বাঙ্গালী
Sunday 1st of September 2024
0
نفر 0

যৌন জিহাদ’ থেকে গর্ভবতী হয়ে ফিরছে তিউনিশিয়ার মেয়েরা

বার্তা সংস্থা আবনা : সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ‘যৌন জিহাদ’ এখন বেশ আলোচিত বিষয়। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ শাসনের পতনের জন্য যে বিদ্রোহীরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তাদের বলা হচ্ছে মুজাহিদিন অর্থাৎ ধর্ম রক্ষায় যোদ্ধা। আর যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙ্গা রাখতে যে নারীরা সাময়িকভাবে স্ত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে তাদের বলা হচ্ছে ‘যৌন জিহাদি।

আর ইসলাম রক্ষার্থে যুদ্ধে লিপ্ত বিদ্রোহীদের যৌনসঙ্গ প্রদানের এ ঘটনাকে বলা হচ্ছে যৌন জিহাদ। ইসলাম ধর্মের মৌলিক গ্রন্থ বা হাদিস থেকে ‘যৌন জিহাদ’ ধারণাটি আসেনি। এসেছে ফতোয়া থেকে। এ ফতোয়ার গুণে সিরীয় বিদ্রোহীদের ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও যৌন ক্ষুধা মেটানোর সব ধরনের প্রচেষ্টা পেয়েছে বৈধতা। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে ‘যৌন দামামা’ আদৌও কি গ্রহণযোগ্য- এমন প্রশ্নের মুখোমুখি মানবাধিকার কর্মী ও ফতোয়াবাজরা। সিরিয়ার বিদ্রোহী শিবিরে যৌন জিহাদিরা আসছে স্বপ্রণোদিত হয়ে। তারা নাকি যুদ্ধ জয়ের প্রেরণা দিচ্ছে। কয়েকদিন অথবা মাসখানেক কিংবা এক ঘণ্টা থেকেই তারা ফিরে যাচ্ছে আপন ঠিকানায়। একি জিহাদ নাকি পতিতাবৃত্তি- তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। সৌদি আরবই এ যৌন জিহাদের ইন্ধনদাতা বলে দাবি উঠেছে। সে যাই হোক, সিরিয়া যুদ্ধের আড়ালে ‘যৌন জিহাদ’ নামে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তার উত্পত্তি, গতিবিধি, প্রভাব ও পরিণতি কিছু বাস্তব ঘটনার মাধ্যমে তুলে ধরা হল।

সিরিয়ায় যৌন জিহাদের উত্পত্তি : ইসলামী শাসন কায়েমে যারা যুদ্ধ করছে তাদের জন্য নারীরা সাময়িকভাবে নিজেদের উত্সর্গ করবে যেন যোদ্ধারা নতুন উদ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। যুদ্ধের ময়দানে নারীদের এ ভূমিকা জিহাদ হিসেবে গণ্য হয় এবং কাজের ফল হিসেবে ওই নারীরা জান্নাতে যাবে। এমন ব্যাখ্যা ও নির্দেশনা দিয়ে কিছু সুন্নি ধর্মীয় নেতা ফতোয়া জারি করেছেন। এরা ওহাবিপন্থী ধর্মীয় বোদ্ধা। সিরিয়া গৃহযুদ্ধের আড়াই বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার এমন ফতোয়া জারি করা হয়েছে। সিরিয়া গৃহযুদ্ধের খবরাখবরের সঙ্গে যৌন জিহাদ নিয়েও কিছু প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সিরিয়ার বাশারবিরোধী যোদ্ধাদের জন্য ‘পবিত্র যৌন জিহাদে’ যোগ দেয়ার জন্য নারীদের প্রতি প্রথম আহ্বান রাখেন সৌদি আরবের ওহাবিপন্থী ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আবদুল রাহমান আল আরিফি। ‘জিহাদ আল নিকা’ অর্থাৎ ‘যুদ্ধকালীন স্বল্পমেয়াদি বিবাহ’ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে লড়াইরতদের সেবা করা জিহাদের শামিল- এমন ফতোয়া দেন আল আরিফি। এভাবে যুদ্ধে শামিল হয়ে নারীরা জান্নাতের দিকে ধাবিত হতে পারে। ওহাবিপন্থী অন্য ধর্মীয় নেতাদের মতে, বাশার আল আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুজাহিদিনের যৌন চাহিদা মেটানোর বদৌলতে নারীরা জিহাদের অংশীদার হতে পারে। সিরিয়া, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে আরিফি এ নিয়ে কোনো কথা না বললেও তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, তিনি এ ধরনের ফতোয়া জারি করেননি। আরেকজন ওহাবি ধর্মবিশারদ মুফতি নাসের বিন সুলাইমান আল ওমর তার এক ফতোয়ায় বলেছেন, বাশারবিরোধীরা তাদের নিকট আÍীয় এমনকি ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে এমন নারী আÍীয়ের সঙ্গেও যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতে পারবে। যেমন, বোন, ফুফু,

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

আমাকে এ নারীর হাত হতে মুক্তি দাও!: ...
ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রত্যাশা’ ...
বাস্তবতার দর্পনে ওহাবি মতবাদ (১১ - ...
চাকরিতে বাধা হিজাব ; নিরাপত্তা ...
ইরান মুসলিম জাতিগুলোর জন্য আদর্শ ...
সূরা আ'রাফ;(২৬তম পর্ব)
ভারতে যে দাঙ্গা মুসলিম নারীদের ...
সুফীবাদ প্রসঙ্গে
মিয়ানমারে ইমাম হুসাইন (আ.) এর ...
পোপ ও ইয়েমেনের মানুষ হত্যাকারীরা

 
user comment