প্রতি বছরের মতো এ বছর ও আশূরার আগমন ঘটে এবং সরকারী ছুটি, রাষ্ট্রীয় ও দলীয় নেতাদের বাণী, সংবাদপত্রে বিশেষ রচনা বা পাতা প্রকাশ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ আলোচনা, বিভিন্ন সংগঠনের সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং শিয়া মাযহাবের অনুসারীদের শোকানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালিত হয়। গতানুগতিকভাবে সংবাদ-শিরোনামে ‘যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র আশূরা পালিত’ বলার জন্য অনেকের কাছেই এটা যথেষ্ট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলেই কি বর্তমানে আমাদের দেশে ও সমাজে যেভাবে আশূরা পালিত হচ্ছে সে জন্য ‘যথাযথ মর্যাদায়’ কথাটি প্রযোজ্য?
এটা অনস্বীকার্য যে, আশূরা দিবসের মূল উপলক্ষ্য হচ্ছে কারবালায় সঙ্গীসাথী সহ হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ)-এর মর্মান্তিক শাহাদাত। কিন্তু আমাদের সমাজে আশূরা পালনে ধীরে ধীরে কারবালার ঘটনার গুরুত্ব ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এখনো হ্রাস পাচ্ছে। এখন থেকে অর্ধ শতাব্দীকাল পূর্বেও অত্র ভূখণ্ডে, শুধু আশূরার দিনে নয়, সারা বছরই কারবালার ঘটনার যে গুরুত্ব ছিলো তা ইতিমধ্যেই হারিয়ে গিয়েছে।
এতদ্দেশে অতীতে কারবালার ঘটনার যে গুরুত্ব ও প্রভাব ছিলো তা নিয়ে আলোচনার জন্য স্বতন্ত্র অবকাশের প্রয়োজন; এখানে কেবল এতটুকু উল্লেখ করাই যথেষ্ট যে, তখন শুধু আশূরার দিনে নয়, গোটা মহররম মাসে বিয়েশাদী হতো না (কিন্তু এখন হচ্ছে) এবং কারবালার ঘটনাবলী সম্পর্কিত পুঁথি পাঠের আসর, বিষাদ সিন্ধু পাঠের আসর, জারী গানের আসর ও যাত্রাভিনয় (‘ইমাম যাত্রা’ ও ‘যয়নাল উদ্ধার’) বর্ষা মওসূম ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ও শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সর্বত্র অনুষ্ঠিত হতো - যাতে উপস্থিতি হতো ব্যাপক। কিন্তু পাশ্চাত্য সহ বিভিন্ন বিজাতীয় সংস্কৃতির এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে কোনো কোনো ভ্রান্ত চিন্তাধারার ব্যাপক বিস্তারের ফলে বাংলাভাষী মুসলিম জনগণের মধ্য থেকে উপরোক্ত অনুষ্ঠানাদি ও সে সব যে চেতনার বাহক ছিলো তার প্রায় বিলুপ্তি ঘটেছে।
কারবালার চেতনার প্রায় বিলুপ্তির জন্য ওপরে যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে কেবল সে সবের স্বয়ংক্রিয় প্রভাবই এ চেতনাকে প্রায় বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেয় নি, বরং এ জন্য পরিকল্পিত অপচেষ্টাও চালানো হয়েছে - যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ অপচেষ্টারই অন্যতম বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এ মর্মে প্রচার চালানো যে, আশূরার দিন কেবল কারবালার ঘটনার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এ দিনে আরো বহু ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যদিও এটা অনস্বীকার্য যে, মানব জাতির হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর ফিরিস্তি তৈরী করা হলে দেখা যেতো যে, বছরের তিনশ’ পয়ষট্টি দিনের প্রতিটি দিনেই সুখ-দুঃখের বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছিলো, কিন্তু সেই সাথে আরো দু’টি সত্য অনস্বীকার্য, তা হচ্ছে, প্রথমতঃ অকাট্যভাবে প্রমাণিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর মধ্যে কারবালার ঘটনার তুলনায় অন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই গুরুত্বহীন বলে প্রতিভাত হয়, দ্বিতীয়তঃ এ দিনে ধর্মীয় দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আরো যে সব ঘটনার উল্লেখ করা হয় সে সব ঘটনা যে এ দিনেই সংঘটিত হয়েছিলো তা কোনো অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়।
এখানে অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, অকাট্য ঐতিহাসিক দলীল দ্বারা প্রমাণিত ঘটনাবলীর বাইরে ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ঘটনা সম্পর্কে কেবল দু’টি সূত্র থেকে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তা হচ্ছে কোরআন মজীদ ও মুতাওয়াতির্ হাদীছ (ছ্বাহাবীগণ সহ বর্ণনার প্রতিটি স্তরে এমন বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক বর্ণিত যা মিথ্যা হওয়া মানবিক বিচারবুদ্ধির দৃষ্টিতে অসম্ভব)। এর বাইরে স্বলপসংখ্যক সূত্রে বর্ণিত, বিশেষ করে হযরত রাসূলে আকরাম (ছ্বাঃ) থেকে শুনেছেন বলে স্বল্পসংখ্যক ছ্বাহাবীর নামে বর্ণিত হাদীছ - যাকে ইসলামী পরিভাষায় ‘খবরে ওয়াহেদ’ বলা হয় - থেকে অকাট্য জ্ঞান অর্জিত হয় না।
আমাদের এ কথার উদ্দেশ্য এ নয় যে, স্বল্পসংখ্যক ছ্বাহাবীর কথা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং পরবর্তী কোনো স্তরে এসে ছ্বাহাবীদের নামে তা রচিত হয়ে থাকতে পারে। কারণ, ইসলামের ইতিহাসে হাজার হাজার মিথ্যা হাদীছ রচিত হওয়ার কথা সকলেই স্বীকার করেন।
এমতাবস্থায় হযরত রাসূলে আকরাম (ছ্বাঃ)-এর ইন্তেকালের অন্ততঃ দু’শ’ বছর পরে সংকলিত হাদীছ-গ্রন্থ সমূহে স্থানপ্রাপ্ত খবরে ওয়াহেদ্ হাদীছ সমূহকে চোখ বুঁজে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, হাদীছ-সংকলকগণ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিচার-বিশ্লেষণ করা সত্ত্বেও কমপক্ষে দীর্ঘ দুই শতাব্দী কালের প্রতিটি স্তরের প্রতিটি বর্ণনাকারী সম্বন্ধে ও তাঁদের প্রতিটি বর্ণনা সম্বন্ধে শতকরা একশ’ ভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
অবশ্য এতদসত্ত্বেও চারটি অকাট্য মানদণ্ড অর্থাৎ বিচারবুদ্ধি (‘আক্বল্), কোরআন মজীদ, মুতাওয়াতির্ হাদীছ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মতৈক্য (‘ইজমা‘এ উম্মাহ্)-এর সাথে সাংঘর্ষিক না হওয়ার শর্তে ফিক্বাহর ক্ষেত্রে গৌণ ও প্রায়োগিক বিষয়াদিতে খবরে ওয়াহেদ্ হাদীছ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনাবলী প্রসঙ্গে খবরে ওয়াহেদ্ বর্ণনা গ্রহণের কোনোই উপযোগিতা নেই।
কোরআন মজীদে অতীতের বিভিন্ন শিক্ষণীয় ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু মহাপ্রজ্ঞাময় আল্লাহ্ তা‘আলা সে সবের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ করেন নি।
