আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সিরিয়ার হোমস শহরে তাকফিরি সন্ত্রাসীদের হামলায় সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান হাসান দে’বালসহ মোট ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সৌদি আরব ও পশ্চিমা মদতপুষ্ট জিবহাতুন নুসরাহ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গতকাল (রোববার, ২৬ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়ার হোমস শহরের নিরাপত্তা কেন্দ্রে ৬টি আত্মঘাতী হামলা চালায় তাকফিরি সন্ত্রাসীরা।
সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ও আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বিভাগের হেড কোয়ার্টারের প্রবেশের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
হামলায় ৪২ জনের প্রাণহানী ঘটেছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন। প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হামলায় নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন সিরিয় নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা।
নাম পরিবর্তন করে ফাতহুশ শাম ফ্রন্ট নাম ধারণকারী সন্ত্রাস গোষ্ঠি নুসরাহ ফ্রন্ট এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলায় সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান হাসান দে’বালও প্রাণ হারিয়েছেন।
সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
হোমস শহরে পূর্বাঞ্চলীয় তাদমিরে দায়েশ বিরোধী অভিযান থেকে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে সিরিয় সেনাবাহিনী।
এদিকে সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি, কঠোর ভাষায় বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী এ আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
স্টেফান ডে মিস্তুরা ঐ বিবৃতিতে বলেছেন: জেনেভায় অনুষ্ঠেয় আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটাতে এ হামলা চালিয়ে এর দায় স্বীকার করেছে ফাতহুশ শাম সন্ত্রাসী ফ্রন্ট।
স্টেফান ডে মিস্তুরার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে যে, তিনি বলেন: আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটাতে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ তারা নিতে পারে বলে আগেই ধারনা করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন: সন্ত্রাসীদের বিরোধিতা করা এবং সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে চলা সকল পক্ষের স্বার্থসিদ্ধ। সকলের উচিত সতর্ক থাকা যেন [সন্ত্রাসীদের] চেষ্টা সফল না হয়।#