আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনা : তার মরহুম পিতা ও বসরা শহরের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ মীর্জা মুহসিন ফাদ্বলী’র নিকট তার ধর্মীয় শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। শেইখ আব্দুল হাদী শৈশবে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার পর ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন শুরু করেন। তিনি সরফ, নাহু, মানতিক, বালাগাত ইত্যাদি বিষয় স্বীয় পিতার নিকটেই শিক্ষা লাভ করেন, অতঃপর তিনি ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য নাজাফ গমন করেন।
তিনি বহু বছর যাবত আয়াতুল্লাহগণ ‘আবুল কাসেম খুয়ী’, ‘মুহাম্মাদ তাহের আলে রাযী’, ‘শেইখ মুহাম্মাদ রেজা মুযাফ্ফার’ ‘সৈয়দ মুহাম্মাদ তাকী হাকিম’, ‘শহীদ সৈয়দ মুহাম্মাদ বাকের সাদর’ প্রমূখের দরসে খারিজে অংশগ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি তিনি বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পড়াশুনা অব্যাহত রাখেন।
আল্লামা ফাদ্বলী এতটাই মেধাবি ও কর্মঠ ছাত্র ছিলেন যে, মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রখ্যাত শিয়া মনীষী ও ‘আয-যারিয়া’ গ্রন্থের প্রণেতা ‘আগা বুযুর্গে তেহরানী’ তার প্রশংসা করে ‘বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত যুবক’ হিসেবে পরিচয় করান। শেইখ আব্দুল হাদী আল-ফাদ্বলী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন; এ ছাড়া তিনি ১০টিরও বেশি অভিধান ও বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন।
হযরত ইমাম খোমেনী, শহীদ মুর্তাজা মুতাহহারী এবং শহীদ সাদরের ন্যায় হাওযা ইলমিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন মরহুম আল্লামা ফাদ্বলী।
আল্লামা ফাদ্বলী ইরাকে অধ্যায়নের সময় বস্তুবাদী’দের সাথে বিভিন্ন বিতর্ক করেছেন এবং এদেশের ‘হিজবুদ দাওয়াতুল ইসলামিয়াহ’ দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এছাড়া সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের জনগণের মাঝে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।#