লেখকঃ আয়াতুল্লাহ আন্সারিয়ান
প্রতিটি মানুষই যে কোন পরিবেশেই সম্পূর্ণরূপে পাক-পবিত্র অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।
লোভ, হিংসা, কৃপণতা, লোক দেখানো কাজ (রিয়া), অহংকার ইত্যাদি গোনাহ মানুষের স্বত্বাগত বৈশিষ্ট্য নয়। বরং তা হচ্ছে অর্জিত জিনিস এবং তা পারিবারিক, সামাজিক ও সহচরদের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন:
کل مولد یولد علی الفطره حتی یکون ابواه یهودانه و ینصرانه
প্রতিটি শিশুই ফিতরাতগতভাবে তাওহীদ, ইসলাম, নবুয়ত ও ইমামতকে স্বীকার করে ভূমিষ্ঠ হয়। তার পিতা-মাতারা তাকে ইহুদী অথবা খ্রিষ্টান হিসাবে গড়ে তোলে।[1]
বিভ্রান্ত শিক্ষক, সহপাঠী ও সমাজও মানুষকে বিভ্রান্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এই সকল কারণে মানুষের মধ্যে চিন্তাগত সমস্যা দেখা দেয়, আন্তরিক সমস্যা হয় এবং অনৈতিক ও গর্হিত কাজে লিপ্ত হয়।
এর সমষ্টি প্রতিকারের যোগ্য কিছু ব্যাধি ছাড়া আর কিছুই নয়। পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে এই ব্যাধি মুক্তির পথ এবং এই রোগের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। মোটকথা এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে।
يَآ أيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْکم مَوْعِظَةٌ مِن رَبّـِکمْ وَشِفَآءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
হে মানবজাতি! নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে উপদেশ ও বক্ষসমূহে যা আছে তার জন্য আরোগ্য এবং ইমানদারদের জন্য পথনির্দেশ ও করুণা এসেছে।[1]
পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে মহান আল্লাহ এই রোগীকে ক্ষমা করতে পারেন:
إِلاَّ الَّذِينَ تَابُوا مِنْ بَعْدِ ذَلِك وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
তবে (হ্যাঁ) যারা এর (অস্বীকারের) পর তওবা করেছে এবং নিজেদের (দোষ-ত্রুটিগুলোর) সংস্কার করে নিয়েছে ; (তাহলে তাদের তওবা গৃহীত হবে) কেননা, আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল অনন্ত করুণাময়।[2]