বাঙ্গালী
Friday 27th of December 2024
0
نفر 0

রজব মাসের গুরুত্ব

রজব মাসের গুরুত্ব



নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার নিকট গণনার মাস ১২টি। এতে কম-বেশি করার ক্ষমতা কারো নেই। এই মাসগুলোর ধারাবাহিকতা নির্ধারিত করা হয়েছে আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করার পর। (আল কুরআন : সুরা তওবা)।

মাহে রজব আরবী বর্ষের ৭ম মাস। বায়হাকী শরীফে আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল (স.) যখন মাহে রজবের নব চন্দ্র দেখতেন, তখন তিনি বলতেন-আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজাবা ওয়াশাবানা ওয়া বাললিগনা শাহরি রামাজান।’ অর্থ হচ্ছে, হে আল্লাহ আমাদের প্রতি রজব ও শাবান মাসকে বরকতস্বরূপ দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। হাদীসে পাকে মাহে রজবের বহু ফজিলত ও আমলের কথা বর্ণিত আছে। তার মধ্যে এখানে কিছু বাণী তুলে ধরা হল।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, মাহে রজব আল্লাহ তায়ালার প্রিয় মাস। যে ব্যক্তি মাহে রজবকে সম্মান প্রদর্শন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করবেন।

রসুল (স.) বলেছেন, হে আমার সাথীগণ! জিব্রাইল (আ.) আমাকে মাহে রজবের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বলেছেন, রজবের ইবাদত মুমিন ব্যক্তি ব্যতীত কোন মুশরিকের ভাগ্যে হয় না।

রসূল (স.) বলেছেন, মাহে রজব আল্লাহর মাস। মাহে শাবান আমার মাস। আর মাহে রমজান আমার ও আমার উম্মতের মাস। একদা মহানবী (স.) কোন এক কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মনে করলেন কবরবাসীকে আযাব দেয়া হচ্ছে। মহানবী (স.) বললেন, সে যদি রজব মাসে একটি রোযাও রাখতো, তাহলে তাকে এত কষ্ট দেয়া হতো না।

মাহে রজবের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত একটি অধিক পুণ্যময় রাত। এই রাতটিকে আরবীতে লাইলাতুল মেরাজ বলা হয়। এ রাতের গুরুত্ব, তাত্পর্য, ফজিলত ও বরকত অনেক বেশি।

আল কোরআনের ১৫ পারা সুরা বনী ইসরাঈলে এ রাতের যে ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে তা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর মেরাজ নামে বিশ্ব ইতিহাসে সুপরিচিত। এই রাতে প্রিয় নবী (স.) আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে মক্কা শরীফ থেকে বাইতুল মোকাদ্দাস-ঊর্ধ্বাকাশে, আরোহণ করে আল্লাহ তায়ালার অধ্যাদেশ প্রাপ্ত হন।

ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালা মহানবী (স.) কে মহানেয়ামত দান করেন। ১। উম্মতের জন্য মেরাজস্বরূপ ৫ ওয়াক্ত নামাজ।

আর সুরা বণী ইসরাইলে ১৪টি অধ্যাদেশাবলী। মূলত রজব মাস হলো রমজানের প্রস্তুতির মাস। এই মাস হতেই রসূল (স.) রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। যার ফলে ইবাদত ও বন্দেগীও বেশি করতেন। সেজন্য তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদেরও উচিত এখন থেকে হূদয় কন্দরে পবিত্র রমজানুল মোবারকের একটি আবহ তৈরি করা এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য ইবাদত বন্দেগীও বেশি বেশি করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করুন, আমীন।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

তাকওয়া হাসিলের উপায়
কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
আদাবুস সুলূক (আধ্যাত্মিক পথ ...
খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি
হুজুর (সা.)-এর সন্তান-সন্ততিগণ
হযরত ফাতেমার চরিত্র ও কর্ম-পদ্ধতি
হযরত ইমাম মুসা কাযিম (আ.)'র ...
সমাজ কল্যাণে আল-কুরআনের ভূমিকা
মহানবী (স.) হতে বর্ণিত ৪০টি হাদীস (২)
প্রকৃতি ও মানুষের সত্তায় পরকালীন ...

 
user comment