শৈশব থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ ঐ মেয়েটি ছিল চলাফেরায় অক্ষম। হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার যেয়ারত করতে এসে অলৌকিকভাবে হাটতে শুরু করে সে।
আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : পাকিস্তানি নাগরিক ঐ মেয়েটির নাম ‘সামিরা ওয়ালি মুহাম্মাদ'। সে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের খাইরপুর এলাকার বাসিন্দা। ইমাম হুসাইন (আ.) এর চল্লিশার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কারবালা যেয়ারতের সময় অলৌকিকভাবে নিরাময় লাভ করেছে সে।
শৈশব থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ ঐ মেয়েটি ছিল চলাফেরায় অক্ষম। হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার যেয়ারত করতে এসে অলৌকিকভাবে হাটতে শুরু করে সে।
ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারে উপস্থিত হওয়ার পর হঠাত নিজের হুইল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মাজারের দিকে হাটতে থাকে সামিরা।
ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার পরিচালনা পরিষদের অন্যতম কর্মকর্তা ‘শাইখ হামযা ফাতলাউই' এ বিষয়ে জানিয়েছেন : গতকাল সকাল ১০টার দিকে হঠাত মাজারের আশেপাশ থেকে চিত্কার শুনতে পেয়ে আমরা বুঝতে পারি যে, ইমাম হুসাইন (আ.) এর উসিলায় মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেছেন। মেয়েটি হঠাত নিজের হুইল চেয়ার ছেড়ে মাজারের দিকে হাটতে শুরু করে।
মেয়েটির পিতা জানিয়েছেন, মহান আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান এবং মহান আল্লাহর নিকট হযরত সাইয়্যেদুশ শোহাদা (আ.) এর বিশেষ মর্যাদার প্রতি বিশ্বাসের কারণে তারা মেয়েকে নিয়ে কারবালা যেয়ারত করতে আসেন।
এরপূর্বে বহুবছর যাবত পাকিস্তানের বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়ের চিকিত্সা করানোর পর অবস্থার উন্নতি না হয়ে তারা নিরাশ হন। আর তাই এ বছর সুস্থতা লাভের আশায় সামিরাকে হযরত আমিরুল মু'মিনীন (আ.) এর মাজার ও কারবালা যেয়ারতে আনেন।
মেয়ের সুস্থতা লাভ সম্পর্কে তার পিতা-মাতা বলেন : হযরত আমিরুল মু'মিনীন (আ.) এর যেয়ারতের পর, তার সুস্থতা লাভের আশায় প্রথমে হযরত আবুল ফাজলিল আব্বাস (আ.) এর মাজারে যাই আমরা। এরপর হযরত সাইয়্যেদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারের দিকে রওনা হই। ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারের গম্বুজ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সামিরা। ইমাম (আ.) এর উদ্দেশ্যে সে বলতে থাকে হে আমার মাওলা তোমার কাছে এসেছি, হে বেহেশতের যুবকদের সর্দার তোমার কাছে এসেছি...। আমরা মাজারে প্রবেশ করি। এমন সময় হঠাত সামিরা হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হযরত সাইয়্যেদু শোহাদা (আ.) এর মাজারের দিকে পা ফেলা শুরু করে।#
source : www.abna.ir