বইঃ দোয়া-ই-কোমাইলের ব্যাখ্যা লেখকঃ উস্তাদ আনসারিয়ান
দোয়া কারীরা যখনি দলীয় ভাবে দোয়া করতে বসে এক সাথে আন্তরিক বিনীত প্রার্থনা পদক্ষেপ নিবে এবং আল্লাহ্র দরবারে ক্রন্দন ও মিনতি করবে এবং সকলে উনার দরবারে হাত তুলবে, অবশ্যই তাদের দোয়া তাড়া তাড়ী কবুল হবে ; কেননা দোয়া কারীদের গোষ্ঠীর মধ্যে, বিনা সন্দহে মন ভরা, পথ ভুলা দরিদ্র, অসহায়, মুক্তিপ্রাপ্ত ও প্রেমিক, আধ্যাত্মিক জ্ঞানী ও অনুরক্ত অবস্থান আছে যে দোয়ায় ক্রন্দন ও তাদের এখলাস, এবং বিচলিত ও ক্রন্দন, এই সব কারনে মহান আল্লাহ দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, এবং দোয়া কবুল হওয়া ও ক্ষমার কারন হয়। অনেক দিনী বইয়ে উল্লেখ হয়েছে, করুণাময় আল্লাহ্ তাদের কারনে অন্যদের দোয়াও কবুল করেন এবং তাদের ক্রন্দন ও আহাজারি রহমত নিয়ে আসে এবং তাদের চাওয়া ও হাজতকে পরিপুন্য করেন এবং তাদের খালি ঝোলা বিশেষ দয়ায় ভোরে দেন।
এই বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেওয়ায়াত মানাবে ওহী হইতে এবং জ্ঞানের ভাণ্ডার দ্বারা পৌছেছে তা কিছু উলেখ করবঃ
ইমাম সাদিক (আ.) এরশাদ করছেনঃ
« مَا جتَمَعَ أَربَعَة قَطُّ عَلی أمر واحد فَدَعوا الّا تفرّقوا عن إجابة [1]»
কখনই চার ব্যাক্তি একই কাজে, কাজ সহজ হওয়ার জন্যে দলীয় ভাবে দোয়া করে না কিন্তু এই যে দোয়া কবুল হওয়ার সাথে সাথে একে অপরের পৃথক হয়ে যায়।