আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : সৌদি আরবের প্রধান মুফতি দাবী করেছেন, হারামাইন শারিফাইনে অবস্থিত যে কোন প্রাচীন নিদর্শন ভেঙ্গে দেওয়ায় কোন সমস্য তো নেই-ই বরং একটি জরুরী কাজ।
প্রাচীন ইসলামি নিদর্শনসমূহকে ‘বস্তু’ আখ্যায়িত করে ‘আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ আলুশ শেইখ’ বলেছেন : সম্প্রসারণের জন্য এ সকল বস্তু সরিয়ে ফেলা জরুরী এবং এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
মক্কা ও মদিনার প্রাচীন ইসলামি নিদর্শন ভেঙ্গে ফেলার অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, অথচ এদেশের কর্মকর্তারা বহু বছর ধরে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ রক্ষার নামে বৃহত বাজেট ব্যয় করে ‘জেনাডরিয়্যাহ’ (Jenadriyah) শিরোনামে বৃহত এক উত্সবের আয়োজন করে আসছে, যাতে নৃত্য ও সঙ্গিত পরিবেশিত হয়। এ উত্সবে সৌদির ধর্মীয় পুলিশ এবং ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী’র মাঝে সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটে।
সৌদি কর্মকর্তারা ১০ বছর পূর্ব হতে পবিত্র মক্কা নগরীর প্রাচীন ঐতিহাসিক ও ইসলামি নিদর্শন ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে। তারা মহানবী (স.) এর জন্মস্থান একটি পাবলিক লাইব্রেরীতে রূপান্তরিত করেছে এবং তাঁর সম্মানিত স্ত্রী হযরত খাদিজা (সা. আ.) এর গৃহকে তারা ভেঙ্গে সে স্থানে নির্মাণ করেছে পাবলিক টয়লেট (!!!!)। এছাড়া বদরের যুদ্ধসহ ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রকেও তারা পার্কিংয়ে রূপান্তরিত করেছে।
‘ধর্ম বিষয়ক পর্যটন’ খাতে উন্নয়নের বাহানায় এসব প্রাচীন ঐতিহাসিক ও ইসলামি নিদর্শন ধ্বংস করছে সৌদি কর্মকর্তারা। কেননা এ খাতে তারা ব্যাপক লাভবান হয়েছে এবং প্রত্যেক বছর তাদের লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিগত দুই দশকে সৌদি আরবের ১০০ বছরের উর্ধ্বে বয়সের শতকরা ৯৫ ভাগ ভবন ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। শহর সংস্কারের কর্মসূচী’র আওতায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এটা হাজীদের স্বার্থসিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, পবিত্র মক্কা নগরী ছাড়াও মদিনা মুনাওয়ারা’র জন্য বিশেষ কর্মসূচী রয়েছে সৌদি কর্মকর্তাদের হাতে, বিশেষভাবে মসজিদে নববী এবং তাঁর পবিত্র মাজারের জন্য।