বাঙ্গালী
Wednesday 1st of May 2024
0
نفر 0

ধর্মকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছে

ধর্মকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছে

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নীতি নৈতিকতা,মূল্যবোধহীনতার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। তো এ সম্পর্কে আজ আমরা কিছু কথা বলব ।

বাংলাদেশে ইদানীং তরুণদের মাঝে নীতি-নৈতিকতাহীনতা ব্যাপক মাত্রায় লক্ষ্য করা যায়। মাদক সেবন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি মেয়েদের ওপর লাঞ্ছনার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির মেয়েদের সম্ভ্রমহানী ঘটছে। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়েছে।

এর পেছনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অনেক কারণ রয়েছে। প্রত্যক্ষ কারণের মধ্যে আইনের শাসন, সামাজিক অনুশাসন ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের ব্যাপার রয়েছে। তো এ বিষয়ে আইন এবং আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে আমি একটু কথা বলবো। দেখা যাচ্ছে আইন আছে যে এই অপরাধটি করলে তার জন্যে এই শাস্তি হবে। কিন্তু সেই আইন যদি শিথিল হয় এবং তা বাস্তবায়ন না হয় তখন অপরাধী অপরাধ করতে ভয় পায় না। আমার মনে হয় এটি সবচেয়ে বড় সমস্যা।

উপরে  যেসব বিষয় বলা হয়েছে বিশেষ করে মেয়েদের লাঞ্ছনা বা সম্ভ্রমহানির ঘটনা। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন এসব বিষয়ে কিন্তু কঠোর কোনো আইন নেই ; এ সব বিষয়ে অপরাধীর যে কঠিন শাস্তি হবে তাও কিন্তু নয়। তাছাড়া এ ধরনের শাস্তির উদাহরণ খুব বেশী নেই। যে কারণে দেখা যায় তরুণ সমাজের মধ্যে যারা অপরাধী তারা এই ঢিলেঢালা অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে।

আরেকটা বিষয় আপনি বলেছেন, ব্যাপক মাত্রায় এসব অনৈতিক কাজ হচ্ছে- এ প্রসঙ্গে বলবো-ব্যাপক মাত্রার বিষয়টি কিন্তু আমাদের চোখে আসে না। কারণ কাগজে যা আসে আমরা সেটাই দেখি। আর তার পরিমাণ কিন্তু খুব বেশী নয়। তবে তা চোখে পড়ে এবং বেদনাটা অনেক বেশী। ফলে সামগ্রিক অবস্থায় বিচার করলে বাংলাদেশে এখনও নৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েনি তবে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে এবং এর কিছু সিমটম দেখা যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি, কলেজ বা স্কুলের মেয়েরা যে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এর বাইরেও বিবাহিত মেয়েরা কিন্তু নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়, যৌতুকের বলি হয় ও পারিবারিক বঞ্চনার শিকারে পরিণত হয়। এসব ক্ষেত্রেও দেখা যায় নানা কারণে অনেক গৃহবধুকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে আমি বলবো, স্বামী স্ত্রীর বন্ধন, পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাসহীনতা, পারিবারিক বন্ধন লোপ, পারিবারিক ভাঙন ও সামাজিক ভাঙন এসবের কারণে যখন ভালোবাসার যে আসল রূপ তা লোপ পায় এবং যান্ত্রিক একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়। আর পারিবারিক জীবনে বা সামাজিক জীবনে এসব যান্ত্রিক ব্যবহারের কারণে পারিবারিক জীবনকেও বিপদগ্রস্ত করছে বলে আমার মনে হয়। আর এসব ঘটনা আমাদের মনকে পীড়িত ও ব্যথিত করে তোলে।

ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এখন নেই। আমাদের ছোটবেলায় আমরা নামায পড়ার ব্যাপারে, কোরআন পড়ার ব্যাপারে বা মক্তবে যাবার ব্যপারে অর্থাৎ ধর্মীয় মূলবোধের ব্যাপারে পারিবারিকভাবে যেভাবে শিক্ষা পেয়েছি অনুপ্রেরণা পেয়েছি এখন তা বেশ কমে গেছে। এখন সেই স্থান দখল করেছে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল,ইন্টারনেট ইত্যাদি। কোনো কোনো টিভি চ্যানেল যেসব অনুষ্ঠান প্রচার করে, বিশেষ করে মেয়েদেরকে আধুনিক করে তোলার কথা বলে যেসব অর্ধনগ্ন ড্রেস পরানো হয়,বা ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার ব্যাপারে যেভাবে উৎসাহিত করা হয় অনেকে মনে করেন এসব দেখে ছেলে মেয়েরা বেশী বেশী নষ্ট হচ্ছে।

