বাঙ্গালী
Monday 2nd of September 2024
0
نفر 0

সৌদি নিষিদ্ধ অস্ত্রের কারণে ইয়েমেনে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে: আলী আব্দুল্লাহ সালেহ

আবান ডেস্কঃ ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ বলেছেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব সামরিক জোট আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করার কারণেই সেদেশে কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি দখলদার ইসরাইলের সহযোগিতায় ইয়েমেনে শিশু হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে জড়িত আরব সামরিক জোটের প্রতি আমেরিকা ও ব্রিটেনের সমর্থনের তীব্র বিরোধিতা করেন। ইয়েমেনের পিপলস কংগ্রেস পার্টির প্রধান আলী আব্দুল্লাহ সালেহ আরো বলেছেন, সৌদি আরব নিষিদ্ধ ঘোষিত গুচ্ছ বোমা ও থার্মোবরিক অর্থাৎ প্রচণ্ড ধ্বংস ক্ষমতা ও উত্তাপ সৃষ্টিকারী শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করছে ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের ওপর। এর ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ সমস্ত অবকাঠামো কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়া কলেরা রোগে এ পর্যন্ত ১৫০০জন মারা গেছে। ইয়েমেনে 'হু' এর প্রতিনিধি রাজধানী সানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই লাখ ৪৬ হাজার মানুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের অব্যাহত হামলায় ইয়েমেনের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরবের বর্বরোচিত হামলায় পানি সরবরাহসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কলেরা রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন সরকার সৌদি সরকারকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে ইয়েমেনে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে সহযোগিতা করছে।
সৌদি আরব গত ২০১৫ সালের মার্চ থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও কয়েকটি আরব দেশের সহযোগিতায় ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইয়েমেনে সৌদি হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের অন্যতম কারণ হচ্ছে, পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ফের সেদেশটির ক্ষমতায় বসানো।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালানো আগ্রাসনে সৌদি আরব ইয়েমেনের জনগণের বিরুদ্ধে বহুবার নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইয়েমেনের রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হোসেন আল বাখিয়্যাতি বলেছেন, সৌদি আরব বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, সৌদি আরব অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধে বিজয় লাভের আশা করলেও ইয়েমেনের জনগণের তীব্র প্রতিরোধের কারণে রিয়াদের সে আশা পূরণ হয়নি। এ কারণে সৌদি সরকার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনের জনগণের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী গুচ্ছ বোমা, ফসফরাস বোমা, জীবাণু বোমা প্রভৃতি ব্যাপক গণবিধ্বংসি অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও সৌদি আরব এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ইয়েমেনে ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং এ দেশটি কার্যত পাশ্চাত্যের দেয়া নানা রকম অস্ত্রের পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, পাশ্চাত্যের সমর্থন নিয়ে সৌদি আরব আবারো জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদ লাভ করেছে। এটাকেও সৌদি অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত রাখার জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত হিসাবে দেখা হচ্ছে।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

আগ্রাসন অব্যাহত; সৌদি ঘাঁটিতে ...
ইসরাইলকে দিয়ে ইয়েমেনে ২ নিউট্রন ...
আযানের মধুর ধ্বনিতে মুসলমান হলেন ...
পাকিস্তানে তত্পর আইএসআইএল ; ...
অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন পুজদেমন
৪১৮ যাত্রী নিয়ে প্রথম হজ্ব ফ্লাইট ...
পাকিস্তানের কুয়েত্তা শহরে ...
বাহরাইন সরকারকে অবশ্যই ...
সামেরা শহরে ৫ বিস্ফোরণ ; বদর ...
ইয়েমেনের জনগণের সমর্থনে লন্ডনে ...

 
user comment