লেখকঃ আয়াতুল্লাহ হুসাইন আন্সারিয়ান
মহান আল্লাহ হযরত আদমকে নিজের খলিফা ও প্রতিনিধি হিসাবে সৃষ্টি করেন। অত:পর তার শরীরে নিজের ঐশী আত্মা স্থাপন করেন।[1] আল্লাহ তাকে ইসমের অধিকারী করেন এবং সকল ফেরেশতারা তার সম্মান ও মর্যাদার কারণে মহান আল্লাহর নির্দেশে তাকে সিজদা করেন। অত:পর মহান আল্লাহ হযরত আদম ও তার স্ত্রীকে বেহেশতে জায়গা দেন।[2]
মহান আল্লাহ বেহেশতের সকল নেয়ামত তাদেরকে দান করেন এবং একটি বিশেষ বৃক্ষ ব্যতীত সকল কিছু তাদেরকে ব্যবহার করার অনুমতি দেন। আর আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঐ বৃক্ষ থেকে ব্যবহার করলে তারা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।[3]
শয়তান আল্লাহর অবাধ্য হয়ে আদমকে সিজদা না করে বেহেশত থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। তারপরও শয়তান তার অহংকারের কারণে মহান আল্লাহর দরবারে তওবা করে নি।
শয়তান প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হযরত আদম ও হাওয়াকে প্ররোচনা দেয় এবং তারাও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বেহেশত থেকে বিতাড়িত হয় এবং তাদের লজ্জাস্থান প্রকাশিত হয়। শয়তান এভাবে হযরত আদম ও হাওয়াকে প্ররোচনা দেয় এবং তাদেরকে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহিত করে: