আবনা ডেস্ক : ইইউ ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের গণভোটে তোলপাড় হয়েছে ব্যাপক, কিন্তু সেই সাথে দেশটির ভিন্ন একটি রূপ বেরিয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের উদারপন্থীরা অভিযোগ করে বলেছে, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সাথে বহু পুরাতন বর্ণবিদ্বেষ চাঙ্গা হয়েছে নতুন করে। ব্রেক্সিট গণভোট হয়তো বা ছিল অভিবাসন বিরোধী ভোট।
বার্মিংহামের বাসিন্দা হেভেন ক্রলি লিখেছেন- ‘সকালে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে দেখেছে কতগুলো তরুণ একটি মুসলিম মেয়েকে লক্ষ্য করে চিৎকার করছে- বেরিয়ে যাও, আমরা তোমাদের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছি।’
জিম ওয়াটারসন নামে একজন লিখেছেন, ‘আমার মা একটি প্রাইমারি স্কুলে কাজ করেন। একজন লাতভিয়ান মহিলা তার বাচ্চাকে দিতে এসে চোখে পানি নিয়ে বলেন – তারা আমাদের এদেশে চায়না।’
ওয়েলসের কারফিলি শহরে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা সাজিয়া আওয়ান লিখেছেন, শুক্রবার তার টুইটারে একজন তাকে ব্যাগ-বাক্স গুটিয়ে চলে যেতে লিখেছেন। মিস আওয়ান লিখেছেন, ‘এ দেশের জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে কারণ বিপজ্জনক একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে...(গণভোটের) ফলাফলে বর্ণবাদী ঘৃণা স্বীকৃতি পেয়েছে।’
এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন। সংগঠনের প্রধান ড. সুজা শফি বলেছেন রাজনৈতিক সঙ্কট সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলছে। এছাড়া লন্ডনে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জাতিগত বিদ্বেষের ঘটনাগুলোকে নিন্দা করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রেক্সিটের পর স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে স্বাধীন হতে চাইছে, এমনকি লন্ডন পর্যন্ত চাইছে স্বাধীন রাষ্ট্র হতে। গণভোটের ফলাফলের পর অনেক মানুষ বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক অপরাধের শিকার হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে সেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। ফেসবুক ও টু্ইটারের পোস্টগুলোতে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অস্থিতিশীল এবং অন্ধকার দিকের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে।
শুধু মুসলিমরা নয় বরং ইউরোপের বাসিন্দারাও যুক্তরাজ্যে ঘৃণা ও আক্রোশের শিকার হচ্ছেন। যেমন, ইংল্যান্ডের হানটিংডন শহরে পোলিশদের উদ্দেশ্য করে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। পোলিশদেরকে পোলিশ ইঁদুর সম্বোধন করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। লন্ডনে পোলিশদের একটি সংস্কৃতি কেন্দ্রে ভাঙচুরের একটি ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
source : abna24