সমকালীন চৈতন্য জগতে, চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই, দৃষ্টিপাত করে লক্ষ্য করবেন, এবং বিমূঢ় হবেন যে, বোধ, চেতনা এবং চিন্তায় ব্যাপক পতন—উদ্দিষ্ট মর্মের তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বিভিন্ন শব্দের। এ গোত্রেরই একটি শব্দ হচ্ছে الأخوة في الله বা আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব।
الأخوة في الله বা আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব সে মজবুত দৃঢ় বন্ধন, যা প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মাঝে সুদৃঢ় বন্ধন অটুট রাখে ; এ প্রেমের বন্ধন অন্য কিছু নয়, কেবল প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মাঝে আল্লাহর নৈকট্য সঞ্জাত প্রেম। ‘মোহাব্বাত’ বা প্রেম-ভালোবাসাকে, মুসলিম মনীষী ইমাম নববী, সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে—যা প্রেমিকের ‘মত’, তার প্রতি ঝোঁক। ইবনে হাজর রহ. এর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে—ঝোঁক দ্বারা উদ্দেশ্য যা সর্বতোভাবে ঐচ্ছিক—পিতা-মাতা-বা যাদের সাথে সম্পর্ক-ভালোবাসা প্রাকৃতিক, এবং যে প্রেম-ভালোবাসা চাপিয়ে দেয়া—তা নয়। ভালোবাস হচ্ছে, যাকে কল্যাণময় বলে জ্ঞান করে, বিশ্বাস করে, তা উদ্দেশ্য করা।[১]
সৎ ভ্রাতৃত্ব মানুষের আদি স্বভাবের গভীরে প্রোথিত, যা পর্যবসিত হয় নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দেয়ায়। আবু হুরাইরা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে তার, ও তার মায়ের জন্য মোমিনদের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কের দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন। রাসূল দোয়া করে বলেছিলেন—হে আল্লাহ ! আপনার মোমিন বান্দাদের মাঝে এই বান্দা ও তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। এবং তাদের কাছেও মোমিনদের প্রিয় করে তুলুন।[২] কুরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন—
ভ্রাতৃগণ সেদিন পরস্পর পরস্পরের শত্র“ হবে—মুত্তাকীগণ ব্যতীত।[৩]
কারণ, মুত্তাকীগণ ব্যতীত অন্যদের ভ্রাতৃত্ব পার্থিবে ছিল আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো জন্য ; তাই কেয়ামত দিবসে তা পরিবর্তিত হয়েছে শত্র“তায়। তবে, যারা শিরক ও পাপাচারে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের ভ্রাতৃত্ব অক্ষয়-অটল, যে যাবৎ আল্লাহই হবেন তাদের ভালোবাসার একমাত্র সূত্র, তাদের ভ্রাতৃত্ব অব্যাহত থাকবে।[৪] অপর স্থানে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন
অত:পর তারা যদি তওবা করে, সালাত কায়েম করে, এবং জাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দীনের ভাই, আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আয়াতগুলো স্পষ্ট করে দেই।[৫]
আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভ্রাতৃত্বের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে পাপ হতে তওবা, সালাত কায়েম, জাকাত আদায়। ভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন—
মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে, প্রস্রবণসমূহের মাঝে ; তাদের বলা হবে, তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তাতে প্রবেশ কর ; আমি তাদের অন্তর হতে বিদ্বেষ দূর করব ; তারা ভ্রাতৃভাবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে আসনে অবস্থান করবে। সেখানে তাদেরকে অবসাদ স্পর্শ করবে না, এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।[৬]
উপরোক্ত আয়াত ও পূর্ববর্তী আলোচনা হতে আমরা দেখতে পাই যে, তাকওয়া ভিত্তিক ভ্রাতৃত্ব ব্যতীত যে কোন ভ্রাতৃত্ব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যাদের ভ্রাতৃত্ব আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে ভিত্তি করে, তা অক্ষয়। জান্নাতে প্রবেশ অবধি অব্যাহত।
ভ্রাতৃত্বের মৌল ভিত্তি
ভ্রাতৃত্বের মৌল ও একক ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালোবাসা। আর ‘আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালোবাসা’-র মৌল ভিত্তি হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ যা পছন্দ করেন, তা নির্বাচন করা। আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন, পছন্দ করেন পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের। যারা এহসানকারী, মুত্তাকী, ধৈর্যশীল, ন্যয়পরতা অবলম্বনকারী, আল্লাহর রাস্তায় জোটবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণ যাদের একান্ত কাম্য—আল্লাহ এদের সবাইকে আপন করে নিয়েছেন। আল্লাহর জন্য অপছন্দ করার মৌল ভিত্তিও, এমনিভাবে, হচ্ছে আল্লাহ যা অপছন্দ করেন, সকলের জন্য তা অপছন্দ করা। আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন জালেম ও সীমা-লঙ্ঘন কারীদের ; অপব্যয়ী, বিশৃঙ্খলা বিস্তারকারী, খিয়ানত ও অহংকার অবলম্বীদের তিনি আপন করেন না। যে ভ্রাতৃত্ব আল্লাহর জন্য, তা হবে সর্বব্যাপী, তাবৎ মোমিনদের পরিবেষ্টন করবে তা। তবে, তারতম্য হবে তাদের কল্যাণের উপর ভিত্তি করে। পাপাচারে লিপ্ত হয়ে, সুতরাং, অত:পর তা হতে তওবা করেছে, কিংবা যার উপর ইসমালী শরিয়া ভিত্তিক আইনি শাস্তি কার্যকরী হয়েছে, তার সঙ্গে শত্র“তার আচরণ করা যাবে না,—যতক্ষণ সে ইসলামের গণ্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ রাখে ; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এক হাদিসে পাওয়া যায়, জনৈক সাহাবীর উপর অভিশাপ প্রদানে বাধা দিচ্ছেন, যার উপর মদ্য-পানের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা কয়েকবার উচ্চারণ করে তিনি বলেন : তোমরা তাকে লা’নত (অভিশাপ) দিয়ো না, আল্লাহর শপথ ! আমি নিশ্চিত যে সে আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসে।[৭]
এ হাদিসের উপর ভিত্তি করে ইবনে হাজরের মন্তব্য—পাপীর অন্তরে পাপের সংঘটন এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের ভালোবাসা একই সময়ে সহাবস্থান সম্ভব। পুন: পুন: পাপ সংঘটনের পরও পাপীর অন্তর হতে আল্লাহ ও তার রাসূলের ভালোবাসা ছিনিয়ে নেয়া হয় না।[৮]
উপরোল্লেখিত আলোচনা হতে এ স্পষ্ট যে, ভ্রাতৃত্ব কখনো ব্যক্তিক হতে পারবে না, বরং ব্যক্তির সাথে কেবল তখনি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে যখন সে আল্লাহর নৈকট্য দ্বারা নৈর্ব্যক্তিক হয়ে উঠবে। ভ্রাতৃত্বের পরিমাণে তারতম্য হবে আল্লাহর সাথে নৈকট্যের তারতম্যের ভিত্তিতে। প্রেমাস্পদ যতটা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত, তার সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনও হবে ততটা দৃঢ় ও মজবুত। আল্লাহর সাথে নৈকট্য ও দূরত্বের ভিত্তিতেই তারতম্য হবে ভ্রাতৃত্বে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদেরকে এক নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য লাঞ্ছনার বদ-দোয়া করতে শুনলেন, তিনি তাদেরকে এই বলে বাধা দিলেন যে, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের বিপক্ষে শয়তানের সহযোগী হয়ো না।[৯] কারণ, নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তাদের বদ-দোয়া শুনে তার ভ্রান্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাবে বৈ হ্রাস পাবে না ; এভাবে, সে ক্রমে আল্লাহ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বরং, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা তার মাগফিরাতের দোয়া কর, তাকে উপদেশ প্রদান কর—হয়তো এভাবেই সে পাপাচার পরিত্যাগে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।
‘আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব’ মর্মের মানদণ্ড
আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব, যা ব্যতীত ঈমান কখনো পূর্ণতা লাভ করে না, তার মৌলিক মানদণ্ড হচ্ছে—যা রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবগত করিয়েছেন এই বলে—সে সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ ! তোমাদের কেউ ততক্ষণ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে যে-কল্যাণ নিজের জন্য পছন্দ করে, তার ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করে।[১০] কিরমানী এর সাথে আরো সংযোজন করেন—এবং ঈমানের অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে যে-অকল্যাণ নিজের জন্য অপছন্দ করে, তা তার ভাইয়ের জন্যও অপছন্দ করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়টি উল্লেখ করেননি, কারণ, কোন কিছুকে ভালোবাসা বা পছন্দ করার অনিবার্য অর্থই হচ্ছে তার বিপরীত বিষয়কে অপছন্দ করা। তাই, রাসূল কেবল পছন্দনীয় বিষয়ের উল্লেখের মাঝেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন।[১১] আল্লামা ইবনে উসাইমিন, হাদিসটির ব্যাখ্যায় আরো সংযোজন করেন যে, এই শর্ত ব্যতীত পরিপূর্ণ মোমিন হবে না : কল্যাণের যা নিজের জন্য পছন্দ করে, তা তার ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করবে…ফলে সে সক্ষম হবে না তাদের সাথে প্রতারণা করতে, খিয়ানত করতে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে এবং সে সক্ষম হবে না তাদের বিরুদ্ধে জুলুম করতে—যেভাবে সে সক্ষম হয় না বা তার পক্ষে সম্ভব নয় নিজের ক্ষেত্রে এ আচার অবলম্বন করতে। এ হাদিস প্রমাণ করে, ব্যক্তি নিজের জন্য পছন্দনীয় কোন বিষয় যদি তার ভাইয়ের জন্য অপছন্দ করে, বা নিজের জন্য যা পছন্দ করে না, যদি তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করে (নির্বাচন করে) তবে সে মোমিন নয়। অর্থাৎ তার ঈমান পরিপূর্ণতা সমৃদ্ধ নয়। এবং এ ধরনের আচার কবিরা গুনাহ ভুক্ত।[১২]
বন্ধু বা সঙ্গীর মাঝে যে সমস্ত গুণ আবশ্যকীয়
মুসলমান মাত্রই অপর মুসলমানের কাছে দীনী ভাই। এর মানে এই নয় যে, আমরা সকলের সাথে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলি। নিম্নে আমরা এমন কিছু গুণ উল্লেখ করব, যা বন্ধু বা সঙ্গীর মাঝে থাকা আবশ্যকীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন—
মানুষ তার বন্ধুর ধর্মই গ্রহণ করে। সুতরাং, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করে।[১৩] এ গুণ সমূহের মাঝে অন্যতম হচ্ছে—
বন্ধু হতে হবে মুসলমান, যে তার কথায়, কর্মে দীনকে আঁকড়ে থাকবে। সৎকাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজে বাধা প্রদান করবে।
ইসলামের আচরণীয় গুণ দ্বারা সমৃদ্ধ হবে, অভ্যাস ও আচরণে যা সুন্দর, সু-শোভনীয় বলে গৃহীত, তা রক্ষা করবে সযতে।
বন্ধুকে হতে হবে পরিচ্ছন্ন মানসিকতার অধিকারী, যাবতীয় কলুষতা ও ত্র“টি হতে বিমুক্ত, আল্লাহ তাআলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশের উপর অবিচল ও দৃঢ়। কারণ, দুরাচার ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন কোন ব্যক্তির সাথে বন্ধুতার কোন অর্থ নেই। তাকে বিশ্বাস করা যায় না, তার আচার ও ব্যবহার সতত পরিবর্তনশীল। এমনিভাবে, তার সাহচর্য, এমনকি তার কৃতকর্মের দর্শনও বর্জনীয় সর্বার্থে। এর ফলে অন্তরে পাপের বিষয়টি লঘু হয়ে যায়, বিলুপ্ত হয় তার প্রতি ঘৃণা।
পার্থিবের প্রতি লোভী হতে পারবে না। কারণ, এটি পার্থিবের প্রতি আসক্তের গুণ।[১৪] এবং এ আসক্তি খুবই সাময়িক। এক কবি বলেন : ‘যখন গুনবে, দেখবে মানুষ অসংখ্য, কিন্তু বিপদকালীন কাউকেই খুঁজে পাবে না।’
উপরোক্ত আলোচনাকে আমরা উমর ফারুক রা.-এর কথায় প্রতিফলিত এবং মৌলিক বক্তব্য হিসেবে দেখতে পাই। তিনি বলেন :—তুমি সৎ ভ্রাতৃগণের সংসর্গ অবলম্বন কর, নিজেকে তাদের বলযে মিশিয়ে দাও। কারণ, স্বাচ্ছন্দ্যে তারা সৌন্দর্য হয়ে উপস্থিত হবে, বিপদে আসবে দুর্গ হয়ে। তোমার ভাইয়ের বিষয়টি (যদি সে কোন অপ্রীতিকর কিছু করে ফেলে) উত্তমভাবে বিবেচনা কর যতক্ষণ এ বিষয়ে ব্যাখ্যার কোন সূত্র না পাও। এবং এ বিষয়ে তার সাথে তুমি দূরত্ব বজায় রাখ, তোমার গোপন বিষয় (অর্থাৎ, তুমি যে জান, সে বিষয়টি) তাকে অবগত করিয়ো না, এবং দীনের ব্যাপারে এমন ব্যক্তিদের পরামর্শ তুমি গ্রহণ কর, যারা আল্লাহকে ভয় করে।[১৫]
উপরোক্ত গুণাবলি সমৃদ্ধ ব্যক্তির সন্ধান পেলেই কেবল তার সাথে বন্ধুত্ব করবে, কারণ, আমরা এমন এক সময়ে বাস করি, যে সময়ে সৎ বন্ধু ও সঙ্গী পাওয়া খুবই দুর্লভ।
[১] ফতহুল বারি : ১/৫৮
[২] মুসলিম।
[৩] সূরা যুখরুফ : ৬৭
[৪] সা’দীর তাফসীর : পৃষ্ঠা : ৭৬৯
[৫] সূরা তওবা : আয়াত : ১১
[৬] সূরা হিজর : ৪৫-৪৮
[৭] বোখারি : ৬৭৮
[৮] ফতহুল বারি : ১২/৬৭৮
[৯] বোখারি : ৬৭৮
[১০] মুত্তাফাক আলাইহি
[১১] ফতহুল বারি ৫৮/১
[১২] শরহু রিয়াযুস সালিহীন : ইবনে উসাইমিন ৬৪১/১
[১৩] আবু দাউদ : ২০৬২/৪, তিরমিজি : ৫০৯/৪
[১৪] আল উখুওয়াত : জাসিম বিন মুহাম্মদ আল ইয়াসিন, পৃষ্ঠা : ৯-১১
[১৫] মুখতাসারু মিনহাজিল কাসিদীন : ইবনে কুদামা, পৃষ্ঠা : ১১৪