তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমার কন্যার ব্যাপারে দুনিয়া-দারীর চেয়েও বেশী গুরত্ব দাও। আর তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না, যাদের সম্পর্কে রাসূলুলস্নাহ্ (সা:) এরশাদ করেছেন :
‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।' সাহাবায়ে কেরাম (রা:) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! দাইউস কে? উত্তরে রাসুলূলস্নাহ (সা:) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পরিবারে আল্লাহ্র আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন তৎপরতা অবলম্বন করে না বরং উপেক্ষা করে চলে।'
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ‘দাইউস হল সে, যে তার পরিবারে বেহায়পনার বাস্তবায়নে সন্তষ্ট ও পরিতুষ্ট।' (আহমদ)
অভিবাদন ও সুসংবাদ
ঐ সকল মুসলিম বোনের প্রতি, যারা শত্রুদের অজস্র কৌশলের সামনেও নিজেকে পরাজিত হতে দেয়নি। বিক্রি করে দেয়নি আল্লাহ্ কর্তৃক তাকে প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ, ইয্যত ও আবরু। বরং সে তার সর্বশক্তি দিয়ে মাড়ির দাঁতের ন্যায় আঁকড়ে ধরে রেখেছে নিজের ব্যক্তিত্ব, সতীত্ব ও সম্ভ্রমকে। আর জাহেলিয়াতের মহা প্লাবনের মুখেও সে পালন করেছে আল্লাহ্র নির্দেশাবলীকে এবং বিরত রয়েছে নিষেধাবলী থেকে।
এভাবেই সে স্বীয় অস্তিত্বের সাথে ধারণ করেছে আল্লাহ্র কিতাব ও রাসূলের (সা:) সুন্নাহএক এবং সমুন্নত রেখেছে ইসলামের পতাকাকে এই বলে যে : "আমার হাতে আছে চির সমুন্নত সংবিধান আল কোর'আন ও রাসূল (সা:) সুন্নাহ্ যা আমাকে রক্ষা করবে সকল বিপদ থেকে। আর আমার হিজাব হল আমার ইয্যত, এ দুয়ের বদৌলতেই আমি হব বিশ্ব সভায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন।
তার জন্যই তার নবীর পক্ষ থেকে সুসংবাদ। যে সম্পর্কে আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন সাহাবায়ে কিরামকে উদ্দেশ্য করে :
"নিশ্চয়ই তোমাদের পর এমন দিনকাল আসবে, যখন আল্লাহ্র দেয়া জীবন ব্যবস্হার সার্থক অনুসারীকে হতে হবে খুবই ধৈর্য্য ও সহনশীল। আর তাদের প্রতিদান হবে পঞ্চাশ জনের প্রতিদানের সমান ও অনুরূপ। তখন সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন: হে আল্লাহ্র রাসূল (সা:)! তাদের থেকেই নাকি? উত্তরে রাসূলুলস্নাহ্ (সাঃ) বললেন : না, বরং তোমাদের মধ্যে থেকে (পঞ্চাশ জনের সমান ও অনুরূপ)।" (তিরমিযী, আবু দাউদ)।
তাদের প্রতি আরো সুসংবাদ হল যে, রাসূলুলস্নাহ্ (সা:) এরশাদ করেছেন:
"ইসলামের যাত্রা শুরু হয়েছিল অপরিচিত অবস্হায়। অচিরেই সে তার যাত্রাকালের অবস্হায় ফিরে আসবে। তবে গুরাবাদের জন্যে চরম সুখ ও শুভ সংবাদ।" সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন গুরাবা কারা? হে আলস্নাহ্র রাসূল (সা:)! উত্তরে রাসূলুলস্নাহ্ (সা:) বললেন : "তারা হল ওরাই, যারা অধিকাংশ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেলেও নিজেরা সত্যকে সার্বিক জীবন ব্যবস্হায় আঁকড়ে ধরে রাখে, সৎ কর্ম পরায়ণতার সাথে।" (তিরমিযী)
উল্লেখ্য মুহাদ্দীসীনে কিরামের কেউ কেউ বলেছেন তুবা'ই হল জান্নাতের একটি গাছের নাম। মিথ্যা, অন্যায়, অনাচার ও বিভ্রান্তিকে উপেক্ষা করে শত বাঁধা বিপত্তির বেড়াজালকে ছিন্ন করে অতি ধৈর্য্যের সাথে যিনি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সা:) আদেশ নিষেধাবলীকে যথাযথ ভাবে পালন করেছেন, তার জন্যে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অভিবাদন।
পবিত্র কোর'আনের ভাষায় :
"তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। যেহেতু তোমরা দুনিয়ায় ধৈর্য্য ধারণ করেছ। আর তোমাদের এই আখিরাতের নিবাস কতই না চমৎকার ও উত্তম।" (সূরা রা'দ, ১৩ : আয়াত ২৪)
শরীয়াতের দৃষ্টিতে পর্দার (হিজাবের) শর্তাবলী
ইসলামী শরীয়াহ্র পৰ থেকে মেয়েদের (হিজাব) পর্দার ব্যাপারে কিছু শর্তাবলী রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
১. হিজাব (পর্দা) হবে তার গোটা শরীরটাকে আবৃতকারী।
আলস্নাহ্র ভাষায় :
অর্থাৎ তারা যেন (উপর দিক থেকে) নিজেদের (মুখমন্ডল ও বক্ষদেশের) উপর নিজেদের চাদরের আচল ঝুলিয়ে দেয়। (যাতে আপাদমস্তক ঢেকে যায়)।
প্রকাশ থাকে যে, অর্থ হল, এমন লম্বা কাপড়, যা মহিলার সমগ্র শরীরটাকেই ঢেকে দেয়। অতএব এটা সুষ্পষ্ট যে, হিজাব হল এমন পর্দা যা গোটা শরীরটাকে ঢেকে ফেলে।
২. হিজাব (পর্দাটা) হালকা কাপড়ের হতে পারবে না। যার মধ্য দিয়ে মেয়েলি শরীরের কোন কিছু দেখা যায়। বরং এটা হতে হবে মোটা কাপড়ের যার মধ্যদিয়ে কোন কিছু দেখার বা বুঝবার কোন আশঙ্কা থাকবে না। কেননা, হিজাবের মূল উদ্দেশ্যই হল আবৃত রাখা। অন্যের দৃষ্টি থেকে এমন কি অন্যের উপলব্দি শক্তি থেকেও।
৩. হিজাবের (পর্দার) কাপড় হবে সাধারণ, কারুকার্য বিহীন। অর্থাৎ হিজাব এমন কারুকার্য সম্বলিত নয়নাভিরাম রং-রেংয়ের হতে পারবে না, যাতে অতি সহজেই অন্যের দৃষ্টি কাড়ে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা নিজেই ঘোষণা করেছেন যে :
"তারা যেন নিজেদের সাজসজ্জা প্রকাশিত না করে কেবল তাছাড়া, যা আপনা হতেই প্রকাশিত হয়ে যায়।" (সূরা নূর, ২৪ : আয়াত ৩১)
এখানে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয়ে যায় বলতে বুঝানো হয়েছে, যা হিজাব পরিহিতার অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে যায়।
সুতরাং যদি হিজাবই হয় নয়নাভিরাম, কারুকার্য সম্বলিত, তাহলে তাদ্বারা পর্দা করা জায়েয হবে না। কেননা হিজাব মানেই হল অপর থেকে বা পর পুরুষ থেকে নিজের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখা এবং অন্যের চোখে উজ্জ্বল হয়ে ফুটে না উঠা।
৪. হিজাব সংকীর্ণ বা চিকন হবে না বরং হিজাব হবে প্রশস্ত ও মোটা যাতে করে হিজাব পরিহিতার শরীরের গঠন আকৃতি পরিলক্ষিত না হয়।
কেননা হিজাব যদি সংকীর্ণ বা চিকন হয়, তাহলে মহিলার অঙ্গাকৃতি হিজাবের উপর দিয়েই প্রস্ফুটিত হয়ে উঠবে এবং এতে করে ফিৎনা ফাসাদ ছড়ানোর বেশী আশঙ্কা দেখা দিবে।
৫. হিজাব অধিক সুগন্ধিময় হতে পারবে না, যাতে করে সুঘ্রাণ পুরুষের মনকে আকৃষ্ট করে হিজাব পরিহিতাকে তাদের আলোচনার বস্তুতে পরিণত করে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেছেন :
মেয়েরা যখন সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে পুরুষদের কোন সমাবেশের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে, তখন পুরষরা (স্বাভাবিকভাবেই) বলাবলি শুরু করে দেয় যে, এই মহিলাটা এমন, এমন, এমন। অর্থাৎ সুঘ্রাণ ব্যবহারকারিনী, সুন্দরী ইত্যাদি।
(আসহাবে সূনান, তিরমিযী বলেছেন, এই হাদিসটি হাসান, সহীহ্।
মহিলা যখন আতর (সুগন্ধী) ব্যবহার করতঃ কোন গোত্রের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে এবং এর সুঘ্রাণ গোত্রবাসীদের কাছে পৌঁছায়, তখন তারা বলাবলি করতে থাকে যে, মহিলাটি তো খুবই সুগন্ধময়ী, সুঘ্রাণ ব্যবহারকারিনী ইত্যাদি।
৬. হিজাব পুরুষদের ব্যবহৃত পোশাকের অনুরূপ হতে পারবে না। যার প্রমাণ পেশ করে আবু হুরায়রা (রা:) কর্তৃক বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীস :
আল্লাহ্র রাসূল (সা:) ঐ সকল পুরুষদের উপর অভিসম্পাদ (লা'নত) করেছেন, যারা স্ত্রীলোকদের পোশাক পরিধান করে। অপরদিকে ঐ সকল মেয়েলোকদের উপরও অভিসম্পাত (লা'নত) করেছেন, যারা পুরুষদের পোশাক পরিধান করে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে :
আল্লাহ্ তা'আলা অভিসম্পাত (লা'নত) করেছেন ঐ সব পুরুষদের প্রতি যারা মেয়েদের আকৃতি-প্রকৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ গ্রহণ করে, অপরদিকে ঐ সকল মেয়েলোকদের প্রতিও অভিসম্পাত (লা'নত) করেছেন যারা পুরুষদের আকৃতি-প্রকৃতি ও পোশাক-পরিচ্ছদ গ্রহণ করে। (বুখারী)
খুবই পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের এই বর্তমান যুগেই আধুনিকতার নামে অসংখ্য মেয়ে লোকেরা পুরুষদের আকৃতি-প্রকৃতি ও পোশাক-পরিচ্ছদকে নিজেদের ভূষণ হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছে। অনুরূপ অনেক পুরুষও আছে যারা এই আধুনিকতার দোহাই দিয়ে মেয়েদের আকৃতি-প্রকৃতি ও পোশাক-পরিচ্ছদকে নিজেদের ভূষণ বলে গ্রহণ করে থাকে। আমরা আল্লাহ্র কাছে এর থেকে পানাহ্ চাই এবং নিরাপত্তা চাই তার অভিসম্পাত থেকে। (আমীন!!!)
