প্রতিটি মানবগোষ্ঠীর মধ্যেই সত্য, ন্যায়, পবিত্রতা ও হক্-ইনসাফের যে অনুভূতিটুকু পাওয়া যায় সেসবই কোনো না কোনোভাবে নবী-রাসূলগণের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত। এই বিশাল সৃষ্টিজগতের পশ্চাতে একজন সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রণকারীর সুনিপুণ হাত কার্যকর এ বাস্তব ধারণা এবং তৎসঙ্গে ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, কল্যাণ-অকল্যাণ, হক-ইনসাফ প্রভৃতি অনুভূতি একান্তভাবেই নবী-রাসূলগণের প্রদত্ত শিক্ষারই উত্তরাধিকার। এমনকি, নবী-রাসূল এবং ধর্মের অস্তিত্বও যারা অস্বীকার করে সেসব বিকৃত মস্তিষ্ক অমানুষদের মধ্যেও সত্য ও ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মিথ্যা এবং অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা, দয়া-দাক্ষিণ্য, ন্যায়পরায়ণতার পক্ষাবলম্বন, আর অন্যায়-অনাচার, জুলুম-নির্যাতন, প্রতারণা-অপহরণ প্রভৃতি অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধাচরণ প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এসব কিছুই যে কোনো না কোনোভাবেই নবী-রাসলূগণের প্রদত্ত শিক্ষারই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
নবী-রাসূলগণ মানুষের মধ্য থেকেই নির্বাচিত ও প্রেরিত হতেন। তাঁদের সবাই ছিলেন স্ব স্ব যুগের সর্বোত্তম মানুষ। তাঁরা ছিলেন আল্লাহ পাকের পরিপূর্ণ সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত বান্দা। রাব্বুল আলামিনের সে সন্তুষ্টির বাস্তব অনুভূতি তাদের মধ্যে ছিল। সৃষ্টিগত দিক দিয়ে তারা মানুষের পর্যায়ভুক্ত হলেও আত্মিক দিক দিয়ে তাদের অবস্থান ছিল অনেক ঊর্ধ্বে।
আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ কার ওপর নবুয়তের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে, তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জ্ঞান ও ইচ্ছানির্ভর বিষয়। (সূরা আনআমঃ ১২৪)
এটা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন। (সূরা জুমুয়াঃ ৪)
আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরেশতার মাধ্যমে নবীগণের কাছে প্রেরিত বার্তাকে কুরআনের পরিভাষায় ওহি বলা হয়। ওহি শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, ইঙ্গিত করা, অন্তরে কোনো বিষয় স্থাপন করা, বার্তা প্রেরণ, একে-অন্যকে চুপি চুপি কিছু বলা, ইশারা-ইঙ্গিতে অন্যের অন্তরে কোনো ভাব সৃষ্টি করা, মুখে কিছু না বলে অন্যকে কোনো কিছু বুঝিয়ে দেয়া। যদি সে ইঙ্গিত সশব্দও হয় তবুও এতই গোপনীয় যেন তা তৃতীয় কারো কর্ণগোচর না হয়। তবে শরিয়তের পরিভাষায় ওহি বলা হয়, আল্লাহপাক নবী-রাসূলগণের কাছে যে বার্তা প্রেরণ করেন, শুধু তাকেই।
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নবী-রাসূলগণের প্রতি যে ওহি নাজিল করা হতো, তন্মধ্যে কোনো প্রকার পবিরর্তন-পরিবর্ধন করার অবকাশ তাঁদের পক্ষে ছিল না। যদি কোনো নবী এরূপ ইচ্ছাও করতেন, তবুও তাদের পক্ষে সে ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না। আল্লাহপাক বিশেষ ব্যবস্থাধীনে তাদের সে পদক্ষেপ ভণ্ডুল করে দিতেন। এমনকি, কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী এরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করার সাথে সাথেই তাঁদের জীবনপ্রদীপ নির্বাপিত হয়ে যেত। বলা হয়েছে, যদি (কোনো নবী) নিজের পক্ষ থেকে কোনো কথা মিলিয়ে কোনো কিছু পেশ করার উদ্যোগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতেন তবে অবশ্যই তাঁর হাত চেপে ধরা হতো, এমনকি তার ধমনীর প্রধান রগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হতো এবং আমার এ কঠোর ব্যবস্থা থেকে কেউ তাকে বাঁচাতে পারত না। (আল-হাক্কাহঃ ৪৪-৪৭)
আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ-ই দুনিয়াবাসীদের বুঝিয়েছেন যে, নবীগণের সবাই ছিলেন পথপ্রদর্শক, সতর্ককারী, আল্লাহর পথে আহ্বানকারী, সুসংবাদ প্রদানকারী, শিক্ষক, প্রচারক, আলোকবর্তিকাবাহী, আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সাথে মানবজাতির পরিচিতি ঘটানোর দায়িত্ব পালনকারী, মানবজাতির আত্মার সংশোধনকারী, শাসক, অবশ্য অনুসরণীয়, সত্য-ন্যায়ের নির্দেশদাতা এবং অসত্য-অন্যায় কাজে বাধাদানকারী। সর্বোপরি নবী-রাসূলগণ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব এবং অনুপম চরিত্রের অধিকারী।
আল্লাহপাক দুনিয়ার সব জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যেই নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। সব জাতিকেই তিনি পথপ্রদর্শন করেছেন। পরন্তু হেদায়েতের আলো থেকে কাউকেই বঞ্চিত করেননি। পবিত্র কুরআনের সাক্ষ্য হচ্ছেঃ প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর কাছেই রাসূলের আগমন হয়েছে। (ইউনুসঃ ৪৭)
প্রত্যেক জাতির প্রতিই আমি রাসূল প্রেরণ করেছি। (নাহলঃ ৩৬)
এমন কোনো কওম নেই যাদের মধ্যে সতর্ককারী আসেনি। (ফাতেরঃ ২৪)
আমি সব রাসূলকেই তাঁদের জাতির ভাষায় সবকিছু বর্ণনা করার দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছি। (ইব্রাহিমঃ ৪)
নবুয়তের ধারাবাহিকতা প্রথম মানব হজরত আদম আঃ থেকে শুরু হয়েছে এবং নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত এসে সমাপ্তি লাভ করেছে।
সর্বপ্রকার বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নবী-রাসূলগণ মানুষ ছিলেন। মানব সমাজেই জন্মেছিলেন, আল্লাহ, আল্লাহর পুত্র, দেবদূত বা অবতার ছিলেন না। স্বয়ং আল্লাহ বা আল্লাহর সমগুণসম্পন্ন কোনো সত্তারূপে নবী-রাসূলগণকে মেনে নিলে যেমন তওহিদের কোনো তাৎপর্যই অবশিষ্ট থাকে না, তেমনি নবী-রাসূলগণের পক্ষেও মানব সমাজের অনুসরণযোগ্যতা পরিপূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায়। যদি তাঁরা মানুষই না হবেন তবে মানুষের পক্ষে তাদেরকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করা সম্ভব হবে কিরূপে?
