লেখকঃ আয়াতুল্লাহ আনসারিয়ান
প্রবিত্র কুরআনের আয়াত সমূহ হতে একটি আয়াতের অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে আল্লাহ্র সৃষ্টি সমূহ এবং উনার নেয়ামত সমূহ এত পরিমানে আছে যা কেউ তার গণনা করতে পারবে না ।
« وَ لَوْ أَنَّ ما فِي الْأَرْضِ مِنْ شَجَرَةٍ أَقْلامٌ وَ الْبَحْرُ يَمُدُّهُ مِنْ بَعْدِهِ سَبْعَةُ أَبْحُرٍ ما نَفِدَتْ كَلِماتُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ عَزيزٌ حَكيم [1]»
পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও বাক্যাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
নিজের সৃষ্টির প্রতি চিন্তা করো মনযোগ সহকারে নিজের বাড়ীর প্রতি চিন্তা করো যাতে এই বাস্তবতা তমার জন্যে পরিস্কার হয়ে যাবে যে আল্লাহর নেয়ামত সমূহ গণনা করার উপযুক্ত নয়।
কুরআন মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে এরশাদ করছেনঃ
« وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسانَ مِنْ سُلالَةٍ مِنْ طين [2]»
আমি মানুষকে মাতির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
« وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسانَ مِنْ سُلالَةٍ مِنْ طين [3]»
অতঃপর আমি তাকে শুত্রুবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
« ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظاماً فَكَسَوْنَا الْعِظامَ لَحْماً ثُمَّ أَنْشَأْناهُ خَلْقاً آخَرَ فَتَبارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخالِقين [4]»
এরপর আমি সুত্রুবিন্দুকে জমাট রক্তরুপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিণ্ডে থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কত কল্যাণময়।
বীর্য এই পর্যায় ও স্তরে অতিক্রম হওয়ার পর পরিপুন্য মানুষে পরিণত হয়ে যায়।
এখন নিজের রহস্যময় দালান এবং এই দালানে এত পরিমানের রগ ও হজম করার যন্ত্র ও রক্তের ভ্রমণ এবং নিশ্বাস নেওয়া মগজ কাজ করা, দেমাগ ও চোখ, কান , নাক এবং অন্যান্য দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে চিন্তা কর যাতে করে জেনে নাও আল্লাহর নেয়ামত সমূহ এই শরীরের কাঠামোতে গণনা হয়নি।