথা কেটে আনতে পারবে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে। এখন শুধু ইরাকে বোমা বিষ্ফোড়ন করা হচ্ছে সিরিয়ার ন্যায় মাথা কেটে আনার হুকুম জারী করা হয়নি। কিন্তু যখন এই হুকুমটি সিরিয়াতে সম্পূর্ণভাবে জারী হয়ে যাবে তখন ইরাকেও তা জারী করা হবে। এরপরে সুফিয়ানীরা ইরানে হামলা করবে এবং সিরাজ শহরে তারা পরাজিত হবে। তারা সেখানেও সিরিয়ার ন্যায় হত্যাযজ্ঞ চালাবে।
যদি সিরিয়াতে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাহলে উক্ত যুদ্ধে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, লেবানন এবং রাশিয়া উক্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে এবং হয়তো এর এর কারণে সিরিয়ার আশেপাশের দেশগুলোও উক্ত যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং তারা চেষ্টা করবে যেন ইরানও উক্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুক। এমতাবস্থায় সমস্ত স্থান অরক্ষিত থাকবে।
ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমণের পর ২৩শে রমজান আকাশ থেকে শব্দ আসবে যে, ইমাম মাহদী এবং তার সঙ্গিদের কাছেই হক্ব রয়েছে এবং সবাই তা শুনতে পারবে। পরের দিন শয়তানে পক্ষ থেকে আহবান জানানো হবে যে হক্ব উসমানের ও তার সঙ্গিদের সাথে রয়েছে।
যদিও তখনও ইমাম মাহদী (আ.) তখনও কিয়াম সংঘটিত হয়নি। কিন্তু তারপরেও এই আহবানগুলো সবাই শুনতে পারবে।
উক্ত রেওয়ায়েতে উসমানী কাকে বোঝানো হচ্ছে?
সুফিয়ানীদেরকে উসমানী বলা হচ্ছে। কেননা তারা তাদের যুদ্ধকে মাযহাবী যুদ্ধে রূপান্তর করবে কারণ তাদের চেষ্টা হবে যেন সমস্ত আহলে সুন্নাতরা তাদের পতাকার ছায়াতলে অবস্থান করে এবং এভাবে তারা মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করবে। তখন এমন এক অবস্থা বিরাজমান করবে যে, বন্ধু ও শত্রু সবাই ইমামকে খোজ করতে থাকবে। শত্রুদের চেষ্টা থাকবে যেন তারা ইমামকে হত্যা করতে পারে এবং বন্ধুদের চেষ্টা থাকবে যে তারা ইমামকে সাহায্যে করতে পারে।
নাফসে যাকিয়ার হত্যা
মক্কায় রুকুন মাকামের মাঝে একজন সৈয়দ কিয়াম করবে যার চেহারা হবে উজ্জল এবং নূরান্বিত এবং শত্রুরা তাকে ইমাম মাহদী বলে মনে করবে এবং তাকে রুকুন ও মাকামের মাঝে যেখান থেকে তিনি কিয়াম করেছিলেন সেখানেই হত্যা করবে। উক্ত ঘটনার কারণে শত্রুরা আনন্দিত এবং ইমামের অনুসারীরা দুঃখিত হবে। এমতাবস্থায় সুফিয়ানীরা মদীনাতে হামলা করবে এবং সেখানেও হত্যাযজ্ঞ চালাবে তারপর তারা মক্কার দিকে অগ্রসর হবে যেন তারা ইমাম মাহদী (আ.) কে ধরতে পারে। অতঃপর ইমাম মাহদী (আ.) রুকুন ও মাকামের মাঝে কিয়াম করবেন এবং সারা পৃথিবীতে তাঁর হুকুমত কায়েম করবেন।