মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু জেল দেয়া হয়েছে। তিনটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু জেল, আরো দুটি অভিযোগের একটিতে ১২ বছর ও অন্যটিতে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আলোচিত ১০ নম্বর অভিযোগ বিশাবালী হত্যাকাণ্ড এবং ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, অপর আলোচিত আট নম্বর অভিযোগ ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাকাণ্ডে ১২ বছরের সশ্রম কারদণ্ড, সাত নম্বর অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ছয়, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামী এবং রাষ্ট্র উভয়পক্ষের আবেদন আংশিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে মাওলানা সাঈদীকে মোট আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর ছয়টি অভিযোগে কোনো সাজা উল্লেখ করেননি। আসামীপক্ষ বেকসুর খালাস এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছয়টি অভিযোগে সাজা উল্লেখের দাবি জানিয়ে আপিল আবেদন করেছিল।
আপিল বিভাগের আজকের চূড়ান্ত রায়ে আসামীপক্ষের আবেদন আংশিক গ্রহণ করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে একটিতে আমৃত্যু জেল এবং আরেকটিতে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন। অপরদিকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজা উল্লেখ করা হয়নি এমন ছয়টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনও আংশিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
আলোচিত ইব্রাহিম কুট্টির হত্যা ছিল আট নং অভিযোগ। এ অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মুত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ রায়ে এ অভিযোগে ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপরদিকে বিশাবালীর অভিযোগটি ছিল ১০নং অভিযোগ। এ অভিযোগেও ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। আজকের রায়ে এ অভিযোগে আমুত্য কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে যে তিনটি অভিযোগে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- সাত, ১৬ এবং ১৯নং অভিযোগ।
১৬নং অভিযোগ হলো গৌরাঙ্গ সাহার তিন বোন মহামায়া, আনু এবং কমলাকে অপহরণ করে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দেয়া। এ অভিযোগে আজকের রায়ে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্য জেল দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ১৯নং অভিযোগ হলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকলে ১০০ থেকে ১৫০ জন হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ। এ অভিযোগেও মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু জেলা দেয়া হয়েছে।
সাত নং অভিযোগ ছিল শহিদুল ইসলাম সেলিমের বাড়িতে আগুন দেয়া। এ অভিযোগে সাত বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ছয়, ১৬ এবং ১৯নং অভিযোগে ট্রাইবু্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কোনো সাজা উল্লেখ করেনি।
আজ আপিল বিভাগের রায়ে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশাবালী হত্যার ১০নং অভিযোগসহ মোট তিনটি অভিযোগে আমৃত্যু জেলা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আরো তিনটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত করলেও আজকের রায়ে তাতে খালাস দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তিনটি হলো- (৬) পাড়েরহাট বাজারে দোকানপাটে লুটপাটে নেতৃত্ব প্রদান এবং অংশ নেয়া, (১১) মাহবুবুল আলম হাওলাদার বাড়িতে লুট এবং তার ভাইকে নির্যাতন এবং (১৪) ১৯৭১ সালে হোগলাবুনিয়া এলাকায় হিন্দু পাড়ায় আক্রমণ এবং শেফালী ঘরামী নামে একজন মহিলাকে রাজাকার কর্তৃক ধর্ষণে সহায়তা এবং সেখানে উপস্থিত থাকা ।
এদিকে কয়টি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে জাবজ্জীবন এবং আমৃত্যু জেল দেয়া হয়েছে তা নিয়ে কারো কারো মধ্যে ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ১০ নম্বর অভিযোগ বিশাবালী হত্যাকাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে জাবজ্জীবন জেল দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১০, ১৬ ও ১৯ এই তিনটি অভিযোগেই আমৃত্যু সাজা দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বুধবার সকালে মাওলানা সাঈদীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটের সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অপরাপর বিচারপতিগণ আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। ১০টা সাত মিনিটের সময় সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা শেষ করেন। তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় রায় ঘোষণা। এসময় আদালত কক্ষে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগে মাওলানা সাঈদীর আপিল মামলার সব কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখা হয়। তার পাঁচ মাস শেষে আজ চূড়ান্ত রায় হচ্ছে। আজ প্রথমেই ঘোষণা করা হবে এ রায়।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আপিল মামলার বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ ফেব্র"য়ারি মাওলানা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মান্তরকরণসহ ২০টি অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে আটটি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দু'টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
মাওলানা সাঈদীর খালাস চেয়ে গত বছর ২৮ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে আসামিপক্ষ। যে ছয়টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে; কিন্তু সাজা উল্লেখ করেনি ট্রাইব্যুনাল, সেগুলোতে সাজা উল্লেখ করার দাবি জানিয়ে একই দিন রাষ্ট্রপক্ষও আপিল আবেদন করে।
