বাঙ্গালী
Thursday 26th of December 2024
0
نفر 0

হযরত যয়নব (রা.) বিনতে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)

হযরত যয়নব (রা.) বিনতে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)
বানাতুন্নবী বা নবীদুলালী
হযরত যয়নব (রা.) বিনতে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)
শেষ নবীর বড় কন্যা হযরত যয়নব আল্লাহ্র পথে শাহাদাত বরণ করেন। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) তার সম্পর্কে নবীজীর উক্তি উল্লেখ করে বলেন, সে ছিল আমার সব চেয়ে ভাল কন্যা, যাকে আমার ভালবাসায় অতিষ্ঠ করা হয়েছে।
তার মাতা ছিলেন খাদীজা ইবনেতে খুওয়াইলিদ। হযরত খাদীজা (রা.) আল্লাহর রাসূলের প্রতি সর্ব প্রথম ঈমান আনেন। তার ফযীলত মর্তবা অসীম। সংক্ষেপে বলে যায়, বিগত উম্মতের মধ্যে হযরত মারইয়ামের যে মর্তবা ছিল, মুসলিম উম্মার মধ্যে হযরত খাদীজার মর্তবাও ঠিক অনুরূপ।
আবু আমর বলেন, তিনি ছিলেন নবীজীর কন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়, এতে কোন দ্বিমত নেই। কেউ দ্বিমত পোষণ করে থাকলে ভুল করবে এবং তার দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিমত এ ব্যাপারে থাকতে পারে যে, নবীজীর সন্তানদের মধ্যে প্রথমে হযরত যয়নবের জন্ম হয়েছে, না হযরত কাসেমের।
মানব বংশধারা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল একটা মহলের মতে প্রথমে হযরত কাসেম জন্ম গ্রহণ করেন, অতঃপর হযরত যয়নব। ইবনে কালবীর মতে প্রথমে হযরত যয়নব জন্ম গ্রহণ করেন, এরপর হযরত কাসেম। যা হোক, হযরত যয়নব ছিলেন নবীজীর কন্যা সন্তানদের মধ্যে সবার বড়।
জন্ম
মহানবীর নবুওয়াত লাভের দশ বৎসর পূর্বে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তখন হযরতের বয়স ছিল ৩০ বৎসর। তার শৈশব কালের কথা তেমন জানা যায় না। ইতিহাস গ্রন্থেও এ সম্পর্কে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। নবীজীর কন্যাদের মধ্যে হযরত যয়নবের বিয়ে হয় সর্ব প্রথম। তখন তাঁর বয়স খুবই কম। আল্লাহর রাসূলের নবুওয়াত লাভের আগের ঘটনা। এ বিয়ে হয় তাঁর আপন খালাতো ভাই আবুল আছ এর সাথে। তাঁর লকব বা উপাধী ছিল লাকীত। স্বামী আবুল আছ এর বংশধারা ছিল-আবুল আছ ইবনে রাবী ইবনে আবদুল উযযা ইবনে আবদে শামস ইবনে আবদে মানাফ ইবনে কোছাই। তিনি ছিলেন হযরত খাদীজার আপন বোন হালা ইবনেতে খোওয়াইলিদের পুত্র। তার উপঢৌকনের মধ্যে অন্যান্য জিনিস ছাড়াও ছিল ইয়ামানের প্রসিদ্ধ আকীক পাথরের একটি হার। এটি তাকে হযরত হোযায়ফা দিয়েছিল।
নবীজী নবুওয়াত লাভ করলে হযরত যয়নবও ইসলাম প্রহণ করেন। স্বামী আছ এর ইসলাম গ্রহণ করার আগেই তিনি মদীনায় হিজরত করেন। স্বামী তখনো মুশরিক হিসেবে মক্কায় রয়ে যান। নবীজী যয়নব ও আবুল আছ এর দাম্পত্য সম্পর্ক এবং ভদ্র জনোচিত কর্মধারার প্রশংসা করতেন প্রায় সময়ই। আবুল আছ যেহেতু শিরকে লিপ্ত আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশ তো এ হওয়াই স্বভাবিক যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো উচিত। কিন্তু নবীজী তখনো মক্কায় পরাভুত অবস্থায় ছিলেন। একটা শক্তি হিসেবে তখনো ইসলামের অভ্যুদয় ঘটেনি। মুসলমানদের প্রতি কাফেরদের অত্যাচার-নির্যাতন ছিল তখন চরমে। তখন ছিল ইসলামের সূচনা পর্ব মাত্র তাই নবীজী পরিণামদর্শীতার পরিচয় দিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে বিচ্ছেদ ঘটাননি।
কিন্তু ইসলামের বিকাশ লাভের সাথে সাথে ইসলাম বিরোধীদের বিরুদ্ধাচরণের তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়। নবীজীকে উত্যক্ত উৎপীড়িত করার কোন উপায়ই তারা বাদ রাখেনি। কোরাইশের কিছু লোক আবুল আছকে বাধ্য করতে চেষ্টা করে যয়নবকে তালাক দিয়ে তার পরিবর্তে কোরাইশের কোন মহিলাকে বিয়ে করতে। কিন্তু আবুল আছ তাদের এ প্রচেষ্টায় সম্মত হননি, বরং তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। এ কারণে নবীজী তাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে ভালো মনে করতেন এবং এর প্রশংসা করতেন। হযরত যয়নব আবুল আছকে গভীর ভালবাসতেন। নিচের ঘটনা থেকেই তাদের ভালোবাসার গভীরতা ফুটে ওঠে।
নবুওয়াত লাভের ত্রয়োদশ বর্ষে নবীজী মক্কা মুয়ায্যামা থেকে হিজরত করেন, তখন হযরত যয়নব ছিলেন শ্বশুরালয়ে। স্বামী আবুল আছ মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বদর যুদ্ধে যোগ দেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে জুবাইর ইবনে নু‘মান অন্যান্য বন্দীদের সাথে আবুল আছকেও গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। এ সম্পর্কে মক্কাবাসীরা জানতে পেরে বন্দীদের মুক্ত করার জন্য ফিদিয়া পাঠায়। হযরত যয়নবও, দেবর আমর ইবনে রাবীকে একটা হারসহ প্রেরণ করেন, যেটি বিয়ের সময় মাতা খাদীজা কন্যাকে উপঢৌকন হিসেবে দিয়েছিলেন। হারটি নবীজীর খেদমতে পেশ করা হলে তিনি শোকাবিভুত হয়ে পড়েন। হযরত খাদীজার কথা তার মনে পড়ে যায়। অতঃপর তিনি সকলকে সম্বোধন করে বলেন, তোমরা ভালো মনে করলে যয়নবের স্বামীকে ছেড়ে দিতে পার। তার হারও ফেরত দিতে পার। হারটি ফেরত দেয়া হয় এবং হযরত যয়নবের স্বামী আবুল আছকেও ছেড়ে দেয়া হয়।
সব কয়েদীকেই যেহেতু ফিদিয়া নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, আবুল আছ নবীজীর জামাতা বলে তাকে ফিদিয়া ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হবে এটা তো শানে নবুওয়াতের বিরোধী। এটা কি করে হতে পারে? তাই আবুল আছ এর ফিদিয়া এই সাব্যস্ত হয় যে, তিনি মক্কায় ফিরে গিয়ে স্ত্রী যয়নবকে মদীনায় প্রেরণ করবেন। হযরত যয়নবকে মদীনায় নিয়ে আসার জন্য আবুল আছ এর সাথে হযরত যায়েদ ইবনে হারেসাকেও দেয়া হয়। তাকে বলে দেয়া হয় যে, তুমি বতনে এয়াজিজ-এ অপেক্ষা করবে। হযরত যয়নব সেখানে পৌঁছলে তাকে নিয়ে মদীনায় আসবে। আবুল আছ মক্কায় ফিরে যয়নবকে তার ছোট ভাই কেনানার সাথে যাওয়ার অনুমতি দেন।
হযরত যয়নব যখন সফরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন হিন্দ ইবনে ওতবা তার কাছে এসে বললেন, হে নবী দুলালী! তুমি কি পিতার কাছে যাচ্ছ? তিনি বললেন, আপাততঃ তো তেমন ইচ্ছে নেই, ভবিষ্যতে আল্লাহর মর্জী হলে দেখা যাবে। হিন্দ বললেন, বোন আমার কাছে গোপন করার কি প্রয়োজন? তুমি সত্যিই যদি যেতে চাও এবং পথের সম্বলের কিছু প্রয়োজন থাকে তাহলে বিনা দ্বিধায় বলতে পার, আমি খেদমতের জন্য প্রস্তুত। তখনো নারী সমাজের মধ্যে শত্রুতার বিষ-বাষ্প ছড়ায়নি, যা পুরুষদের মধ্যে ছড়িয়েছিল। এ জন্য হযরত যয়নব বলেন যে, হিন্দ যা কিছু বলেছিলেন, সরল মনেই বলেছিলেন। অর্থাৎ আমার কোন জিনিসের প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পুরো করতেন।
মোট কথা, সফরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দেবর কেনানা ইবনে রাবী‘কে সঙ্গে নিয়ে উটের পিঠে আরোহণ করে তিনি মদীনা শরীফ রওয়ানা হন। তখন চারিদিকে ছিল কাফের। তারা পেছনে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল। তাই কেনানা তীর-ধনুক ইত্যাদিও সাথে নেন। তারা রওয়ানা হলে কাফের মহলে হৈ-চৈ পড়ে যায়। কোরাইশের লোকজন তাদেরকে পাকড়াও করার কথাও চিন্তা করতে লাগলো। তাদের সন্ধানে এক দল লোক বেরিয়ে পড়ে।
তারা যি-তুয়া নামক স্থানে এদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। ঘেরাওকারীদের দলে হাব্বার ইবনে আসওয়াদ এবং অপর এক ব্যক্তিও ছিল। হাব্বার ইবনে আসওয়াদ ছিলেন হযরত খাদীজার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। ইনি সর্ম্পকে হযরত যয়নবেরও ভাই হন। তার এ অন্যায় আচরণের জন্য মক্কা বিজয়ের দিন নবীজী তাকে হত্যার অনুমতি দেন। কিন্তু তিনি অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এদের একজন হযরত যয়নবের প্রতি বল্লম দিয়ে হামলা চালায়। তিনি উঠের পিঠ থেকে মাটিতে পড়ে যান। তখন তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা ফলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। তিনি ভীষণ আঘাত পান। এরপর কেনানা তীর বের করে বলেন, এখন যে কেউ আমার কাছে আসবে, কবর হবে তার ঠিকানা। তার এ ঘোষণার পর সকলে এদিক সেদিক চলে যায়। কোরাইশ সরর্দাদের সাথে আবূ সুফিয়ান সামনে অগ্রসর হয়ে বলে, তুমি ক্ষণিকের জন্য তীর বন্ধ কর। আমরা তোমার সাথে একটু কথা বলে নেই। কেনানা তীর কোশবন্ধ করে জিজ্ঞেস করেন, কি বলতে চাও, বল। আবূ সুফিয়ান বললেন, মুহাম্মদ (সা.) এর হাতে আমাদেরকে যে বিপদ-মুছিবত, পরাজয় এবং লাঞ্ছনা- অবমাননার গ্লানী সইতে হচ্ছে, সে সর্ম্পকে তোমরা বেখবর নও। এখন তোমরা যদি প্রকাশ্যে তার কন্যাকে আমাদের সম্মুখ দিয়ে নিয়ে নিয়ে যাও, তাহলে মানুষ এটাকে আমাদের দুর্বলতা, কাপুরুষতা বলে অভিহিত করবে এবং এটাকে আমাদের পশ্চাদপসারণের পূর্বাভাষ বলে মনে করবে। তোমরা নিজেরাইতো এটা বুঝতে পার যে, মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যাকে বাধা দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই আমাদের। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এখন তোমরা ফিরে যাও। হৈ-চৈ থেমে গেলে মানুষ যখন বুঝতে পারবে যে, আমরা মুহাম্মদের (সা.) কন্যাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি, তখন তোমরা গোপনে তাকে নিয়ে যাবে। কেনানা এটা মেনে নিয়ে ফেরত আসেন। ঘটনাটি সাধারণ্যে প্রচারিত হলে একদিন গোপনে তাকে নিয়ে রওয়ানা হন। তিনি ‘বতনে ইয়াজিজ‘-এ যায়েদ ইবনে হারেসার কাছে পৌছে দিয়ে ফিরে যান। তিনি হযরত যয়নবকে নিয়ে মদীনা মুনাওয়ারা রওয়ানা হন।
আবূল আছও যয়নবকে অত্যাধিক ভালোবাসতেন। তাদের মধ্যে সুসর্ম্পক বিরাজ ছিলো। তাই হযরত যয়নব চলে গেলে আবূল আছ অত্যন্ত দুঃখ পান। একবার সিরিয়া সফরকালে হযরত যয়নবের কথা মনে পড়লে তিনি দুটি কবিতা আবৃত্তি করেন। কবিতা দৃ‘টি হলো
ذكرت زينب لما دركت ادما *
فقلت سقيا تشخص يسكن الحرما
بنت الأمين جزاها الله صالحة *
وكل بعل يشني ما الذى علما
অর্থ: আমি যখন আরম স্থান অতিক্রম করি, তখন যয়নবকে স্বরণ হয়।
তখন আমি বললাম, সে হেরেম শরীফে বসবাস করছে, আল্লাহ্ তাকে সজীব্ রাখুন।
আল-আমীনের কণ্যাকে আল্লাহ্ শুভ প্রতিদান দিন।
