বাঙ্গালী
Wednesday 13th of November 2024
0
نفر 0

ইতিহাসের পাতায় : সাতই মহররম

ইতিহাসের পাতায় : সাতই মহররম

সাত তারিখ ৬১ হিজরির এই দিনে  ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর ইবনে সাদ হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার পরিজন ও সঙ্গী সাথীদের জন্য ফোরাত নদীর পানি বন্ধ করে দেয়।

সাতই মহররম রাতে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) অভিশপ্ত ওমর সাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ও কথা বলেন। খুলি বিন ইয়াজিদ নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার সংবাদ ইবনে জিয়াদের কাছে পৌঁছে দেয়।  খুলি ইমামের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করত। ফলে ওমর সাদের কাছে একটি চিঠি লেখে ইবনে জিয়াদ। ইবনে জিয়াদ এ ধরনের সাক্ষাতের ব্যাপারে সাদকে সতর্ক করে দেয় এবং নবী-পরিবার ও হুসাইন (আ.)’র সঙ্গীদের জন্য  ফোরাতের পানি বন্ধ করতে বলে। ইমাম শিবির যেন এক ফোটা পানিও নিতে না পারে ফোরাত থেকে সে নির্দেশ দেয় ইবনে জিয়াদ।

আমর বিন হাজ্জাজ যুবাইদি নামের এক ব্যক্তি বহু তিরন্দাজ নিয়ে ফোরাতের তীর  নবী-পরিবার ও তাদের সঙ্গীদের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফলে ইমাম শিবিরে আর এক ফোটা পানিও যায়নি। অথচ ফোরাতের পানি কখনও  কোনো পশুর জন্যও নিষিদ্ধ হয়নি।
ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার এবং সঙ্গীদেরকে পাপিষ্ঠ ও জালিম ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে বাধ্য করাই ছিল পানি-অবরোধের উদ্দেশ্য। কিন্তু ইমাম ও তাঁর সঙ্গীরা শাহাদতের অমিয় সুধা পান করাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ফলে (দশই মহররম) মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই করে শহীদ হন ইমাম (আ.) ও তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যসহ  ইমামের সংগ্রামী সাথীরা। এভাবে সৃষ্টি হয় ইতিহাসের অনন্য বীরত্বের ঘটনা।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article


 
user comment