উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মধ্য-শাবান হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শবে বরাত বা শব-ই-বরাত (شب برات) নামে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানগণ বিভিন্ন কারণে এটি পালন করেন। তবে ইসলামে শবে বরাতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। কেউ কেউ এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালনকে বিদ্আত মনে করেন।
এই বিশেষ রাতের ব্যাপারে কুরআনে তেমন কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে, সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রাতের কথা ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, ঐ হাদিস মতে, এক রাতে আয়েশা [রা.] ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু হযরত মুহাম্মদ [স.] বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মহানবীকে [স.] খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মহানবী [স.] বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং [আরবের] কালব্ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন। উল্লেখ্য, সেসময় কালব্ গোত্র ছাগল পালনে প্রসিদ্ধ ছিল এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন, "হযরত আবু বকরও [রা.] এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়। আমি (ইমাম তিরমিয়ী) শুনেছি ইমাম বুখারীকে [র.] বলতে এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মাঝে একজন জায়েফ (দূর্বল বা কম গ্রহণযোগ্য) ছিলেন।" এর ভিত্তিতে বলা হয়, এই হাদিসটি সম্পুর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য না হলেও মিথ্যা নয়। এটি সত্য হবার সম্ভবনা আছে। ফিকাহ্ বিশারদদের মতে জায়েফ হাদিস যদি কুর'আন পরিপন্থী না হয় তবে তা মানা যায়।[১]
অন্যান্য নাম[সম্পাদনা]
লাইলাতুল বরাত।
লাইলাতুল দোয়া।
ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শা'বান।
আরবী ভাষাভাষীর বলে নিসফ্ শা'বান।
মালয় ভাষাভাষীর বলে নিসফু শা'বান।
তুর্কি ভাষাভাষীর বলে বিরাত কান্দিলি।
ভারতীয় উপমহাদেশে বলা হয় শবে বরাত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ ইসলামিকভয়েস.কম, ডিসেম্বর ১৯৯৯।