লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আনসারিয়ান।
শোকরের যে অর্থ আমরা দেখলাম সমস্ত নেয়ামতের সামনে বিবেক (আকলী) ও শারয়ী ফরজ হচ্ছে, প্রতেক নেয়ামতকে সঠিক পথে যে পথে করুণাময় আল্লাহ্ নির্ধারণ করেছেন সেটাতে ব্যায় করায় হচ্ছে নেয়ামতের শোকর আদা করা, এবং প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্র ইবাদত ও বান্দেগি প্রকৃত শোকরের বাস্তবায়ন হওয়ার সাথে বাস্তবায়ন হবে।
« فَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلالاً طَيِّباً وَ اشْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُون [1]»
অতএব, আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে সব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক ।
« ...فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَ اعْبُدُوهُ وَ اشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُون [2]»
কাজেই আল্লাহ্র কাছে রিযিক তালাশ কর, তাঁর এবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর । তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
ইমাম সাদিক (আ.) শোকরের অর্থে বলেছেনঃ
« شُکرُ النِّعمَةِ اجتِنابُ المُحارِمِ و تَمامُ الشُّکرِ الرَّجُلِ : الحَمدُ لِلهِ رَبِّ العَالَمِینَ [3]»
নেয়ামতের শোকর, সমস্ত হারাম জিনিষ হতে দূরে থাকা এবং সব শোকর কারী পুরুষ আছেঃ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের জন্যে।
অতঃপর নেয়ামতের শোকর, নেয়ামতের ব্যায় এবাদত ও বান্দেগিতে ও মানুষের সেবা করা , মানুষের প্রতি দয়া করা আর সমস্ত গুনাহ হতে নিজেকে দূরে রাখা।