আবনা ডেস্ক: ইয়েমেনে সংকট অবসানে চলমান আলোচনায় হুথি আন্দোলনের পক্ষ থেকে কঠিন ছাড় দেয়া সত্ত্বেও সৌদি মদদপুষ্ট পক্ষ এ ব্যাপারে কোনো রকম আপোস করতে অস্বীকার করায় শান্তি পক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) হুথি আন্দোলনের প্রধান আব্দুল মালেক হুথি এক বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হুথি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় যেসব ছাড় দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। তবে বিপরীত পক্ষ এখন আগের অবস্থায় ফিরে গেছে এবং তারা ইয়েমেনি জাতিকে নতি স্বীকারের দাবি জানাচ্ছে। ইয়েমেনে সংকট অবসানের লক্ষ্যে দুই পক্ষ কুয়েতে শান্তি আলোচনায় মিলিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সংকট অবসানের লক্ষ্যে অনেক বাস্তবসম্মত সমাধান রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু প্রস্তাব করেছি। যদি বিপরীত পক্ষ এই সংকটের অবসান চাই তবে আমরাও তাদেরকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। যদি তারা আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, আমরাও পাল্টা হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’
মালেক হুথি বলেন, প্রতিরোধকামী নীতি হুথি আন্দোলনের কোনো 'রাজনৈতিক কৌশল' নয়। তবে এটি ইয়েমেনিদের মূলবোধ এবং সভ্যতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, তোমাদের অব্যাহত অপরাধ এবং আগ্রাসন আমাদেরকে কখনোই প্রতিরোধ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। হুথি নেতা সৌদি আরব এবং তার মিত্রদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে আরো বলেন, 'আল্লাহর কসম, তোমাদের যতই মার্কিন মদদ থাকুক না কেন আমাদের ওপর তোমরা যে কষ্ট এবং দুর্ভোগ চাপিয়ে দিয়েছে একসময় তোমাদের ওপরই তা ফিরে আসবে এবং তোমরা পরাজিত হবে।'
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কোনো আরব রাষ্ট্রের সম্পর্কের সমালোচনা করে হুথি বলেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নীতিকে তারা বেছে নিয়েছে।
গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের ওপর হামলা শুরু করে। সৌদি সরকার তার পছন্দের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুরাব্বু হাদিকে ইয়েমেনি জাতির ওপর শাসক হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইলেও দেশটির বেশির ভাগ দল ও বিপ্লবী সরকার তা মেনে নিতে অস্বীকার করে আসছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় কয়েক হাজার নারী ও শিশুসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার বেসামরিক ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক গুণ।#
source : abna24