বাঙ্গালী
Sunday 24th of November 2024
0
نفر 0

মক্কা ও মদিনা সৌদিদের সম্পত্তি নয় : আয়াতুল্লাহ তেহরানী

আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সৌদি আরবের সাম্প্রতিক ঘটনা, বাইতুল্লাহিল হারামের যায়েরদের (যেয়ারতকারী) অবমাননা, ইরান কর্তৃক ইরানী যায়েরদের অস্থায়ীভাবে ওমরা হজ্জ স্থগিত এবং আলে সৌদি কর্তৃক ইয়েমেনের উপর হামলার বিষয়ে বার্তা সংস্থা আবনার উদ্যোগে ইরানের কোম শহরে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাজমার উচ্চতর পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ ড. মাহদী হাদাভি তেহরানী বক্তব্য রাখেন।
মক্কা ও মদিনা সৌদিদের সম্পত্তি নয় : আয়াতুল্লাহ তেহরানী

আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : সৌদি আরবের সাম্প্রতিক ঘটনা, বাইতুল্লাহিল হারামের যায়েরদের (যেয়ারতকারী) অবমাননা, ইরান কর্তৃক ইরানী যায়েরদের অস্থায়ীভাবে ওমরা হজ্জ স্থগিত এবং আলে সৌদি কর্তৃক ইয়েমেনের উপর হামলার বিষয়ে বার্তা সংস্থা আবনার উদ্যোগে ইরানের কোম শহরে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাজমার উচ্চতর পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ ড. মাহদী হাদাভি তেহরানী বক্তব্য রাখেন।

গত বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে ঘটমান বিষয়াদির প্রেক্ষাপটের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন : ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে, ইরানে ইসলামি বিপ্লব এমন সময় ঘটেছিল যখন পশ্চিমা বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে ইরান ছিল মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের স্বার্থ রক্ষার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু পাশ্চাত্যের জন্য নিরাপদ দ্বীপটি এমন এক তুফানের মুখোমুখি হয়েছিল যা সম্পর্কে কেউই ভবিষ্যদ্বানী করতে পারেনি।

তিনি বলেন : বিপ্লবের বিজয় ও পাশ্চাত্যের আধিপত্ব থেকে ইরানের মুক্তির পর মধ্যপ্রাচ্যের কিছু কিছু দেশের সামনে এ অঞ্চলে পাশ্চাত্যের স্বার্থের রক্ষক হওয়ার সুযোগের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ইসরাইলের মত ইরানের রাজতন্ত্রের সেবা থেকে বঞ্চিত কিছু কিছু দেশ ইরানের স্থলে অন্য কোন দেশকে বসানোর চেষ্টায় ছিল। নতুন এ পরিবেশ দুই দলের মাঝে অদৃশ্য এক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়। কেননা স্বৈরাচারী শাহের পতনের মাধ্যমে যে সুযোগ এবং হুমকির সৃষ্টি হয়েছিল সেটার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে তারা উভয়েই চাইত।

 

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একটি মাযহাব ও জাতির উর্ধ্বে

হাওযা ইলমিয়ার এ শিক্ষক বলেন : প্রকৃত ইসলাম ধর্ম প্রসারের শ্লোগান নিয়ে মাঠে নামে ইরানের ইসলামি বিপ্লব। ইরানের জনগণ এবং ইসলামি বিপ্লবের নেতা শিয়া ও আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারী হলেও ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের স্বার্থ রক্ষার শ্লোগান নিয়ে। এ কারণেই এর বিরোধীরা ইরানের বিপ্লবকে একটি সাম্প্রদায়িক ও শিয়া বিপ্লব হিসেবে উপস্থাপন এবং একে একটি দল, ফের্কাহ ও মাযহাবের মাঝে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

তিনি বলেন : ইরানের ইসলামি বিপ্লব এ বিষয়টিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয় যে, এ বিপ্লবের মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্যাতিত ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা; তাই তারা যদি অন্য আকিদারও হয়ে থাকে।

তার সংযোজন : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অভ্যন্তরে, একদিকে ইরানের সংবিধান এবং তিন দশকের অধিক সময় ধরে বাস্তব অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে এটা প্রমাণ করতে পেরেছিল যে, এ সরকার, বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টিতে অনুকরণীয়। ইসলামি প্রজাতন্ত ইরান বাস্তবেও এ প্রমাণ দিয়েছে যে, এ বিপ্লব একটি আকিদা ও ফের্কাহগত বিষয়ের উর্ধ্বে এবং বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের স্বার্থ রক্ষাকারী।

 

