আবনা ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদ দমনে সৌদি-আমেরিকার জোট পুরোপুরি লোক দেখানো। সবার আগে দরকার, মুসলিম দেশের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সেখানে ইরানকে বাদ দিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। একান্ত সাক্ষাৎকারে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর কে এ কথা বললেন ঢাকার ইরানি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, সৌদি জোটে অংশ নেয়া বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে ভুল বুঝিয়ে, বিবৃতিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছে।
বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয়। নিজ দেশে যাদের প্রবেশে শতবাধা তৈরী করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই মুসলমানদের সাথে তার এমন নৃত্য, অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হয়, রিয়াদের সাথে। এছাড়াও ১১ মার্কিন কোম্পানির সাথে তেল বাণিজ্যে ৫ হাজার কোটি'সহ মোট ৩৫ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য চুক্তি সই হয়, রিয়াদ-ওয়াশিংটনের।
আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে, ট্রাম্প জঙ্গি দমনে মধ্যপ্রাচ্যকে যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রকারান্তরে তা গিয়ে ঠেকেছে ইরানের বিরুদ্ধে। ঐ সম্মেলনে সই করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এআইএ সম্মেলনে, ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প ও বাদশাহ সালমানের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, তেহরান। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বললেন, এই জোট কেন করা হয়েছে সেটি এখন বিশ্ববাসির কাছে পরিস্কার।
তার মতে, জঙ্গি ও চরমপন্থা বিরোধী সম্মেলনের আড়ালে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে ট্রাম্প আসলে লাভবান করেছে ওয়াশিংটনকে।
সৌদি আরব মূলত কৌশলে অন্য দেশগুলোকে রাজি করিয়ে জোটের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করিয়েছে বলেও মনে করেন ইরানের রাষ্ট্রদূত।#