কুরআন যখন নাজিল হয়েছে, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষেই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দূত হয়ে আসা সম্ভব নয়। ঐশী বার্তাবাহক ফেরেশতা বা অতি মানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কোনো সত্তার পক্ষেই তা সম্ভব। কুরআনের ভাষায়, (আল্লাহর পক্ষ থেকে) হেদায়েত আসার পরও এমন একটি ধারণাই লোকজনকে ঈমানের পথ থেকে বিরত রেখেছিল যে তারা বলত, একজন রক্ত-মাংসের মানুষকে আল্লাহ পাক তাঁর দূতরূপে প্রেরণ করতে যাবেন কেন? বলুন, যদি পৃথিবীর বুকে ফেরেশতারা বসবাস এবং বিচরণ করত, তবে অবশ্যই আমি কোনো ফেরেশতাকেই তাদের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করতাম। (বনি ইসরাইলঃ ৯৪ ও ৯৫)
অতঃপর পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের স্বরূপ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমি তাদের এমন অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করিনি যাতে তাঁদের আহার গ্রহণ করতে না হয় বা চিরদিন তাঁরা জীবিত থাকেন! (আল আম্বিয়াঃ ৮)
এবং আপনার আগে আমি যাদেরকে নবী বা রাসূল মনোনীত করে প্রেরণ করেছিলাম তাঁরাও লোকালয়ের অধিবাসী এক-একজন মানুষই ছিলেন। (ইউসুফঃ ১০৯)
আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত রাসূলগণ যে মানবীয় বৈশিষ্ট্যের হতে পারেন না, এরূপ অলীক বিশ্বাস সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত ছিল। মানুষ যেন বিশ্বাসই করতে পারত না যে, মহাশক্তির আধার অদৃশ্য সত্তা মহান সৃষ্টিকর্তা একজন মানব সন্তানকে কেন তাঁর পক্ষ থেকে দৌত্যকর্মের দায়িত্ব অর্পণ করতে যাবেন? পবিত্র কুরআনের ভাষায় আল্লাহর নবী হজরত নূহ আঃ এরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাকে তার জনগোষ্ঠীর লোকেরা বলেছে, আমাদের দৃষ্টিতে আপনি তো আমাদের মতো একজন মানুষ বৈ কিছু নন! সুতরাং আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তাবাহক হয়ে আসেন কী করে? (হুদঃ ২৭)
হজরত নুহ আঃ তাঁর লোকদের এ প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমি এ কথা বলি না যে, আমার অধিকারে আল্লাহর ধনভাণ্ডার রয়েছে। আমি গায়েবের খবরও রাখি না এবং আমি ফেরেশতাও নই। (হুদঃ ৩১)
হজরত ঈসা আঃ ও তাঁর লোকদের সামনে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, আমি আল্লাহর বান্দা! আমাকে আল্লাহপাক কিতাব দান করেছেন এবং নবী বানিয়েছেন। (মরিয়মঃ ৩১)
আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাঃ-কেও পদে পদেই অনুরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিভ্রান্ত একটি শ্রেণী প্রথম থেকেই প্রমাণ করতে চেয়েছে নবী হবেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার গুণসম্পন্ন অতিমানবীয় এক সত্তা। ফেরেশতার মতো তিনি হবেন নূরের সৃষ্টি। তিনি সত্তাগতভাবেই এলমে গায়েবের অধিকারী হবেন। বিরুদ্ধবাদীরা প্রশ্ন উত্থাপন করত, আল্লাহপাক কি একজন মানুষকে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন? (অর্থাৎ এটি কী করে সম্ভব?) (বনি ইসরাঈলঃ ৯৪)
একজন মানুষ কী করে আমাদেরকে হেদায়েত করবেন? (তাগাবুনঃ ৬)
তারা বলাবলি করে, এ কেমন রাসূল, (আমাদের মতোই) খাবার খান এবং বাজারে চলাফেরা করেন? যদি ইনি রাসূলই হতেন তবে তাঁর সাথে একজন ফেরেশতা কেন দিয়ে দেয়া হয়নি, যিনি লোকজনেক ভয় দেখাতে পারতেন কিংবা তাঁকে বড় ধরনের একটা ধনভাণ্ডার দিয়ে দিলেও তো হতো! (আল কুরআনঃ ৭-৮)
নবী-রসলূগণ সম্পর্কে কাল-পরম্পরায় যে ভুল ধারণার ধারাবাহিকতা চলে আসছিল, সেসবের অপনোদন করার লক্ষ্যেই পবিত্র কুরআনে আখেরি রাসূল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাঃ-এর জবানি বারবার প্রকাশ করা হয়েছে যে, আল্লাহপাক সব ক’জন নবী-রাসূলই মানবকূলের মধ্য থেকে প্রেরণ করেছেন। শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলও একজন মানব সন্তান ছিলেন। সর্বপ্রকার মানবীয় বৈশিষ্ট্যই তাঁর ছিল। তাঁকে অতিমানব বা দেবদূতজাতীয় কোনো কিছু মনে করা মোটেও ঠিক হবে না। যেমন বলা হয়েছে, আমি একজন মানুষ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূল। (বনি ইসরাইলঃ ৯৩)
হে রাসূল, আপনি ওদের বলুন, আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ। আমার কাছে এ মর্মে ওহি নাজিল হয় যে নিঃসন্দেহে তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন একক উপাস্য। (আল কাহফঃ ১১৩)
মুহাম্মদ একজন রাসূল বৈ অন্য কিছু নন। তাঁর আগেও অনেক রাসূল অতিক্রান্ত হয়েছেন। (আল ইমরানঃ ১৪৪)
সত্তাগতভাবে নবী-রাসূলগণ বিশেষ কোনো শক্তির কেন্দ্র নন। পবিত্র কুরআনের ভাষায়, আপনি বলে দিন, তোমাদেরকে আমি এ কথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ তায়ালার ধনভাণ্ডার রয়েছে। আর আমি গায়েবও জানি না। অথবা এ কথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা প্রজাতির কেউ। আমি শুধু তাই অনুসরণ করি, যা আমাকে প্রত্যাদেশ করা হয়। (আল আনআমঃ ৫০)
আপনি বলে দিন আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত আমি আমার নিজের ভালোমন্দেরও অধিকার রাখি না যদি আমি গায়েবের এলেমের মালিক হতাম, তবে নিজের লাভ ও সুবিধার ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রগামী থাকতাম। আর কখনো কোনো অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। (আল আরাফঃ ১৮৮)
দুনিয়ায় প্রেরিত সব নবী-রাসূল একই স্রষ্টার পক্ষ থেকে আগত এবং তাঁদের সবার মূল শিক্ষা এক ও অভিন্ন। কাল ও পরিবেশের বিভিন্নতার স্বার্থে সাধারণ নীতিমালার (শরিয়তের) মধ্যে স্পষ্ট কিছু বিভিন্নতা থাকলেও দীন বা মৌল শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনোই বিভিন্নতা ছিল না। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ কর্তৃক প্রচারিত দীন ও শরিয়ত সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা হচ্ছেঃ তিনি তোমাদের জন্যও দীনের সে পথই নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যে নির্দেশ নূহকে দেয়া হয়েছিল আর যা আপনার প্রতি নির্দেশ করেছি। আর যা নির্দেশ করা হয়েছিল ইব্রাহিম, মূসা ও ঈসার প্রতিও। (আশ শুরাঃ ১৩)
মোট কথা নবী-রাসূল সম্পর্কিত ইসলামি ধারণার সারসংক্ষেপ হচ্ছে, নবী-রাসূলগণ স্বয়ং আল্লাহ, তাঁর কোনো অংশ, পরিবারের সদস্য ইত্যাদি কিছুই ছিল না। অতিমানব ধরনের কোনো দেবদূত, সৃষ্টিকর্তার সাথে সমকক্ষতার দাবিদার কোনো সত্তাও তারা ছিলেন না। বাইবেলের বক্তব্য অনুযায়ী আল্লাহর সাথে মল্লযুদ্ধেও কোনো নবী লিপ্ত হননি। মানবজাতিকে হেদায়েত করার উদ্দেশ্যেই যেহেতু নবী-রাসূল প্রেরণ করা হতো, সে কারণে মানব প্রজন্মের মধ্য থেকেই তাদেরকে নির্বাচিত ও বিশেষ খোদায়ী ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। মানুষের মধ্যেই তারা জীবনযাপন করে গেছেন। মানবজাতির জন্য যে জীবন আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেছেন, সে জীবনযাপনেরই পরিপূর্ণ অনুশীলন করেছেন নবী-রাসূলগণ। আর সে জীবনযাপনের প্রতিটি পদক্ষেপকেই মানবজাতির জন্য অবশ্যই অনুসরণীয় সুন্নাহরূপে অনুমোদন করা হয়েছে। তাঁরা অনুসরণীয় ছিলেন এবং একমাত্র তাদের অনুসরণের মধ্যেই মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। (দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২১ মার্চ ২০০৮)