বইঃ দোয়া-ই- কুমাইলের ব্যাখ্যা লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আনসারিয়ান
হে কুমাইল! ইবাদতের অর্থ এটা নয় যে, তুমি নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে এবং সদকা দিবে। বরং ইবাদতের অর্থ হচ্ছে তুমি পবিত্র মনে নামাজ পড়বে, আল্লাহর পছন্দনীয় কাজ করবে এবং মহান আল্লাহর প্রতি বিনয়ী হবে।
খেয়াল রাখবে কোন পোশাক, স্থান ও গালিচার উপর নামাজ আদায় করছ? যদি তোমার পোশাক, স্থান এবং গালিচা হালাল (বৈধ) পথে উপার্জন করা না হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা’র দরবারে সে নামাজ কবুল (গ্রহণ) হবে না।
হে কুমাইল! তোমার মুখ যে জিনিস গ্রহণ করবে এবং যেগুলো বলবে, সেগুলো হৃদয় থেকে বলবে। আর মানুষের বেচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন। দেখ, তোমার উদরকে কোন খাদ্য দিয়ে পূর্ণ করেছ? যদি সেই খাদ্য হালাল ভাবে উপার্জন না হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমার জিকির ও তসবিহ কবুল করবেন না।
হে কুমাইল! জেনে রাখ, আমরা কাউকে আমানতের খিয়ানত করার অনুমতি দেই না। সুতরাং কেউ যদি আমাদের থেকে আমানত সম্পর্কে এর বিপরীত কিছু বর্ণনা করে, অবশ্যই সে গুনাহ করেছে। যদি কেহ মিথ্যা বলে তার শাস্তি জাহান্নামের আগুন। আল্লাহ তায়ালা’র শপথ! হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের (মৃত্যুর) এক ঘণ্টা পূর্বে তিনি তিন বার বলেছেন, হে আবাল হাসান (আলী ইবনে আবি তালিব)! আমানতকে, তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দাও। তাই সে মালিক ভালো ব্যক্তি হোক অথবা খারাপ, আমানত মূল্যহীন হোক অথবা মূল্যবান। আমানত যদি সুতার পরিমাণও হয় তাহলেও তা তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দাও।