আবনা ডেস্ক: জুমার খুতবায় নজরদারীর সিদ্ধান্ত মসজিদ তথা ইসলামী কর্মকাণ্ডের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
এর পরিণাম ভালো হবে না বলেও সোমবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সম্প্রতি গুলশানের হোটেলে এবং শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশে সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ ইসলামী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হচ্ছে মন্তব্য করে অবিলম্বে এসব অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের প্রতি আহবানও জানান চরমোনাই পীর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে জুমার নামাজের খুতবা ও ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ মাহফিল বা ধর্মীয় সভার উপর নজরদারীর কথা বলা হয়েছে। এটিকে তিনি মসজিদ তথা ইসলামী কর্মকাণ্ডের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।
চরমোনাই পীর বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় যারা সন্ত্রাস করেছে তাদের সাথে মসজিদ-মাদরাসা বা কোন আলেম-ওলামার সম্পর্ক নেই। অথচ তাদের এই ঘটনাকে পুঁজি করে সরকারে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী ইসলামকে সঙ্কুচিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তারা প্রকৃত সন্ত্রাস দমন না করে ইসলাম দমনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরাও এসব সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না, কিন্তু কোন মহল যদি এই ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাও আমরা সহ্য করব না। তিনি অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, জুমআর খুতবায় খতীব সাহেবরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেন, তাদের বয়ানে কেউ সন্ত্রাসী হয় না। আপনার প্রশাসনকে আলেম-ওলামাদের বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ থেকে বিরত রাখুন, নতুবা আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার মুসলমানরা ইসলামের কণ্ঠরোধের কোন পদক্ষেপ মেনে নিবে না।
source : abna24