লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আনসারিয়ান।
দোয়া কারী অবশ্যই এই বাস্তবতায় অবগত হোক যে মহান আল্লাহ্ তাকে দোয়ার প্রতি আহবান করেছেন এবং দোয়া কবুল করার জামানত নিয়েছেন আর দোয়া কবুল করা মহান আল্লাহ্র জন্যে অনেক সহজ কাজ ; কেননা পৃথিবীর সমস্ত বস্তু নিঃশর্তে আল্লাহ্র রাজত্বই আছে, এবং উনার একটি নির্দেশে ও একটি আদেশে দোয়া কবুল হওয়ার ক্ষেত্র সমূহ দোয়া কারীর জন্যে প্রস্তুত হোয়ে যাবে।
সুতরাং কখনও উপযুক্ত নয় কেউ মহান আল্লাহ্র দরবারে যিনি শক্তিশালী, অন্তর্দৃষ্টি, দয়ালু, ক্ষমাশীলতা ও রহমত নিজের বান্দার প্রতি অনেক বেশি বিশেষ করে দোয়া ও মুনাজাত, রাজ ও নিয়ায করা সমায় বিশেষ ভালবাসা রাখেন, নিরাশ ও হতাশ হয়। নিরাশ ও হতাশ সম্পর্কে কুরআন পাকে মহান আল্লাহ্ বলছেনঃ
([1] لا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِنَّهُ لا يَيْأَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلاَّ الْقَوْمُ الْكافِرُون)
আল্লাহ্র রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্র রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।
কুরআন মজিদ কঠোরভাবে সুপারিশ করছে যে আল্লাহ্র রহমত হতে হতাশ ও নিরাশ হয়ো নাঃ
([2] لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّه)
মহানবী (সা.) এরশাদ করছেনঃ
« الفَاجِرُ الرَّاجِی لِرَحمَةِ اللهِ تَعالَی أقرَبُ مِنها مِنَ العَابِدِ المُقَنَّطِ [3]».
আশাবাদী দুষ্টু লোক মহান আল্লাহ্র নিকটে অনেক মহৎ, নিরাশ ইবাদাতকারী হতে আল্লাহ্র রহমতের প্রতি নিকটতম আছে।