আবনা ডেস্ক: এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে একদিনের সফর শেষে দেশে ফিরে গেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো এলপি মারসুদি। মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বাংলাদেশে এসে তিনি কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়ে সদ্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও ছিলেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বার্মায় আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসেন।
এদিকে মিজ মারসুদি হচ্ছেন প্রথম কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া যে ভূমিকা রাখতে চাইছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সেটিই নির্দেশ করে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার সে চেষ্টা কতটা ফল দেবে?
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ আসিয়ানের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াই সবচেয়ে 'ক্ষমতাধর' রাষ্ট্র।
আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সিঙ্গাপুর এগিয়ে থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সবগুলো সদস্য দেশ ইন্দোনেশিয়াকে সমীহ করে চলে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইন্দোনেশিয়া তাদের কর্মে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে 'ভালো ফলাফল' দিতে পারে।
সম্প্রতি রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর দমন-পীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর জেরে হাজারো ও লাখো রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ভাষ্যমতে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৩৪হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।#