বস্তুতঃ শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের ক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য এ সবের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানা একদিকে যেমন অপরিহার্য ছিলো না, অন্যদিকে জানাতে গেলে তাতে জটিলতার সৃষ্টি হতো। কারণ, চান্দ্র্য মাসগুলো বর্তমানে যেভাবে গণনা করা হয় জাহেলিয়্যাতের যুগে মাসগুলোর নাম প্রায় অভিন্ন থাকলেও তার গণনা পদ্ধতি অভিন্ন ছিলো না; চান্দ্র্য বর্ষ সৌর বর্ষের তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে যায় বলে তৎকালে চান্দ্র্যবর্ষ গণনাকে সৌর বর্ষ গণনার সাথে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে পর পর কয়েক বছর বারো চান্দ্র্য মাসে বছর গণনার পর একটি বছর তেরো মাসে গণনা করা হতো।
এমতাবস্থায় ইসলামী চান্দ্র্য বর্ষের দিন-তারিখের সাথে খাপ খাইয়ে অতীতের ঘটনাবলীর দিন-তারিখ উল্লেখ করা হলে জটিল প্রশ্নের অবতারণা হতো। এ ধরনের অনপরিহার্য বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই আল্লাহ্ তা‘আলার পসন্দনীয় যার প্রমাণ কোরআন মজীদে আছ্বহাবে কাহ্ফ্-এর সদস্যসংখ্যার ব্যাপারে বিভিন্ন মত উল্লেখ সত্ত্বেও আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁদের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেন নি।
কারবালার ঘটনার পূর্বে যে সব ঘটনা আশূরার দিনে সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় তা ঐ দিনেও হয়ে থাকতে পারে, অন্য বিভিন্ন তারিখেও সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সর্বপ্রথম যে ঘটনাটি আশূরার দিনে ঘটেছিলো বলে দাবী করা হয় তা যে ভিত্তিহীন তা বলাই বাহুল্য। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্ তা‘আলা এ দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, চান্দ্র্য মাস গণনার ভিত্তি যেখানে পৃথিবীর চারদিকে চন্দ্রের আবর্তন এবং স্বীয় অক্ষের চারদিকে পৃথিবীর আবর্তন থেকে উদ্ভূত চন্দ্রকলা সেখানে পৃথিবী সৃষ্টির আগে চান্দ্র্য মাস গণনা ও তার ভিত্তিতে পৃথিবীর সৃষ্টি দশই মহররম বলে নির্ধারণের ভিত্তি কী?
যা-ই হোক, এতদসত্ত্বেও অতীত ইতিহাসের অন্য যে সব ঘটনাকে আশূরার দিনের সাথে সম্পৃক্ত করা হয় সেগুলো যদি ইসলামের দৃষ্টিতে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে অবশ্যই তা অকাট্য সূত্রে (কোরআন মজীদে ও মুতাওয়াতির্ হাদীছে) বর্ণিত হতো। তা যখন হয় নি তখন খবরে ওয়াহেদ্ হাদীছের ভিত্তিতে এ সব ঘটনা ঐ দিনেই সংঘটিত হয়েছিলো বলে ধরে নেয়া ও তার ওপরে গুরুত্ব আরোপ করার যৌক্তিকতা নেই, বিশেষ করে মিথ্যা হাদীছ রচনাকারীদের স্বর্ণযুগ উমাইয়াহ্ শাসনামলে কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনার গুরুত্ব হাল্কা করার লক্ষ্যে এ সব হাদীছ রচিত হয়ে থাকার সম্ভাবনাকে যখন উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এর পরেও যারা মনে করেন যে, ঐ সব ঘটনা আশূরার দিনেই সংঘটিত হয়েছিলো তাঁরা তা ধরে নিন, কিন্তু এ ধরে নেয়ার ভিত্তিতে যদি জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে কারবালার চেতনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তো সে সম্পর্কে মন্তব্য করার ভাষা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
