আয়াতুল্লাহ সাফি গুলপাইগানী ইরানের এক দাতব্য সংস্থার সদস্যদের মাঝে বক্তৃতাকালে বলেছেন: আখেরাতের সর্বোত্তম পাথেয় হল, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা; যা এ ধরনের কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়।
আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দান বিষয়ক ঐ দাতব্য সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যরা বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহ আল-উজমা লুতফুল্লাহ সাফি গুলপাইগানীর বাসগৃহে উপস্থিত হয়ে তার সাথে সাক্ষাত করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. শাহরিইয়ারি সংস্থার বিভিন্ন তৎপরতার উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এরপর আয়াতুল্লাহ সাফি পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদা’র ৩২ নং আয়াত (এবং যে কারো জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন করে) তেলাওয়াত করে বলেন: মানুষকে সুস্থ্য রাখার লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মহান সওয়াবের অধিকারী। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে এমন তাওফিক আপনারা প্রাপ্ত হয়েছেন এজন্য আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। যে ফুরসত আপনারা পেয়েছেন সেটার মূল্য বুঝতে হবে। জেনে রাখুন পরকালের সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ইমামে যামানা (আ. ফা.) এর প্রতি ভালবাসা ও তাঁর অনুসরণ; আর এগুলো আপনাদের এ ধরনের কর্মসূচীর মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
‘একজন মু’মিনের অন্তরকে আনন্দিত করার মত বড় ইবাদত আর কিছু নেই’ –এ হাদিসটি উল্লেখ করে তিনি বলেন: দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষেরা বিশেষতঃ সুবিধা বঞ্চিত এলাকার মানুষেরা আপনাদের থেকে উপকৃত হয় এটা বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী। আর বর্ণিত হাদিসের আলোকে এটা সর্বোত্তম ইবাদতগুলোর অন্যতম। আর এটাও জেনে রাখুন, আপনাদের কাজের বিষয়ে বিশেষতঃ দুস্থ এবং বঞ্চিতদের প্রতি আপনাদের সেবাদানে সবচেয়ে বেশী যিনি খুশী হন, তিনি হলেন যুগের ইমাম হযরত মাহদি (আ. ফা.)।