হ্যাঁ এটা অবশ্যই ঠিক। পৃথিবীর ইতিহাসে সভ্যতার যে বিকাশ তা কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে হয়েছে। অর্থাৎ সভ্যতার বিকাশ হয়েছে ধর্মকে ভিত্তি করে। সংস্কৃত ধৃ ধাতু থেকে উৎপত্তি হয়েছে ধর্মের অর্থাৎ ধারণ করা তার মানে হচ্ছে ভালোটা ধারণ করা । সংস্কৃতে বলা হয় যাকে সংস্কার করে রাখা হয়। তো মানুষকে ভালো করার যে চেষ্টা এই চেষ্টা কিন্তু শুরু হয় ছোট বেলা থেকে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাস ঠাস। 'অর্থাৎ ঠিক ছোটবেলায়-শিশু যখন কোমলমতি থাকে- তখন তার কাছে যে বিষয়টি ভালো লাগে, সুন্দর লাগে সেটিকে সে লালন করে। আর সেই সুন্দর ও সত্য ও নৈতিকতার ভীত যদি আমরা ছোট বেলায় গড়ে তুলতে না পারি তাহলে এর বিরূপ ফল আমরা পরবর্তীতে লক্ষ্য করি । আপনি যথার্থই বলেছেন যে আমাদের ঐতিহ্য ছিল যে ছোট বেলায় আমরা কায়দা বা ছেপারা হাতে নিয়ে মক্তবে ছুটেছি; সেখানকার হুজুর আমাদের কায়দা পড়িয়েছেন, কোরআন পড়িয়েছেন এবং ধর্মের মৌলিক কিছু নৈতিক শিক্ষা আমাদেরকে দিয়েছেন। আর সেগুলোই আমাদেরকে সুপথে চলার জন্য বা রাখার জন্য একটি আদর্শ বা মডেল হিসেবে বা নৈতিক মানদন্ড হিসেবে কাজ করে। ঐসব অনুশাসন সুপ্ত অবস্থায় আমাদের মধ্যে থেকে আমাদেরকে সুপথে চালিত করে থাকে। তবে এই যে মক্তব ব্যবস্থাটি ছিল বা প্রাথমিকভাবে এসব বিষয়ে শিক্ষার যে ব্যবস্থা এখন কিন্তু এটি আর সেভাবে নেই। এখন পারিবারিকভাবে কোনো শিক্ষককে বাড়ীতে রেখে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। স্কুল কলেজগুলোর পাঠ্য পুস্তকে বা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টি অনেকটা অবহেলিত বল্লেই চলে। একটি জাতির নৈতিক মনন গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যপুস্তকে বা সিলেবাসে নৈতিকতার যে বিষয় সেটি যদি চর্চা না করা হয় তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে সমাজে। মনন তৈরী করার কাজটি যেহেতু ছোট বেলায় করা দরকার সেটি যেহেতু ছোট বয়সে যথাযথভাবে করা হচ্ছে না ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এর সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে যে বিষয়গুলো আসছে যেমন ধরুন টিভি চ্যানেল, সিডি-ভিসিডি, পর্ণ্য পত্রিকা,সিনেমা, কনসার্ট বা কোনো একটি দিবসকে কেন্দ্র করে যেমন থার্টি ফার্স্ট নাইট ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষঙ্গ এখন যোগ হয়েছে এগুলোকে উস্কে দেয়ার জন্য। পোশাকের ক্ষেত্রেও কিন্তু একথা বলা যায়। আপনি যে কথা বল্লেন যে আধুনিকতার নামে মেয়েদেরকে অর্ধনগ্ন পোশাক পরানা এবং অবাধ মেলামেশার বিষয়টি। দেখুন, আমাদের জাতীয় কোনো পোশাক না থাকায়- একজনের চোখে যে পোশাকটি ভালো লাগে -সেই ভালো লাগার দৃষ্টিভঙ্গী আবার ভিন্ন। যিনি ভালো দৃষ্টিভঙ্গীতে চিন্তা করেন তারটা একরকম হয় ; আবার অনুকরণ করতে গিয়ে বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন সংস্কৃতির পোশাক তারা পরছেন। অনেক সময় পোশাক কিন্তু কথা বলে। পোশাকের মাধ্যমে কিন্তু তার মনের অবস্থা প্রকাশ করে। পোশাক অনেক সময় মানুষকে বাধ্য করে খারাপ পথে যেতে। তো সেই অর্থে দেখা যায় যে অর্ধ নগ্ন ড্রেসগুলো পরিবেশকে কলুষিত করে। তারা আজ যে বিষয়টির দোহাই দিয়ে এ ধরনের কাজ করছে- তার নাম হচ্ছে প্রগতি। তারা বলতে চায় এগুলো হচ্ছে প্রগতিশীলতা। তবে প্রগতি শব্দের অর্থের সাথে হয়তো তারা সংযোগ স্থাপন করতে পারিনি। প্রগতি শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রকৃষ্ট গতি; প্রকৃত গতি। কিন্তু তারা করছে বিপরীতমুখী কাজ। এভাবেই আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা অনাচারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়া আরো একটি বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে যারা বেকার ছেলেমেয়ে, যারা স্কুল কলেজ থেকে ঝরে পড়েছে তাদের মধ্যে নানা ধরনের অপকর্মের চিন্তা বাসা বাঁধে। এ কথা তো আপনারা সবাই জানেন যে, কর্মহীন বা বেকার মানুষের মধ্যে শয়তান বাসা বাঁধে। যে কারণে তাদেরকে দিয়ে অপকর্ম করানো সহজ হয়,তারাও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর এর শিকার হয় অনেক তরুণ তরুণী। এভাবে তরুণ সমাজ বিপথে পরিচালিত হয় এবং একটি বিপথগামী গ্রুপ অন্যদেরকে উৎসাহিত করে। আর এভাবেই তারা একটি গহীন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়। তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে আনা, তাদেরকে পরিচর্যা করা,তাদেরকে সুস্থ করে তোলা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবস্থায় সে ধরনের অবকাঠামো নেই। ফলে সামাজিক ভাঙনে এসব বিষয় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