গণজাগরণে ইসলামি বিপ্লবের ভূমিকা

আয়াতুল্লাহ হাদাভি তেহরানীর সংযোজন : ‘তিউনিশিয়া’র কথাই ধরে নেয়া যাক, বাস্তব অর্থে ফ্রান্সের অনুগত একটি ভূখণ্ড ছিল এটি। ছিল ফরাসী ও পাশ্চাত্যের বিনোদন কেন্দ্র এবং ভূখণ্ডটিকে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার কাজে ব্যবহার করতো। ‘যয়নুল আবেদীন বিন আলী’ তিউনিশিয়াতে একটি অসহনীয় ও পুলিশ রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন। এ সরকারের আমলে ইসলাম ধর্মের কোন চিহ্ন ছিল না। হিজাবের প্রচলন প্রায় উঠেই গিয়েছিল। হিজাবধারী নারী বলতে ছিল গ্রামের বৃদ্ধারা।

পাশ্চাত্যের প্রতি তাদের ঝুঁকে পড়াটা ছিল স্পষ্ট এবং ইসলামি চিন্তাধারা প্রকাশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞাও ছিল দেশটিতে। বিন আলীর সময় এবং তিউনিশিয়ায় গণবিপ্লবের পর আমি এদেশ সফর করেছি। বিন আলীর সময় যখন সফর করেছিলাম তখন বিভিন্ন ভাবে আমি জনগণের সাথে সাক্ষাত করে বুঝতে পেরেছি, এদেশের বাহ্যিক খোলসের ভেতরে ইসলামি চিন্তাধারা জাগ্রত রয়েছে। আমি অনুভব করেছিলাম, বিভিন্ন রূপে এ চিন্তা-ভাবনার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। বিপ্লব পরবর্তী সফরে এদেশে আমি ইসলামের প্রতি চরম আকর্ষণকে লক্ষ্য করেছি।

কিন্তু ইসলামি জাগরণের সূচনাকারী তিউনিশিয়া নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও আকিদাগত কর্মকাণ্ডে তত্পর বিভিন্ন সোসাইটি ও গ্রুপের তত্পরতার কারণে –যা মধ্যপ্রাচ্যের কিছু কিছু দেশের অর্থ ও সামরিক সহযোগিতা এবং পাশ্চাত্যের বিভিন্ন গোয়েন্দার সংস্থার সহযোগিতায় অব্যাহত রয়েছে- বিপ্লব নিজের মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যায় এবং উগ্রতাবাদী মুভমেন্টেগুলোর শাখা-প্রশাখা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে দেশটিতে।

 

তাকফিরিদের মাধ্যমে ইসলামি জাগরণকে বিচ্যুত করা হয়েছে

তার সংযোজন : আরবদের অর্থ, পাশ্চাত্যের রাজনীতি এবং ইসরাইলের চক্রান্ত এমন একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি করলো যে, তিউনিশিয়ার মত দেশ –যা ছিল সেক্যুলার, বিপ্লবী ধারা বহির্ভূত এবং যেখানে উগ্রতাবাদের কোন স্থান ছিল না- সিরিয়ায় লোক প্রেরণকারী প্রধান দেশসমূহের সারিতে স্থান করে নিল। যৌন জিহাদেরও উত্সস্থল হল এই তিউনিশিয়া। আর এ বিদআতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছিলেন তিউনিশিয়ারই এক আলেম।

এই চেষ্টা সিরিয়ার ইসলামি জাগরণের শত্রুদেরকে এতটাই অনুপ্রাণিত করেছিল যে, তারা নিশ্চিত ছিল, অল্প দিনের মধ্যে তারা ফলাফলে পৌঁছুতে যাচ্ছে। মানব ইতিহাসে তাকফিরি মুভমেন্টের সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রুপ ‘দায়েশ’ (আইএসআইএল)-এর জন্ম হল সিরিয়াতে। আইএসআইএল সম্পর্কে বিশ্লেষকদের মতামত ছিল এরূপ, ‘এরা হচ্ছে সবচেয়ে অযৌক্তিক, পাগল এবং সংযোগহীন একটি দল’। পরবর্তী ঘটনাসমূহ মূল প্রেক্ষাপটকে উল্টে দেয় এবং আইএসআইএল সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশকে দখল করে নেয়।

মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের ব্যর্থতার বিষয়ে তিনি বলেন : কিন্তু ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নীতি এবং ইরানের ম্যাক্রো নীতির প্রতি সাধারণ জনগণের সমর্থনের কারণে সব সমীকরণই উল্টে যায় এবং শত্রুরা সিরিয়া ও ইরাকে তাদের উদ্দেশ্যে পৌঁছুতে ব্যর্থ হয়। জনগণের প্রতিরোধ ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়ার পতন রোধ হয়। একইভাবে ইরাকেও। বাগদাদের ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছেছিল আইএসআইএল। কিন্তু মারজাগণের নির্দেশনা, জনগণের প্রতিরোধ, ইরাকি কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সহযোগিতার ফলে এ চক্রান্তও ব্যর্থ হয়।

 

আয়াতুল্লাহ হাদাভি তেহরানি এরপর ইয়েমেন সংকটের বিষয়ে বলেন : ইয়েমেনের যায়দি শিয়াদের অন্যতম বৃহত গোত্র হচ্ছে ‘হুসি’ (হুথি)। বহুবার ‘আলী আব্দুল্লাহ সালেহ’ সরকারের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে গোত্রটি। কিন্তু সম্প্রতি এ মুভমেন্ট ‘রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িক মুভমেন্ট’ থেকে একটি ‘জাতীয়-রাজনৈতিক মুভমেন্টে’ রূপান্তরিত হয়েছে। আনসারুল্লাহ মুভমেন্ট, একটি গণমুভমেন্টে পরিবর্তিত হওয়ার পর ক্ষমতা গ্রহণ করেছে।

ইয়েমেনের উপর সৌদি আরবের আগ্রাসনের বিষয়ে তিনি বলেন : আনসারুল্লাহ ক্ষমতায় আসার পর, সৌদি কর্তৃপক্ষের –যারা ইয়েমেনকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করতেন- মনে ভয় দানা বাঁধতে শুরু করে এবং তারা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সামাজিক বিচক্ষণতাকে কাজে লাগানো ছাড়াই দেশটির উপর হামলা করে বসে।

‘বাদশা আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর প্রভাবে সৌদিদের বিচক্ষণহীনতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন : আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর এ আগ্রাসন শুরু হয়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাকফিরি মুভমেন্টসমূহ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। আর তাই তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে সৌদিতে তত্পরত উগ্রতাবাদী তাকফিরীদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করেন। কিন্তু সৌদি শাসকের পরিবর্তনের মাধ্যমে উগ্রতাবাদীদের উপর থেকে সেই সকল সীমাবদ্ধতা উঠে যায় এবং এমন কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হয় যেগুলোর সবটাই ছিল রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সামাজিক বিচক্ষণতা পরিপন্থী। সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী যে, তাকফিরি মুভমেন্ট তাদের স্বার্থসিদ্ধ নয় এবং তাদের পতনের কারণ হবে।

 

মক্কা ও মদিনা সৌদি আরবের সম্পত্তি নয়

জেদ্দার ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং ওহির ভূখণ্ডের যায়েরদের প্রতি অবমাননার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন : মক্কা ও মদিনা, ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে সৌদি আরবের অন্তর্ভুক্ত হলেও মূলতঃ মুসলিম বিশ্বের শহর এবং পবিত্র এ দুই স্থান সকল মুসলমানদের সাথে সম্পৃক্ত। দুঃখজনকভাবে সৌদি সরকার ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক আইন ও অধিকারের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ মাযহাবের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। শুধু শিয়া নয় বরং অন্যান্য মাযহাবের অনুসারীদের জন্যও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করেছে তারা।

মক্কা ও মদিনার যায়েরদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি তারা আগেও করতো। আকিদাগত নিরাপত্তাহীনতা পূর্বের চেয়ে আরো তীব্রতর রূপ লাভ করেছে। আর বর্তমানে জান ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে! জীবন ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সৌদি সরকার প্রমান করেছে যে, তারা হারামাইন শারিফাইনের (মক্কা ও মদিনা) পরিচালনার যোগ্য নয়। যদি সৌদি সরকার যায়েরদের আকিদা, জান এবং সম্ভ্রমের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম না হয় তবে এ ক্ষেত্রে উচিত হল বিভিন্ন ইসলামি দেশের মাধ্যমে অথবা ইসলামি সমন্বয় সংস্থার মাধ্যমে একটি পরিষদ গঠিত করা; যারা হারামাইন শারিফাইনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। যাতে বাইতুল্লাহিল হারামের যায়েরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। আর এ বিষয়টিকে ইমাম খোমেনি (রহ.) উত্থাপন করেছিলেন যে, ‘স্বৈরাচারী আলে সৌদ, পবিত্র এ দুই শহরের পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্য’।

যায়েরদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কর্তৃক ওমরাকে অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণার পদক্ষেপটি ছিল ইতিবাচক। কিন্তু ইসলামি দেশসমূহের সাথে যোগাযোগ পূর্বক এ বিষয় নিয়ে আরো ভাবতে হবে যে, হারামাইন অবশ্যই ইসলামি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি হারামাইন শারিফাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সমাধান বের করতে হবে। পরস্পর সহযোগিতায় হারামাইন পরিচালনার ব্যবহারিক সমাধান প্রদান করবে মুসলিম বিশ্বের আলেমগণ অথবা ইসলামি সমন্বয় সংস্থা।# (চলবে)


source : abna
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

পবিত্র কোরআনের আলোকে কিয়ামত
ইমাম মাহদী (আ.)এর আগমন একটি অকাট্য ...
পিতা মাতার সাথে উত্তম আচরণ
রজব মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ
তাসাউফ : মুসলিম উম্মাহর সেতুবন্ধন
শাবে জুম্মা
সালাতে তারাবী না তাহাজ্জুদ ?
দাওয়াতে দ্বীনের গুরুত্ব ও ...
‘ইমাম হুসাইন (আ.)’র বিপ্লবই ...
ফিলিস্তিনি বালিকা

 
user comment