আবনা ডেস্ক: আবারও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে (৫০)। এ নিয়ে তিনি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার লাখো, কোটি ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা হ্যাসট্যাগ খুলেছে #ঝযধযজঁশযকযধহ। এতে উগড়ে দিচ্ছে ক্ষোভ। এ কথা জানতে পেরে টুইটে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। শাহরুখ খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, আপনি মার্কিনি সহ কোটি কোটি মানুষের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য কাজ করেন। ওদিকে একই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। তবে শাহরুখ খানকে আটক করার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে কিনা সে খবরটি দেয়া হয় নি তাতে। বলা হয় নি কোন বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন অভিবাসন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খানকে তৃতীয়বারের মতো আটক করেছে। এর ফলে বর্ণবৈষম্যমুলক আচরণের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভারতীয় এই সুপারস্টার ও টিভি ব্যক্তিত্ব টুইটারে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমি বিশ্বের সব স্থানের নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝি এবং তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আমাকে আটক করবে এটা বাস্তবেই নিন্দনীয়। শাহরুখ খান এই টুইট করার পর তা ৭ হাজারেরও বেশিবার রি-টুইট করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় শুক্রবার সকাল নাগাদ তা লাইক দিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি মানুষ। উল্লেখ্য, এশিয়ার মানুষের মধ্যে শাহরুখ খানে ভক্তের সংখ্যা অগনিত। বিশেষ করে প্রবাসী ভারতীদের কথা তো বলাই বাহুল্য।
সিএনএন আরও লিখেছে, এর আগে ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনস এয়ারপোর্টে তাকে দুই ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি সেবার ভারত থেকে সেখানে পৌঁছেছিলেন। ২০০৯ সালে তাকে নিউজার্সির নিওয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা থামিয়ে দিয়েছিলেন। নো-ফ্লাই লিস্টে তার নাম উঠে আসার জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নিয়মিত প্রক্রিয়ার অধীনে। ওই সময় তাকে আটকের খবর ভারত সরকারেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তখনকার বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা এ বিষয়টি মার্কিন সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরবো। কোন ভারতীয়ের সঙ্গে তার ধর্ম বা জাতীয়তার কারণে এমনটা ঘটা উচিত নয়। আমরা এটা মানবো না।
source : abna24