আবনা ডেস্ক : লেবাননের খ্যাতনামা শিয়া আলেম ইমাম মুসা সাদ’রকে লিবিয়ার সাবেক স্বৈরাচারী মোয়াম্মার গাদ্দাফির আদেশ অপহরণ এবং হত্যা করা হয়েছিল। ৩৭ বছর আগে ইমাম মুসা সাদ’রকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইতালির অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক ‘কোরিয়ার দেল্লে সিয়েরা।’
১৯৭৮ সালে সরকারি আমন্ত্রণে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি সফরের সময়ে মুসা সাদ’র এবং তার দুই সঙ্গীকে অপহরণ করা হয়। গাদ্দাফি সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য লিবিয়া সফরে গিয়েছিলেন ইমাম মূসা সাদ’র।
ইরানি বংশোদ্ভুদ লেবাননী শিয়া আলেম ইমাম মুসা সাদ’র এবং তার দুই সঙ্গীকে হত্যা করেছে ফিলিস্তিনি ফাত্তাহ আন্দোলনের বিপ্লবী পরিষদের সাবেক প্রধান আবু নিদাল। ইতালীয় দৈনিকটির খবরের বরাত দিয়ে দ্যা আল-খবর প্রেস’এর ওয়েসসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। অবশ্য এ হত্যাকাণ্ডের কোনো তারিখ খবরে উল্লেখ করা হয় নি।
এ খবরে বলা হয়, ইমাম মুসা সাদ’র এবং তার দুই সঙ্গীকে লিবিয়ার জনমানবহীন একটি এলাকায় নিয়ে যায় আবু নিদাল। ত্রিপোলি থেকে এক ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে এ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাদেরকে সেখানে গুলি করে হত্যা করে আবু নিদাল। গাদ্দাফি বিরোধীদেরও এ স্থানে একই ভাবে হত্যা করেছে ঘাতক নিদাল।
হত্যার পর ইমাম মুসা সাদ’র এবং তার দুই সঙ্গীকে ওই এলাকাই কবর দেয়া হয়। কবর দেয়ার সব চিহ্ন মুছে ফেলে এ ঘাতক। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পর রোমের সহযোগিতায় লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা সাদ’র ও তার দুই সঙ্গীর পাসপোর্টে এক্সিট এবং এন্ট্রি সিল দেয়া হয়। তারা লিবিয়া ছেড়ে ইতালিতে চলে গেছেন এটা প্রমাণের জন্যে এ কাজ করা হয়।
ইতালির দৈনিকটি বলেছে, ইমাম মুসা সাদ’র ও তার দুই সঙ্গীকে গাদ্দাফির আদেশেই হত্যা করেছে নিদাল।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের আগস্টে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে গুলিতে নিহত হয় ঘাতক আবু নিদাল। কোনো কোনো সূত্র দাবি করছে, গুলিতে নিহত হয়েছে; আর কোনো কোনো সূত্র মনে করে, আত্মহত্যা করেছে নিদাল।#
source : abna