আবনা ডেস্কঃ ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে ভয়াবহ আগুন।
বাংলাদেশের রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করছেন দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশীদ আনোয়ার।
ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে ভয়াবহ আগুন। আগুনে আটকে পড়া শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষকে।
আগুনের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হতে বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ডিজিটাল, ম্যানুয়াল নয়। এগুলো সেট করতে কিছুটা সময় লাগে তবে, খুব বেশি সময় নয় সেটা।
ফায়ার সার্ভিসের ডিডি বলেন, আমরা শতাধিক লোকজনকে ভবন থেকে উদ্ধার করেছি। আহতদের উদ্ধার করতে পেরেছি। এখানে একটা ভবন থেকে আরেকটা ভবনের দূরত্ব খুব কম। আমরা দ্রুত তৎপরতা শুরু না করলে আগুনটা অন্য ভবনেও ছড়িয়ে যেত।
আগুন লাগা ভবনটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ভবনের ভেতরের ডেকোরেশন বেশিরভাগই ফোম ও সিনথেটিক ফাইবার উপাদানের, যে কারণে খুব ধোঁয়া হয়েছে। এর ফলে কাজ করতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ভবনটিতে গার্মেন্টের বায়িং হাউজ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস, বিক্রয় কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ ও একটি কনভেনশন সেন্টার রয়েছে। এফআর টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখা। পাশের ভবন আওয়াল সেন্টারে রয়েছে বেসরকারি কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস।#