আবনা ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরাণপুরে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দকে ‘সন্ত্রাসীদের কারখানা’ বলে অভিহিত করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দেয়া মুসলিমদের জন্য জায়েজ নয় বলে গত বৃহস্পতিবার দেওবন্দের পক্ষ থেকে ফতোয়া দেয়ার পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা সুরেন্দ্র জৈন এই দাবি জানান।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন দেওবন্দকে সন্ত্রাসীদের কারখানা বলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করতে উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি হিন্দুত্ববাদী ওই নেতা। তার দাবি, যেসব আলেম এ সংক্রান্ত ফতোয়া দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করতে হবে। দেশকে শেষ করার জন্য দেওবন্দের পক্ষ থেকে বিষাক্ত বীজ বপন করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন সুরেন্দ্র জৈন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতার দাবি, ‘দেওবন্দের পক্ষ থেকে ‘বন্দেমাতরম’ গানেরও বিরোধিতা করা হয়েছে। তিনি দেশের সেক্যুলার দলকে মাফিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘তথাকথিত সেক্যুলার মাফিয়া’দের নিজের চোখ খোলা উচিত এবং তারা যদি দেশকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে তাহলে এ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দেশজুড়ে ৮ এপ্রিল রাম মহোৎসব পালন করবে এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দেওবন্দের ফতোয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে সুরেন্দ্র জৈন জানান।
আগেই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি, শিবসেনা এবং অন্যদের পক্ষ থেকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান প্রসঙ্গে তাদের মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। এসব সংগঠনের কোনো কোনো নেতাদের দাবি, ভারতে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতে হবে। কারো দাবি, যারা এই স্লোগান দেবে না তাদের নাগরিকত্ব এবং এমনকি ভোটধিকার কেড়ে নিতে হবে। এবার একই ইস্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দকে টার্গেট করে বিবৃতি দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা সুরেন্দ্র জৈন।
গত বৃহস্পতিবার দেওবন্দের পক্ষ থেকে এক ফতোয়ায় বলা হয়েছে, মুসলিমরা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করে। আল্লাহ্ ছাড়া তারা অন্য কাউকে উপাসনা করতে পারে না। ওই স্লোগানের সারাংশ আপাতদৃষ্টিতে উপাসনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তা শিরক। এজন্য ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দেয়া মুসলিমদের জন্য বৈধ নয়।#
source : abna24