সাম্রাজ্যবাদী বা ইহুদীবাদী একটা চক্র অবশ্যই এর সাথে জড়িত থাকতে পারে। কারণ তারা আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের প্রভাব বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করার কাজে রত। একসময় সারা বিশ্ব রাজনৈতিকভাবে দ্বিধা বিভক্ত ছিল। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড বা থার্ড ওয়ার্ল্ড এভাবে বিভক্ত ছিল। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের পতনের পর ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগ যখন শুরু হলো; পুঁজিবাদ যখন অনেক বেশী অগ্রসর হয়ে গেল- তখন তারা তাদের সামনে নতুন সিমটম খুঁজতে শুরু করল। বিশ্বকে শাসন করার জন্য তাদের বলয়কে আরো কিভাবে বিস্তৃত করা যায় এবং অন্যদেরকে কিভাবে তাদের আওতায় নিয়ে আসা যায় বা অধীনস্ত করা যায় সে ব্যাপারে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ল। দেখুন! পৃথিবীর যেসব দেশে নৈতিক অনুশাসন আছে- সেই নৈতিক বিষয়টি সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে বা ইহুদীবাদীদের কাছে বড় বাধা হয়ে উঠল এবং নৈতিকতাহীনতার মধ্যে যদি সেই সব দেশকে প্রবিষ্ট করানো না যায় তাহলে সাম্রাজ্যবাদী ধ্যান ধারণাকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব না। তাদের ভাবনা- এসব নৈতিকতা এক সময় তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সামনে এসে দাড়াবে। আর এ জন্য সাম্রাজ্যবাদী চক্র অত্যন্ত সুকৌশলে আজ বিশ্বে ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা গ্লোবালাইজেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ের মাধ্যমে তারা পৃথিবীর দেশগুলোতে নষ্ট করার পাঁয়তারা করে। এসব বিষয়কে বাণিজ্যিক কৌশল বলি বা কূটনৈতিক কৌশল বলি, ডিশ সংস্কৃতির মাধ্যমে বা আকাশ সংস্কৃতির মাধ্যমে বলি বিভিন্নভাবে চতুর্মূখী আক্রমণের মাধ্যমে ঘায়েল করার একটি প্রক্রিয়া চলছে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশের লোকাল এজেন্টদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো একটি দেশকে টার্গেট করে তাকে ধ্বংস করার জন্যে তারা সেখানে নানারকম ষড়যন্ত্র করছে । যেমন ধরুন- ফেনসিডল যদি কোনো দেশে সহজলভ্য করে দেয়া যায়, মাদক দ্রব্য যদি সহজলভ্য করে দেয়া যায়, জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণগুলো যদি সহজলভ্য করে দেয়া যায়- তাহলে এসবের মাধ্যমে দেশ এবং সমাজের মানুষকে নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো সহজ । আর এর পেছনে আপনি যে কথাটি বলেছেন যে সাম্রাজ্যবাদী এবং ইহুদীবাদী চক্রান্ত থাকতেই পারে। আমি বলবো থাকাটাই হয়তো স্বাভাবিক।