হে আমার মু'মিন বোনটি! পরিশেষে তোমার সামনে পেশ করছি, অমূল্য উপদেশাবলী থেকে এগারটা উপদেশ। এই আশায়, তুমি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে দুনিয়ার জীবন অতিবাহিত কর এবং আখিরাতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ্র কাছে ফিরে যাও চির প্রশংসিতা হিসেবে সন্তুষ্ট চিত্তে।
তাহলে শোন উপদেশাবলী
০১. তুমি একমাত্র আল্লাহ্র (গোলামী) ইবাদত করবে পবিত্র কোর'আন ও সুন্নায় বর্ণিত সঠিক ও সহজ পন্হায়।
০২. ধর্ম বিশ্বাস তথা ‘আকিদাহ্ ও ইবাদতের ব্যাপারে এমনকি সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ্র সাথে শির্ক নেক ‘আমলকে ধ্বংস করে দেয় এবং মানুষকে চরম ক্ষতিতে নিক্ষিপ্ত করে।
০৩. ‘আক্বীদাহ্ ও ইবাদত তথা সকল ক্ষেত্রেই বিদ'আত (দ্বীনে নতুন সৃষ্ট বিষয়) থেকে অনেক দূরে থাকবে। কেননা, বিদ'আত হল বিভ্রান্তি। আর বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামের ইন্ধন।
০৪. সালাতকে পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করবে। (যথাসময়ে নিয়মিতভাবে আদায় করে নিবে)। কেননা, যে কেউ সালাতকে সংরক্ষণ করে এবং সালাতের ব্যাপারে সংরক্ষণশীল হয়, তার সকল কাজই হয় যথাযথ ও সংরক্ষনশীলতার ভিতর দিয়ে। পক্ষান্তরে যে কেউ এর সংরক্ষণ করে না, তার সকল কাজই হয় অরক্ষণশীল ও অপরিপূর্ণ।
উল্লেখ্য সালাতের ব্যাপারে প্রথমেই হয়ে যাবে পবিত্রা। তারপর প্রশান্ত আত্মার অধিকারিণী অতঃপর স্বস্তির সাথে খুশু-খুজুর সাথে প্রথম ওয়াক্তেই একে আদায় করে নিবে। জেনে রেখ, যার সালাত (নামাজ) ঠিক তার সবই ঠিক। আর যার সালাত ঠিক নয়, তার সবই বরবাদ।
০৫. তুমি বিবাহিতা হলে সর্বদাই তোমার স্বামীর আনুগত্য থাকবে। তার কোন চাওয়াকে প্রত্যাখ্যান করবে না এবং তার আদেশ-নিষেধের বিরুদ্ধাচরণ করবে না, যতৰণ পর্যন্ত না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা:) কোনরূপ বিরদ্ধাচরণ করে।
০৬. তুমি তোমার স্বামীর উপস্হিতি। অনুপস্হিতিতে তথা গোপন-প্রকাশ্য সর্বাবস্হায় তার ধন-সম্পদসহ তোমার নিজেকে সংরক্ষণ করে রাখবে এবং এই ব্যাপারে মুহুর্তের জন্যেও গাফিল হবে না।
০৭. তুমি সর্বদাই তোমার প্রতিবেশীদের প্রতি ইহ্সান (দয়া প্রদর্শন) করবে, তোমার মুখের, সুন্দর, প্রাঞ্জল ও মিষ্টি মধুর কথাবার্তা এবং উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে। আর তোমার ভালবাসার কোমল হাতকে সম্প্রসারিত করবে তাদের যে কোন আপদ-বিপদ ও বালা-মুসবতের মুহুর্তে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেছেন :
‘যে কেই আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাদের অধিকার প্রদানে সচেষ্ট থাকে।' (বুখারী)
০৮. সর্বদাই তুমি তোমার পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও পরিবেশকে শুভ্র-সুন্দর ও আদর্শময় করে ঘরে তুলতে থাকবে সচেষ্টময়ী, কর্মচঞ্চলা ও প্রাণোদীপ্তা। তবে বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া তুমি এর সীমানার বাইরে যাবে না। কিন্তু যখনই ঘর থেকে বাইরে বের হবে তখন এমনভাবে বের হবে, যাতে কেউই তোমাকে অনুভব করতে না পারে।
০৯. তুমি সর্বদাই থাকবে তোমার মাতা-পিতা ও শশুর-শাশুরীর প্রতি অতি যত্নবান এবং খাদিম। তুমি তাদের সাথে উত্তম বাক্যালাপ করবে আর দরীভূত করবে তাদের সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট, বেদনা ও যন্ত্রণাদায়ক বিষয়বস্তুকে তোমার উত্তম সাহচর্যের মাধ্যমে। তবে এর সবটাই হবে আল্লাহর আনুগত্যের অধীনে।
১০. তুমি তোমার সন্তান-সন্ততিকে সুশিক্ষায় ও সচ্চরিত্রে চরিত্রবান করে গড়ে তোলার জন্যে সর্বাধিক খেয়াল রাখবে। কেননা, তুমিই হলে তোমার সন্তান-সন্ততির প্রথম শিক্ষক। তোমার থেকেই তারা পাবে উত্তম চরিত্র। উন্নত শিক্ষা ও সর্বোত্তম নৈতিকতায় গড়ে উঠে দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অনুপম মহত্ব। তাই সর্বদাই তুমি তাদের ভাল ও সৎ কাজের প্রতি করবে উৎসাহিত এবং মন্দ ও খারাপ কাজ থেকে করবে বিমুখ ও নিরুৎসাহিত। আর ইসলামের জীবন ব্যবস্হার নিরিখে জীবন-যাপনে করে তুলবে আজন্ম অভ্যস্ত। যখন তোমার সন্তানের বয়স সাত বছর তখন থেকেই তাদেরকে সালাত আদায় করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। এবং দশ বছর বয়সে সালাত সহ ইসলামী জীবন ব্যবস্হায় তাদের উপযোগী কোন কিছু পরিত্যাগ করলে করবে মৃদু প্রহার।
আরো শুনে নাও, শিরীয় সাহিত্যিক চিন্তাবিদ হাফেজ ব্রাহিম বলেছেন : মা হল একটা শিক্ষা নিকেতন যখন তুমি তাকে তেমন করে গঠন করবে। তাহলে গঠন করলে এমন একটা জাতি যারা মূলতই উৎকৃষ্ট ধমনী দিয়ে গঠিত। মা হল একটি কানন যদি তাকে সশিক্ষা লজ্জা ও শালীনতা রসে সিঞ্জিত এবং সংরক্ষণ করো। তাহলে সে সত্যিই (সন্তান-সন্তুতি নিয়ে) পত্র-পল্লবে আচ্ছাদিত ও সুশোভিত বাগানের ন্যায় ফুটে উঠবে। মা হল সকল শিক্ষকের প্রথম শিক্ষক। যার গুণপনা ও কৃতিকলাপই যুগ-যগান্তর ধরে জগতে সুখ্যাতি অবশিষ্ট রেখেছে।
১১. সর্বাবস্হায় আল্লাহ্র আদেশ ও নিষেধাবলীকে যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বাধিক আল্লাহ্র যিক্রে মত্ত থাকবে এবং বেশি বেশি দান-খয়রাত করবে (তবে তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী) আমার এই উপদেশাবলী গ্রহণ করার ও সে অনুযায়ী বাস্তবে ‘আমল করা এবং এই বইটিকে ভালভাবে অধ্যয়ন করা এর অন্তর্নিহিত ভাব হৃদয়ঙ্গম করা এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনার ক্ষমতা দানের জন্যে মহান আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে তোমার জন্যে সাহায্য কামনা করছি।
বোন হে আমার ! আলস্নাহ্ আমাদের সবাইকে সকল প্রকার ৰয়ৰতি ও খারাবী থেকে রৰা করম্নন এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু দিন আর কিয়ামতে বেহিসাবে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করন।
source : www.abna.ir