বাঙ্গালী
Sunday 24th of November 2024
0
نفر 0

ফিলিস্তিনি বালিকা

জেরুজালেমের রাজপথ, অনুতিদূরে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে আল-আকসা, কিন্তু বড়ই বিসন্ন বড়ই বেথিত, নাই তার সে শান সাওকাত নাই সে চাক চিক্ক, আজানের ধ্বনি সেখানে আর বয়ে আনেনা অমৃত ধারা, কোন নবী অলিরও পদধুলি পরেনি সেথাই বহুদিন যাবত, দিনের পর দিন পুত্রহারা মায়ের মত প্রতিক্ষার প্রহর গুনে চলেছে সে,... আজ সে ইহুদী ষড়যন্ত্রের চরম শিকার, দুনিয়ার বুক থেকে তাকে মুছে ফেলার নতুন নতুন পায়তারা করে চলেছে সম্রাজ্জবাদিরা, ১৯৮০ সালের ঘটনা বাইতুল মুকাদ্দাসের গভীর তলদেশ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খুড়ে চারশো মিটার লম্বা বারুদের স্তূপ লাগিয়ে দিয়েছে ইহুদিরা, তাদের উদ্দেশ বাইতুল মুকাদ্দাস্কে ফিলিস্তিনের বুক থেকে মুছে ফেলা, এর আগেও কয়েকবার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই বেরথ হয়েছে, হঠাৎ করেই দাবানলের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়ল সারা শহরময়, মরোন্মুখ মানুষেরা হিংস্র ব্যাঘ্রর ন্যায়ই ছুটে এলো রাজপথে, শিরদেগা নাহি দেগা আমামার শপথে বলিয়ান প্রতিটি মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে প্রসধের এক চরম নেশা, প্রাণ যাবে যাক কিন্তু আল-আকসার কোনো অবমাননা সহ্য করা হবে না, মুহূর্তের মধ্যেই জেরুজালেমের রাজপথে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমে এলো, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠলো গোটা জেরুজালেম, বড়দের দেখাদেখি শিশু-কিশোরদের দলও বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়, তাদের নিষ্পাপ মুখেও ফুটে উঠেছে প্রতিশোধের আগুন, আরব মায়ের সন্তান তারা, বুকে তাদের জেহাদের অনল স্পৃহা, এই সংকটময় মুহূর্তে তাই তারাও আগিয়ে এসেছে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে, ধীরে ধীরে আগিয়ে চলেছে শিশু-কিশোরদের এক বিরাট মিছিল এগিয়ে চলেছে তারা প্রাণ প্রিয় আল-আকসার দিকে, তাদের দিকে তাক করা রয়েছে শত শত বন্দুকের নল, কিন্তু তাদের মাঝে কোন ভয়-ভীতির লেশমাত্র নেই, তারতো সিংহ শাবক, মিছিলের সম্মুখভাগে দেখা যাচ্ছে আঠ বছরের এক কিশোরীকে, সে তার ক্ষুদ্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে বলে চলেছে ‘আমার ভাই ও বন্ধুরা তোমরা ইহুদীদের ভয় করো না, আমরা তাদের এই পাক জমিন থেকে বিতাড়িত করব, এই জমিন আমাদের'। হঠাৎ এক ঝাঁক বুলেট এসে বিদ্ধ হল তার কচি বুকে, ঝাঁজরা হয়ে গেল তার কচি বুক, রক্তে লাল হয়ে গেল ফিলিস্তিনের মাটি, লুটিয়ে পড়লো মৃত্যুর কোলে, আ-হা কার বুকের ধন এ সোনা মানিক? কোন মায়ের বুক খালি করে চলে গেল সদ্য প্রস্ফুটিত এ গোলাপের কলি, আকাশ বাতাস যেন হাহাকার করে উঠল তার মৃত্যুতে, কেঁপে উঠল আল্লাহর আরশ, কিন্তু তার এ রক্ত বিপ্লবের এক নতুন উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলল আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা নির্বিশেষে প্রতিটি ফিলিস্তিনবাসীর শিরায়-উপশিরায়, বিদায় বেলা সে যেন বলে গেল... হে আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা। আমি আজ যা পূর্ণ করতে পারলাম না তোমরা তা পূর্ণ কর, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি থেকে চিরতরে উৎখাত কর দখলদার অভিশপ্ত ইহুদি জাতিকে, মৃত্যুকে ভয় কর না মৃত্যু একদিন আসবেই, ইহুদি আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা করো মুসলিম বিশ্বকে।
-যুবায়ের হাসান

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

পরকালের জন্য প্রস্তুতি এবং ...
ইমাম হাসান (আ.) মুয়াবিয়াকে কখনও ...
নেয়ামতের হাত ছড়া হওয়ার কারন
হযরত মুসা (আ.)'র মু'জিজার কাছে ...
মহানবী (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (২)
গাদিরে খুম
কুরআনের দৃষ্টিতে নবী-রাসূলগণ
আল কুরআনের দৃষ্টিতে মানব জীবনের ...
রমজানে দোয়া ও মোনাজাত
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ...

 
user comment