দোয়া-ই-কুমাইলের ব্যাখ্যা
লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আনসারিয়ান
১। ‘শেখ তুসি’ তার মিসবাহুল মোতাহাজ্জেদ গ্রন্থে দোয়া কুমাইল সম্পর্কে বলেছেন:
روي أن كميل بن زياد النخعي رأى أميرالمؤمنين عليه السلام ساجدا يدعو بهذا الدعاء في ليلة النصف من شعبان : اللهم إني أسألك برحمتك التي وسعت كل شيء[1]
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, কুমাইল ইবনে জিয়াদ ১৫ই শাবানের মধ্য রাত্রে দেখলেন, আলী আলাইহিস সালাম সিজদা রত অবস্থায় এই দোয়াটি পাঠ করছেন।
২। সাইয়েদ ইবনে তাউস ‘ইকবালুল আ’মাল’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, কুমাইল ইবনে জিয়াদ বলেছেন, একদিন আমার মাওলা আমিরুল মুমিনিন আলী আলাইহিস সালামের সঙ্গে বসরার মসজিদে বসে ছিলাম। ১৫ই শাবানের মধ্য রাত্রের কথা স্মরণ করলাম। আমিরুল মুমিনিন আলী আলাইহিস সালাম বললেন: যে কোন ব্যক্তিই ঐ রাত্রে (১৫ই শাবানের রাত্র) ইবাদতে মশগুল থাকবে এবং হযরত খিজির আলাইহিস সালামের দোয়া পাঠ করবে, আল্লাহর দরবারে তার দোয়া কবুল হবে। যখন হযরত আলী আলাইহিস সালাম বাড়ীতে আসলেন, রাতে তাঁর খেদমতে হাজির হলাম। আলী আলাইহিস সালাম আমাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, হে কুমাইল! কি কাজে এসেছ? আমি বললাম, হযরত খিজর আলাইহিস সালামের দোয়া শেখার জন্য এসেছি। আলী আলাইহিস সালাম বললেন: বস।
হে কুমাইল! এই দোয়া মুখস্থ করার পর প্রতি শুক্রবার রাতে একবার অথবা প্রতি মাসে একবার অথবা প্রতি বছরে একবার অথবা জীবিত থাকা অবস্থায় একবার পাঠ করবে। তাহলে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং আল্লাহ তায়ালা তোমাকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ তায়ালা তোমার রিজিক দীর্ঘায়িত করবেন এবং তোমার গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন।