আবনা ডেস্কঃ পাচারকারীরা ইয়েমেনের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকা থেকে ২৮০ জন আফ্রিকান শরণার্থীকে সমুদ্রে ফেলে দিলে অন্তত ৬ জন প্রাণ হারায়। বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে ইয়েমেন সাগরে এ ঘটনায় ৫৬ জন নিহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের অধিকাংশই কিশোর-কিশোরী অভিবাসী সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার নাগরিক।
এক আদম পাচারকারী গ্রেফতার আতঙ্কে এ কাজ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, লোহিত সাগরের পাড়ে ইয়েমেনের সৈকতে আহত ২৫ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার মানব পাচারকারীরা সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার ১২০ জনের বেশি শরণার্থীকে ইয়েমেনের উত্তাল সমুদ্রে ফেলে দেয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গ্রেফতার এড়াতে এ কাণ্ড ঘটায় তারা। এতে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আরও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আইওএম জানিয়েছে।
রেডক্রস প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক কমিটির সঙ্গে আইওএমের একটি দল দক্ষিণ ইয়েমেনের সাবওয়া প্রদেশের উপকূলে অগভীর কবরে ২৯ শরণার্থীর মরদেহের সন্ধান পেয়েছে। বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা তাদের এখানে কবর দিয়েছিল। মৃত শরণার্থীদের গড় বয়স ১৬ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইয়েমেনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার সংকট চলছে বলে জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে দেশটির সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্বর বিমান হামলায় এ নাগাদ প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বর্তমানে দেশটিতে কলেরা, মহামারী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া দেশটির কিছু কিছু এলাকায় চরম দূর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। তা সত্ত্বেও সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত থাকায় সমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলে কাজের সন্ধানে মরিয়া শরণার্থীরা ইয়েমেনে পাড়ি জমাচ্ছে।
আইওএমের হিসাবমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে অন্তত ৫৫ হাজার শরণার্থী আফ্রিকা থেকে ইয়েমেনে পাড়ি জমিয়েছে।