এসব বন্ধ করার কী উপায়? সরকার পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। এভাবে কি এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব,নাকি নীতি-নৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ইত্যাদি শেখানোর প্রয়োজন আছে।

আজ সারা পৃথিবীতে নতুন যে জাগরণ এসেছে- সাহিত্যের ক্ষেত্রে আমরা যেমন দেখি উত্তরাধুনিকতার বিষয়। নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতির উপর নিজেদের আবার জেগে ওঠা; ঐতিহ্যের পুনঃ উন্মোচন বা পুনর্জাগরণ। আর সে বিষয়টিকে যদি সামনে নিয়ে আসা যায় তাহলে দেখতে পাওয়া যাবে আমাদের অতীত কিভাবে ছিল। আমাদের পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক বন্ধন, রাষ্ট্রীয় বন্ধন যেভাবে গড়ে উঠেছিল সে অবস্থায় ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে কিভাবে এটা সম্ভব সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।বর্তমান সময়ের নানা রকম অনৈতিকতা, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক দিকের বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসন যা আমাদের তরুণ তরুণীসহ সমাজ ব্যবস্থাকে কুরে কুরে খাচ্ছে সেসব বিষয়কে চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বিষয়টাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করতে হবে। আর পরিবার থেকেই এর যাত্রা শুরু করতে হবে।এর ফলে পরিবার পরিশুদ্ধ হবে; সমাজ পরিশুদ্ধ হবে এবং রাষ্ট্রও পরিশুদ্ধ হবে। এটা একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। ঘটনা যখন ঘটে যায় তখন সরকার হয়তো পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে পারে বা বিচারের সম্মুখীন করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত যে অবয়বটি বা পরিবেশটি সেটি কিন্তু সমাজ নিয়ন্ত্রণ না করলে সরকারের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কখনই সম্ভব নয়; কোনো দেশে সম্ভব নয়। পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে স্কুল কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে- এসব বিষয়ে অধ্যায়ন করানো, চর্চা করানো বা অনুশীলনে উৎসাহিত করতে হবে। তাছাড়া যারা এসব বিষয়ে গবেষণা করবে, পথ নির্দেশনা দেবে তাদেরকে পুরষ্কৃত করা-এভাবে সমাজে যদি নীতি নৈতিকতার চর্চাকে ব্যাপকভাবে সামনে নিয়ে আসা যায় তাহলে আমার মনে হয় এসব সমস্যা তখন আর থাকবে না, আলো উদ্ভাসিত হবে আধাঁর দূরীভূত হবে।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

শিয়া-সুন্নি বিরোধ কেন? শিয়ারা কি ...
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জীবনী-১৩তম পর্ব
হযরত আলীর বীরত্ব ও সাহসিকতা
‘১০ বছরের মধ্যে ব্রিটেন হবে ...
আল কোরআনের অলৌকিকতা (১ম পর্ব)
ইহুদী জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
হুজুর (সা.)-এর সন্তান-সন্ততিগণ
ইমামত
সূরা ইউসুফ; (১৪তম পর্ব)
কোরআনের মুহকাম বা সুস্পষ্ট ও ...

 
user comment