প্রত্যেক স্বামী যা ভালো জানে, তারই প্রশংসা করে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের অভিজ্ঞতা এবং আমানতদারীর জন্য আবূল আছ খ্যাত ছিলেন। কোরাইশরা তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য আছ এর নিকট প্রেরণ করতো। হিজরী ৬ সালের জমাদিউল আউয়াল মাসে আবূল আছ কোরাইশদের একটি কাফেলার সাথে শাম দেশ অভিমূখে রওয়ানা হন। সেখান থেকে ফেরার পথে নবীজী জানতে পারেন। তিনি ১৭০ জন ঘোড়া সওয়ারসহ যায়েদ ইবনে হারেসাকে প্রেরণ করেন পশ্চাদগমনের জন্যে। ঈশ নামক স্থানে উভয় কাফেলা মুখোমুখি হয়। নবীজীর প্রেরিত বাহিনী মুশরিক বাহিনীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের পণ্যসামগ্রী হস্তগত করে। কিন্তু আবূল আছ এর কোন ক্ষতি করা হয়নি।
আবূল আছ কাফেলার এ পরিণতি দেখে তখনই মদীনা মুনাওয়ারা চলে যান এবং সেখানে পৌঁছে হযরত যয়নবের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেন। হযরত যয়নব তাকে আশ্রয় দেন। নবীজী তখন ফজরের নামাযে ছিলেন। হযরত যয়নব বুলুন্দ আওয়াযে বলেন, আমি আবূল আছকে আমার আশ্রয়ে নিয়েছি।
নবীজী নামায শেষ করে বললেন, লোক সকল! তোমরা কিছু শুনলে? সকলে আরয করেন, জি হ্যাঁ, শুনেছি। তিনি বললেন, ইতোপূর্বে এ ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। কি বিস্ময়ের ব্যাপার! মুসলমানদের দুর্বল লোকেরা দুশমনদেরকে আশ্রয় দেয়।
নবীজী ঘরে তাশরীফ আনলে হযরত যয়নব তাঁর খেদমতে হাযির হলেন। তিনি আরয করলেন, আবুল আছ এর আটককৃত পণ্য ফেরত দেয়া হোক। তিনি অভিযাত্রী দলের কাছে খবর পাঠালেন, আবূল আছ এর সাথে আমার কি সর্ম্পক, তোমরা তা জানো। তোমরা তার প্রতি দয়া করে তার মলামাল ফেরত দিলে তা আমার খুশির কারণ হবে। অন্যথায় তোমাদের ইখতিয়ার রয়েছে। তারা সবাই বললো, আমরা সব কিছু ফেরত দিতে প্রস্তুত। তাই হয়েছে। তার সব কিছুই ফেরত দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে কন্যা যয়নবকে বললেন, আবূল আছ এর আদর-যতœ, সম¥ান-মর্যাদায় ত্রুটি করবে না। কিন্তু যতক্ষণ সে মুশরিক থাকে, তার নৈকট্য থেকে দূরে থাকবে। কারণ, ইসলাম ও কুফর একত্র হতে পারে না।
বাহ্যত এ বর্ণনা দ্বারা প্রথম বর্ণনা অর্থ্যাৎ সর্ম্পক ছিন্ন না করার প্রতিবাদ হয়। কিন্তু আসলে যেহেতু এখন ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, অতি সহজেই দুশমনদের মোকাবিলা করা যায়। তাই এমন নির্দেশ না দেয়ার কোন কারণ থাকে না নবীজীর জন্য। যেহেতু আগের সময়টি ছিল সত্যিকার অর্থেই নাযুক। তাই তখন বিবাহ বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়নি।
এরপর আবূল আছ তার পণ্যসম্ভার নিয়ে মক্কা মুয়ায্যমা রওয়ানা হন। মক্কা পৌঁছে সকলের দেনা-পাওনা পরিশোধ করেন। একদিন তিনি কোরাইশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন আমার কাছে কারো কোন দাবি তো অবিশিষ্ট নেই? তারা বললো; না, এখন তোমার কাছে আমাদের কোন দাবি নেই। আল্লাহ্ তোমাকে নেক প্রতিদান দিন। তুমি একজন ওফাদার এবং ভদ্র ব্যক্তি। আবূল আছ বললেন, তোমরা শুনে রেখো, এখন আমি ইসলাম গ্রহণ করছি। এই বলে তিনি পাঠ করলেন,
أشهد أن لاإله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده و رسوله
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

বেহেস্তি নেত্রি: ফাতিমা যাহরা সা.আ
ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের জন্ম ...
শিয়া মুসলমানরা কি দৈনিক তিন ...
গাদীর একটি ঐতিহাসিক স্থান ও একটি ...
কারবালার সংস্কৃতিতে নৈতিক ও ...
খলিফা ওমর বিন -আব্দুল আজী
হযরত যয়নব (রা.) বিনতে রাসূলুল্লাহ্ ...
সূরা আল আনফাল;(১৭তম পর্ব)
নবী ও রাসূলের প্রয়োজনীয়তা
হযরত আলী (আ.)-এর গুণাবলী

 
user comment