আমি দীর্ঘ পড়াশুনার পর মুসলমান হয়েছি। আমি মহান আল্লাহ্, তাঁর নবী ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস রাখি এবং মহানবী (স.) এর ওফাতের পর আলী (আ.) কে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মানি।
ইউক্রেনিয়ান ঐ যুবতী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মাযান্দারান প্রদেশে সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি'র কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি শিয়া মাযহাবকে নিজের অনুকরণীয় মাযহাব হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
ইউক্রনিয়ান যুবতী ‘ভারনিকা' আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। গতকাল তিনি তার হবু স্বামী ও তার হবু স্বামীর পরিবারের সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্দেশ্যে ‘আয়াতুল্লাহ নূরুল্লাহ তাবারসী'র কার্যালয়ে যান। ভারনিকা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মারিয়াম নামটিকে নিজের নতুন নাম হিসেবে বেছে নেন।
তিনি বলেন : আমি মহান আল্লাহ্, তাঁর রাসূল (স.) এর প্রতি বিশ্বাস পোষণ করি এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয় হযরত মুহাম্মাদ (স.) মহান আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, তাঁর পর আর কোন নবী আসবে না। আমি কেয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখি।
আমি দীর্ঘ পড়াশুনার পর অনুভব করতে পেরেছি যে, আমার স্বামী যে ধর্মের অনুসরণ করে তা ভুল নয়। এরপর তিনি বলেন : আমি হযরত আলী (আ.) কে মহানবী (স.) এর পর তাঁর প্রতিনিধি ও স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মেনে ইসলামি মাযহাবসমূহের মধ্যে শিয়া মাযহাবকে নিজের অনুসরণীয় মাযহাব হিসেবে গ্রহণ করলাম।
এ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি বলেন : আমি এ বিষয়ে বিশ্বাস রাখি যে, ১২ জন ইমাম হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর প্রতিনিধি; যাঁদের প্রথম জন হচ্ছেন হযরত আলী (আ.) এবং শেষ জন ইমাম মাহদী (আ.)। মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তাদের অনুসরণ করা ওয়াজিব।