সজ্ঞানে বা অজ্ঞতাবশতঃ ‘কারবালার চেতনাকে হত্যার চেষ্টা’ যে করা হচ্ছে তার এক গুরুতর দৃষ্টান্ত, এবারের (হিঃ ১৪৩৪) আশূরা উপলক্ষ্যে একটি দৈনিক পত্রিকায় (২৫শে নভেম্বর ২০১২ সংখ্যায়) প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘আজ পবিত্র আশূরা : শুধু শোকের নয় বরকতময় আনন্দেরও’ (??!!)।
উল্লিখিত সম্পাদকীয় নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে:
“প্রকৃত পক্ষে পৃথিবী সৃষ্টির পর হজরত আদম (আ.)-কে ও মা হাওয়া (আ.)-কে সহ পৃথিবীতে পাঠানোর মতো আরও অনেক কল্যাণকর ও দিকনির্ধারণী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মহররমকে বরং অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ এবং বরকতময় দিন হিসেবে উদযাপন করা উচিত। মুসলমানদের উচিত আনন্দ-উৎসব করা এবং আল্লাহতালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো।” (???!!!) [উদ্ধৃতিতে পত্রিকাটির ব্যবহৃত বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।]
কোরআন মজীদে যে আহলে বাইতের পবিত্রতার কথা বলা হয়েছে অকাট্য ও সর্বসম্মত মত (ইজমা‘এ উম্মাহ্) অনুযায়ী সে আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) - যাকে ‘বেহেশতে যুবকদের নেতা’ বলে উল্লেখ ব্যতীত জুমু‘আহ্ ও ঈদের খোত্ববাহ্ ছ্বহীহ্ হয় না (আর খোত্ববাহ্ ছ্বহীহ্ না হলে সংশ্লিষ্ট নামাযও ছ্বহীহ্ হয় না) এবং যে আহলে বাইতের (আালে মুহাম্মাদের) প্রতি দরূদ বর্ষণ ব্যতীত নামায ছ্বহীহ্ হয় না। অতএব, হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) শিয়া-সুন্নী বিতর্কের উর্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রিয় এবং তাঁর শাহাদাতের দিন বিশ্বের পৌনে দু’শ’ কোটি মুসলমানের জন্য মর্মবিদারী শোকের দিন। তাই অকাট্য প্রমাণ ব্যতীত এ দিনের সাথে সম্পৃক্তকৃত আনন্দের ও বরকতের ঘটনাবলী তো দূরের কথা, অকাট্যভাবে প্রমাণিত আনন্দের ঘটনাবলীও এ দিনটিকে আনন্দের দিনে পরিণত করতে পারে না। (কারণ, উদাহরণ স্বরূপ, ২১শে ফেব্রুয়ারী অবিতর্কিতভাবেই আমাদের জাতীয় জীবনের শোকাবহ দিন। নিঃসন্দেহে ইতিহাসে অনুসন্ধান করলে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনো দৃষ্টিতে এ দিনে বহু আনন্দের ঘটনা পাওয়া যাবে। কেউ যদি এগুলো খুঁজে বের করে এবং এমনকি সে সব তথ্য যদি অকাট্য ডকুমেন্ট ভিত্তিকও হয়, তো সে ক্ষেত্রে আমরা কি এ দিনটিকে আনন্দের দিন হিসেবে উদযাপন করতে প্রস্তুত হবো? নিঃসন্দেহে হবো না। তাহলে কী করে হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ)-এর শাহাদাত দিবসকে আনন্দ-উৎসবের দিবস হিসেবে উদযাপন করার চিন্তা কোনো মুসলমানের মাথায় আসতে পারে?)
উপরোক্ত সম্পাদকীয় নিবন্ধে যে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে তা যদি সজ্ঞানে করা হয়ে থাকে তো বলবো যে, এর দ্বারা বিশ্বের পৌনে দু’শ’ কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত হেনে তাদের হৃদয়ে নিরাময়ের অতীত ক্ষত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং যদি অজ্ঞতাবশতঃ করা হয়ে থাকে তাহলে বলবো, ইসলাম সম্পর্কে লেখার জন্য যাদের ন্যূনতম অপরিহার্য জ্ঞান নেই তাঁরা ইসলাম সম্পর্কে না লিখলেই বরং ইসলামের জন্য অধিকতর কল্যাণকর হবে।