বইঃ দোয়া-ই- কুমাইলের ব্যাখ্যা
লেখকঃ উস্তাদ হুসাইন আন্সারিয়ান
হে কুমাইল! নিজের গোত্রের লোকদেরকে নির্দেশ দাও, তারা যেন দিনে হালাল রুজির জন্য ও চারিত্রিক পূর্ণতা অর্জনের জন্য বের হয় এবং রাত্রে তারা অসহায়দের সাহায্যের জন্য বের হয়।
সেই মহান আল্লাহর শপথ! যিনি সকল কিছুই শ্রবণ করেন এবং সকল আওয়াজ তার আওতাধীন। যদি কেউ আল্লাহর কোন বান্দাকে আনন্দিত ও খুশি করে মহান আল্লাহ প্রতিদান স্বরূপ তার জন্য অনুগ্রহ দান করেন। যদি ঐ ব্যক্তি কোন বিপদে পড়ে তখন মহান আল্লাহর ঐ অনুগ্রহ তার মসিবত দূর করার জন্য পানির মত প্রবাহিত হতে থাকে, যতক্ষণ না সেই মুসিবত তার থেকে বিতাড়িত হয়। যেমন ভাবে উট অন্যদের থেকে নিজের অধিকারে থাকা পানিকে রক্ষা করে।[1] .[2]
«وَقَالَ عليه السلام لِكُمَيْلِ بْنِ زِيَادٍ النَّخَعِيِّ: يَا كُمَيْلُ مُرْ أَهْلَكَ أَنْ يَرُوحُوا فِي كَسْبِ الْمَكَارِمِ وَيُدْلِجُوا فِي حَاجَةِ مَنْ هُوَ نَائِمٌ فَوَالَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ مَا مِنْ أَحَدٍ أَوْدَعَ قَلْباً سُرُوراً إِلّا وَخَلَقَ اللَّهُ لَهُ مِنْ ذَلِكَ السُّرُورِ لُطْفاً فَإِذَا نَزَلَتْ بِهِ نَائِبَةٌ جَرَى إِلَيْهَا كَالْمَاءِ فِي انْحِدَارِهِ حَتَّى يَطْرُدَهَا عَنْهُ كَمَا تُطْرَدُ غَرِيبَةُ الإِبِلِ».
নাহজুল বালাগা; খুতবা-১৪৩
উক্ত হদিসটি একটি অতি প্রসিদ্ধ হাদিস, যা ইবনে কাছির দামেস্কি তার ‘আল বেদায়া ওয়ান নাহায়া গ্রন্থের নবম খণ্ডে ৪৭ পৃষ্ঠায় বরর্ণনা করেছে;
وقد روى عن كميل جماعة كثيرة من التابعين و له الأثر المشهور عن على بن أبى طالب الّذي أوله «القلوب أوعية فخيرها أوعاها» و هو طويل قد رواه جماعة من الحفاظ الثقات و فيه مواعظ و كلام حسن رضى اللَّه عن قائله
[2] যে সকল হাদিস গ্রন্থে রেওয়ায়েতটি কুমাইল হতে বর্ণিত হয়েছে: আল তাবাকাতুল কোবরা, ইবনে সাইদ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৯; তাবাকাত খালিফাহ: ১৪৮; তারিখে খালিফা: ২৮৮; আত তারিখুল কুবরা: ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৪৩; তারিখুল ছাকাত: ৩৯৮; আল মা’রেফাতু ওয়াল তারিখ: ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৪৮১; আনসাবুল আশরাফ (চতুর্থ হিজরী) ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫১৭, ৫২৯, ৫৩৪, ৫৪৩ এবং ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, ৪১, ৪৫, ৫৪; ফুতুহুল বুলদান, পৃষ্ঠা ৪৫৮; আল ফুতুহ্, ইবনে আ’ছাম, ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৪১; তারিখুল ইয়াকুবী ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২০৫ ও ২০৬, তারিখে তাবারি, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১৮, ৩২৩, ২৩৬, ৪০৩, ৪০৪ এবং ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৫০ ও ৩৬৫; আল জারহ ওয়াল তা’য়দিল, ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৪, ১৭৫; আল ছেকাত, ইবনে হাব্বান, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৪১; জুমহুরাতু আনসাবুল আরাব, পৃষ্ঠা: ৪১৫; মারওয়াজ আজ্জাহাব, পৃষ্ঠা ১৭৪৯; আল তানবিহ ওয়াল এশরাফ, পৃষ্ঠা ২৭৫; আল ইরশাদ ফি মা’রেফাতু ইলমায়ুল বালা, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২২১, আইনুল আদাব, পৃষ্ঠা: ২৬৫; সারাজুল মুলুক, পৃষ্ঠা: ১১০; আল খেছাল, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৮৬; আল আমালী, শেখ তুসি, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৯; রেজাল, শেখ তুসি, পৃষ্ঠা ৫৬; দিয়ানুল মা’য়ানি ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৪৬ ও ১৪৭; আল জুলিসুস সালেহ, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৩১; শারহে নাহজুল বালাগা, পৃষ্ঠা: ৪৯৫ থেকে ৪৯৭; হালকাতুল উলা, ১ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৭৯ ও ৮০; সাফাহাতুস সুফুত, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১২৭; আল কমেল ফিল তারিখ, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৩৮, ১৪৪, ১৮৩, ২০৫, ৩৭৬ এবং ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৪৭২ ও ৪৮১; আল আকদুল ফারিদ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২১২ ও ২১৩; উয়ুনুল আখবার, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১২০ ও ৩৫৫; তাহজিবুল কামাল, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১১৫০; আহাদুল খুলাফায়ুল রাশেদিন (তারিখুল ইসলাম), পৃষ্ঠা: ৩৮৩ ও ৪৩০: আল মুগনি ফিল জুয়াফা, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩৩; তাকরিবুত তাহজিব, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৩৬; খোলাছাহ তাহজিবুত তাহজিব, পৃষ্ঠা: ৩২৩; আল বেদায়াতু ওয়াল নেহায়ে, ৯ম খণ্ড, পৃষ্ঠ: ৪৬ ও ৪৭; আত তাজকারাতুল হামুদুনিয়াহ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা: ৬৭; আল ইসাবাহ, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩১৮ উল্লেখ করা হয়েছে।