আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা) : মিয়ানমারে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানের জন্য জরুরি মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী কার্যালয় (ওসিএইচএ) সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মুসলিমবিরোধী সহিংতা শুরুর পর গত তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময়ে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছে । এখনও চার লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দরকার। এর মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছে, যারা দুর্বিষহ অবস্থায় জীবনযাপন করছে। এ ছাড়া অনেকেই বিচ্ছিন্ন বহু গ্রামে বসবাস করছে, যেখানে কোনো ধরনের সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এসব রোহিঙ্গা মুসলমানের কাছে চিকিৎসা ও জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাতে না পারাটা বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, উদ্বাস্তু হওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে ৪০ হাজার লোক সমুদ্র উপকূলের ৫০০ মিটারের মধ্যে জীবনযাপন করছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়া চরম অবস্থায় পৌঁছালে তাদের বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে। মিয়ানমারে প্রায় ১৩ লাখ মুসলমানের বসবাস রয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি স্বীকার করে না।
এসব মুসলমানের জন্য নিজ দেশের ভেতরে চলাচলের কোনো স্বাধীনতা নেই, এমনকি সন্তানাদি গ্রহণের বিষয়েও সরকারি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। চাকরি কিংবা কাজকর্ম তাদের কাছে অনেকটা সোনার হরিণের মতো।#
সূত্র : যুগান্তর, প্রেসটিভি
source : abna