সৌদি আরবের মানবাধিকার সংস্থার সদস্য ও এদেশের বিচার বিষয়ক উচ্চতর সংস্থার ‘ফিকহে মাকারেন' বিষয়ের শিক্ষক তাকফিরীদেরকে ‘জাহান্নামের কুকুর' বলে আখ্যায়িত করে তাদের বিপরীতে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
অন্যদেরকে কাফের আখ্যায়িতকারীরা বোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্নভাবে পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে; যেমনভাবে ২০ বছরের তিউনিশিয় দু'টি যুবক একটি হোটেলের সামনে ও বুরকিবাহ'র মাজারে নিজেদেরকে একের পর এক বিস্ফোরিত করেছে।
তাকফিরী সন্ত্রাসীদের ন্যায় এ ধরনের দলের উপস্থিতিতে শত্রুরা সন্তুষ্ট ও আনন্দিত -এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন : শত্রুরা এ দলগুলোর বিভিন্ন পদক্ষেপে অত্যাধিক আনন্দিত হয়। তারা এ ধরনের পদক্ষেপকে ব্যবহার করে আমাদের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে এবং আমাদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারা আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়াদিতে হস্তক্ষেপ করে।
এ সময় তাকফিরীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং তাদের মোকাবেলার জন্য আলেম সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আল-ফাওযান।
তিনি তাকফিরীদেরকে একদল মূর্খ ও অজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন; যারা মুসলিম উম্মাহ'র বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে খেলা ও এ্যাডভেঞ্চারে মেতেছে।
আর কতদিন মূর্খ ও অপরাধী এ সকল ব্যক্তিদের বিপরীতে নিরবতা পালন করবেন -এ প্রশ্ন উত্থাপন করে আল-ফাওযান বলেন : এরা মুসলিম উম্মাহ'র বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করে ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় এবং যুবকদেরকে প্রতারিত করে মনে করে যে, তারা সত কাজ করছে।
তিনি বলেন : তারা (তাকফিরীরা) জাহান্নামের কুকুর এবং মন্দের উত্স স্বরূপ।
আল-ফাওযান ইতিপূর্বে আল-কায়েদা চক্রের ওপর আক্রমণ করে বলেছিলেন : যদি তারা মুসলিম উম্মাহ'র বিজয় দেখতে চায় তবে তাদের উচিত ক্ষতি সাধন হতে বিরত থাকা এবং অন্যের (অধিকারে) হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকা, কেননা তাদের এ পদক্ষেপ বিজাতীয়দের হস্তক্ষেপ ও প্রবেশের কারণ হয়।