লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসসাইন আনসারিয়ান
হ্যাঁ মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও অনুগ্রহ পেতে হলে এবং ঐশী গুণাবলী অর্জন করতে হলে তার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তবে এই পথকে পেতে হলে আন্তরিকভাবে, বিবেকের জ্যোতি নিয়ে, খালেস ও পবিত্র নিয়তে দৃঢ় প্রত্যয়ে ভালবাসার সাথে অব্যাহত প্রচেষ্টায় ও জ্ঞানের সাথে তা পাড়ি দিতে হবে। তাহলে তার ভীতর ও বাহির সকল প্রকার অন্যায়, গোনাহ, পঙ্কিলতা, শয়তানের প্ররোচনা এবং সকল প্রকার অনৈতিক আচরণ থেকে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হবে। আর এভাবে তিনি পাক-পবিত্র, সতকর্মশীল, অধ্যাত্মিক ও আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত খালেস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। ফলে সে আল্লাহর ক্রোধের পরিবর্তে রহমতের অধিকারী হবে এবং যন্ত্রণাদায়ক জাহান্নামের শাস্তির পরিবর্তে চিরস্থায়ী বেহেশতের অধিকারী হবে।
এভাবে অতীতের প্রতি গুরুত্ব, এভাবে তওবার দিকে প্রত্যাবর্তন এবং এভাবে ভীতর ও বাহিরের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার নামই হচ্ছে আল্লাহর সাথে মীমাংসা ও বন্ধুত্বের চাবি।
আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ও তওবা যেহেতু সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। আর সর্বাপেক্ষা লাভজনক পরিস্থিতি ও সর্বাপেক্ষা উপকারী বাস্তবতা। তাই পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে এবং মাসূমগণের হাদিসেও এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং তওবাকারীকে তওবার সকল বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। আর তাহলেই এই মহান ইবাদত বাস্তবায়িত হবে এবং তওবাকারী তার অফুরন্ত সুফল ভোগ করতে পারবেন।