ওই বছর ২৪ সেপ্টেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাড়ে ছয় মাসেরও অধিক সময় পর আলোচিত এ মামলায় আপিল শুনানি শেষে রায় অপেক্ষমাণ ঘোষণা করা হয় গত ১৬ এপ্রিল।
মাওলানা সাঈদীর আপিল মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ গঠন করা হয় তখন। বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
মাওলানা সাঈদীকে দু'টি হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এ দু'টি অভিযোগ হলো ইব্রাহীম কুট্টি ও বিশাবালী হত্যা।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ২০টি অভিযোগে চার্জ গঠন হয়। এর মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রমাণিত আটটি অভিযোগের দু'টি হত্যার অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দেয়ার কারণে বাকি ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তাতে কোনো শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি ট্রাইব্যুনাল। বাকি যে ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মান্তরকরণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও অপহরণ।
যে দুই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড : মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয় তার মধ্যে আট নং অভিযোগে বলা হয় ১৯৭১ সালের ৮ মে মাওলানা সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তান আর্মি এবং শান্তি কমিটির লোকজন চিথলিয়া গ্রামে মানিক পসারীর বাড়ি লুট করে। মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ইব্রাহিম কুট্টি ও মফিজুল নামে দু'জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পাড়েরহাট বাজারে। তারা ওই বাড়িতে কাজ করতেন। পাড়েরহাট বাজারে নেয়ার পর মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাকিস্তান আর্মি ইব্রাহিম কুট্টিকে গুলি করে হত্যা করে।
১০নং যে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে চার্জ ফ্রেমিং অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭১ সালের ৬ জুন সকাল ১০টায় উমেদপুর গ্রামে সাঈদীর নেতৃত্বে ২৫টি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় সাঈদীর নির্দেশে বিশাবালী নামে একজনকে নারকেল গাছের সাথে বেঁধে হত্যা করা হয়।
আপিল শুনানির সময় ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা বিষয়ে আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতে বলেছেন, ইব্রাহিম কুট্টি ১৯৭১ সালে ৮ মে তার শ্বশুরবাড়ি নলবুনিয়া থাকা অবস্থায় নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে মামলা করেন ১৩ জনকে আসামি করে, তাতে মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। মমতাজ বেগম এখনো জীবিত আছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এক বছরের মাথায় ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলার সব কার্যক্রম শেষে রায়ের তারিখ অপেক্ষমাণ ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেন। এরপর মাওলানা সাঈদীসহ অন্যান্য মামলার পুনরায় বিচার দাবি করে দরখাস্ত করা হয় আসামিপক্ষ থেকে। সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে মাওলানা সাঈদীর মামলায় পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় ও ২৯ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি পেশ শেষ হলে সেদিন পুনরায় রায়ের তারিখ অপেমাণ ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলাটিই ছিল প্রথম মামলা। তবে স্কাইপ কেলেঙ্কারির কারণে পিছিয়ে যায় এ মামলার রায় ঘোষণার বিষয়টি।
মানিক পসারী নামে এক লোক পিরোজপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ঘটনায় একটি মামলা করেন। এর কয়েক দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর মাহবুবুল আলম নামে আরেক ব্যক্তি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর নালিশি আদালতে একটি নালিশি দরখাস্ত দাখিল করেন।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে মামলার বাদি মাহবুবুল আলম হাওলাদার ২০১০ সালের ২০ জুলাই ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেন। এভাবে মাওলানা সাঈদীর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের অধীনে আসে এবং বিচারকার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াসংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয় মাওলানা সাঈদীকে।
মাওলানা সাঈদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় : মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৪০ সালের ফেব্র"য়ারি মাসের ১ তারিখ পিরোজপুরের সাঈদখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সুপরিচিত ইসলামি চিন্তাবিদ ও বক্তা ছিলেন।
মাওলানা সাঈদী তার বাবার প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পর ১৯৬২ সালে মাদরাসা শিক্ষা শেষ করে গবেষণা কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
১৯৬৭ থেকে মাওলানা সাঈদী বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এবং বিশ্বের বহু দেশে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের তাফসির করেছেন। তার ওয়াজ শুনে অনেক হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কুরআন, হাদিস এবং ইসলামের ওপর রচনা করেছেন অসংখ্য পুস্তক। পেয়েছেন নানা উপাধি, খ্যাতি ও সম্মান। তার তাফসিরের অডিও-ভিডিও পাওয়া যায় দেশে বিদেশে সর্বত্র। দেশে-বিদেশে তৈরি হয়েছে তার অগণিত ভক্ত অনুরাগী। বিশ্বের বহু দেশ থেকে নামকরা অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তিনি সেসব দেশ সফর করেছেন এবং কুরআনের তাফসির করেছেন।