লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আনসারিয়ান
তবে মহান আল্লাহর করুণা, দয়া ও ক্ষমা পাওয়ার অধিকারী হতে হলে আশাবাদীকে অবশ্যই প্রেক্ষাপট ও ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। যেমন: গোনাহ করার কারণে তাকে অনুতপ্ত হতে হবে, গোনাহ পরিত্যাগ করতে হবে। কৃত গোনাহর ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। পরিত্যক্ত ইবাদত পালন করতে হবে। আমল আখলাক ও চরিত্রের সংশোধন করতে হবে। তাহলেই সে আল্লাহর রহমত, করুণা ও মাগফিরাতের অধিকারী হবে। যেমন: একজন কৃষক তখনই ভাল ফসল পাওয়ার আশা করতে পারে যখন সে সময় মত জমির চাষ, পানি ও সার প্রয়োগ করবে, বীজ বপন করবে এবং কীটনাশক মুক্তির ব্যবস্থা করে থাকবে।
কোন প্রকার পদক্ষেপ ছাড়াই যদি শুধু আশা নিয়ে বসে থাকা হয় তাহলে সে আশা কোন সুফল বয়ে আনবে না বরং তা নিরাশায় পর্যবসিত হবে। যেমন: জমির মালিক যদি চাষাবাদ না করেই, বীজ বপন না করেই, পানি ও সার প্রয়োগ না করেই ভাল ফসলের আশায় বসে থাকে তাহলে তা দুরাশা ছাড়া কিছুই নয়।