আবনা ডেস্ক : সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত সর্বশেষ আসামি আলী হায়দার ওরফে আলীকেও আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযেগিতায় শেখপাড়া এলাকা থেকে আলীকে আটক করা হয়। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩৪ বছর বয়সী আলী এ ঘটনায় এর আগে গ্রেপ্তার মুহিত আলম ও কামরুল ইসলামের ভাই।
গত ৮ জুলাই জালালাবাদের কুমারগাঁওয়ের ১৩ বছর বয়সী রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিষয়টি সংবাদ শিরোনাম হয়।
হত্যার পর তার লাশ নিয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মুহিতকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল। তার ভাই কামরুল সৌদি আরবে চলে গেলেও সেখানে প্রবাসীদের সহযোগীতায় তাকে ধরা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকেও (৪৫) আসামি করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে ময়নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার রাতে একইভাবে ধরা পড়েন নির্যাতনের সহযোগী নুর মিয়া (২০), যিনি সেদিন রাজনকে পেটানোর দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম, শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছসহ আরও কয়েকজনকে এ ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।
source : abna