২৪ আগস্ট (রেডিও তেহরান): একজন কুর্দি ইজাদি শরণার্থী জানিয়েছেন, তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল একদল শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের গোশত রান্না করার পর তা তাদেরকে মায়েদের খাইয়েছে।
সিনজার অঞ্চলের ‘বিজি সিদু কাসেম’ নামের একজন ইজাদি বৃদ্ধা শরণার্থী আইএসআইএল-এর সন্ত্রাসীদের হাতে বন্দী হওয়ার পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়ে এই লোমহর্ষক নৃশংস ঘটনার কথা জানান।
তিনি বলেছেন, আমাদেরকে গোশতযুক্ত খাবার খেতে দেয়া হয়। তিনি জানান যে অসুস্থতার কারণে তিনি গোশত খেতে পারবেন না। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা অন্য মহিলারা ওইসব খাবার খেয়েছেন।
‘বিজি সিদু কাসেম’ বলেছেন, ওই মহিলারা আইএসআইএল-এর দেয়া ওই খাবার খাওয়ার পর নিজ শিশু সন্তানদের দেখতে চান এবং সন্তানদেরকে তাদের কাছে পাঠাতে অনুরোধ করেন যাতে তাদেরকে পাশে রেখে খাওয়াতে পারেন; কিন্তু সন্ত্রাসী আইএসআইএল-এর কর্মীরা তাদের জানান, তোমরা এতক্ষণ তাদেরকেই খেয়েছ!
ওই ইজাদি বৃদ্ধা আরও জানান, আইএসআইএল-এর একজন কর্মী তার মোবাইলে ওই শিশুদের জবাই করার ও তাদেরকে টুকরো টুকরো করে রান্না করার দৃশ্য ওই নারীদের দেখান। এমটিভি’র (টেলিভিশন) একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন, হাস্কা প্রদেশের নওরোজ শরণার্থী শিবিরের ইজাদি শরণার্থীরা আইএসআইএল-এর নানা ধরনের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী এবং এই ঘটনা ছিল সেসবের অন্যতম। আইএসআইএল-এর হাতে কোনো কোনো ইজাদি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী রয়েছে।
আইএসআইএল ইজাদি সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বহু পুরুষকে হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণ করেছে। বহু ইজাদি নারী ও শিশুকে বন্দী করার পর তাদের বিক্রিও করেছে বা যৌন-দাসী করেছে। অনেক ইজাদি নারী ও শিশুকে তারা প্রকাশ্যে বাজারে নিয়ে যৌন দাসী হিসেবে বিক্রি করেছে বলে বিভিন্ন সময় খবর এসেছে।#
source : irib.ir